রাজধানীর সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ, ক্রেতারা হতাশ ও হতবুদ্ধি

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ।

মূল ফটকে ভিড় জমেছে, কেউ কেউ এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। অনেকে ফোন সারাতে এসেও সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

মোবাইল মার্কেট বন্ধ রাখার পেছনে রয়েছে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর সিদ্ধান্ত। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তারা সংবাদ সম্মেলন করে “এনইআইআর বাস্তবায়ন: মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়” শীর্ষক আলোচনায় ধর্মঘট ঘোষণা করেন। এমবিসিবির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস এবং সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে গত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ক্ষান্ত হয়নি। পরে সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকারের এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার) ব্যবস্থা কার্যকর হলে লাগেজ ফোনে ৫৭ শতাংশ কর আরোপ হবে। ফলে ফোনের দাম বাড়বে এবং সাধারণ মানুষ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোন কিনতে পারবে না। এতে অবৈধ ফোন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে, যা সরকারকেও রাজস্ব ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বাজারে নন-নিবন্ধিত ফোনের ৩০-৩৫ হাজার ব্যবসায়ী আছেন। তারা খুব সামান্য লাভে ফোন বিক্রি করে টিকে থাকেন।

মুঠোফোন বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কর–ভ্যাটের হার কমিয়ে আনলে, বাজার নিয়মিত থাকবে এবং সরকারও লাভবান হবে। তিনি বলেন, ছোট ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা শাস্ত্রবদ্ধ ও নিরাপদভাবে সেবা পাবে।

সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা অনুমোদনবিহীন ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হিসেবে দেখা হলেও ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থান সংকটের কারণে বিরোধিতা করছেন।

ক্রেতারা বলছেন, বাজার খোলা থাকলেও মার্কেট বন্ধ হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে জানেন না, মার্কেট কবে খুলবে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান হলে তারা আবার স্বাভাবিকভাবে ফোন বিক্রি ও সার্ভিস করতে পারবে।

এই পরিস্থিতি রাজধানীসহ দেশের মোবাইল ব্যবসায়ীদের জন্য এক তীব্র সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে সমন্বয় করতে হবে, নতুবা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে উভয়পক্ষের।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

রাজধানী নিয়ে আরও পড়ুন

রাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে

৩ ঘণ্টা আগে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা

৪ ঘণ্টা আগে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি

৫ ঘণ্টা আগে