নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রামপুরে বাঁশের কাপে চা বিক্রি করে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সালমান। ছোট্ট বয়সে বাড়ির সামনের দোকান দিয়ে ব্যবসার যাত্রা শুরু করা সালমান আজ “বাঁশের চা ফুড স্টেশন” নামে একটি জনপ্রিয় খাবারের দোকান গড়ে তুলেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে ভিড় করেন।

২০১৪ সালে ক্ষুদে বিক্রেতা হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর সালমানের স্বপ্নও বড় হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো তিনি পরিবেশবান্ধব বাঁশের কাপে চা সরবরাহের ধারণা নিয়ে আসেন, যদিও শুরুতে সফল হননি। ব্যর্থতা থামাতে পারেনি; বরং নতুনভাবে পরিকল্পনা করে ২০২৫ সালে যাত্রা শুরু করে নতুন আঙ্গিকে।

রামপুর ৩ নং ওয়ার্ডের আলী চেয়ারম্যান রোডে অবস্থিত দোকানে বাঁশের কাপে চা ছাড়াও পোড়া রুটি, ব্যাম্বো ফুসকা, বার্গারসহ বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ জন ভোক্তা আসে, শুক্রবার ও শনিবার সংখ্যা বেড়ে ৮০০-১,০০০ পর্যন্ত পৌঁছে। মাসজুড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ দোকানে আসে। ব্যবসার সম্প্রসারণে সালমান ৮ জন ওয়েটার নিয়োগ দিয়েছেন, প্রতিজনকে ৪৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে।

পরিবেশবান্ধব, ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগের কারণে সালমানের দোকান তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তার সফলতা প্রমাণ করে যে স্বপ্ন থাকলে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোলে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব। বাঁশের কাপে চা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয়ের এই তরুণ এখন এলাকার গর্ব এবং তার গল্প একটি অনুপ্রেরণামূলক ব্যবসায়িক সাফল্যের উদাহরণ।