খুলনা
উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা আজ চরম ঝুঁকির মুখে। লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে এই অঞ্চলের নারীরা প্রতিদিন নতুন নতুন স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। অকাল গর্ভপাত, ঋতুচক্রে অনিয়ম, প্রজননতন্ত্রের জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ, এমনকি জরায়ু সংক্রান্ত রোগও দিনকে দিন বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্য ও জীবিকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা আর্ট স্কুল মিলনায়তনে ‘জনউদ্যোগ, খুলনা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এএফএম মহসিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক মানস কুমার রায়, নাগরিক নেতা মাসুদ মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, শিল্প মালিক সমিতির নেতা এসএম সোহরাব হোসেন, লেখক নূরুন নাহার হীরা, সাহিত্য সংগঠক কৃষ্ণা দাস, আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, এবং সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপকূলের নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে, চিংড়িপোনা আহরণে ও দৈনন্দিন জীবনে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ফলে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে। অনেক নারীকে অল্প বয়সেই জরায়ু কেটে ফেলতে হচ্ছে। এছাড়া কিশোরী মেয়েরাও মাসিক চক্র সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছে, অথচ প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার মতো সচেতন পরিবার বা চিকিৎসা-সহায়ক পরিবেশও নেই।
নাগরিক নেতারা বলেন, “উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ নজর দিতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ, প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ ও দক্ষ চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে।”
তাঁরা আরও বলেন, কিশোরী ও নারীরা যেন পরিবার ও চিকিৎসকের সঙ্গে নিরাপদে স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা ভাগাভাগি করতে পারেন- এর জন্য সচেতনতামূলক উঠান বৈঠকসহ সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে। জরায়ুমুখে ক্যান্সার নির্ণয়ে বায়োপসি পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং লবণাক্ততার কারণে জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে কি না, তা নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে গবেষণা শুরু করাও এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে তাপপ্রবাহও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে নারীদের জীবিকা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি স্বাস্থ্য সমস্যাও বহুগুণে বাড়ছে।”
নাগরিক নেতৃবৃন্দের দাবি, সহজে মিষ্টিপানির ব্যবস্থা, স্যানিটারি পণ্যের সহজ প্রাপ্যতা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া উপকূলীয় নারীদের রক্ষা করা সম্ভব নয়। উপকূলীয় জনপদের নারীদের জীবনের নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য ও জীবিকাভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।
উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা আজ চরম ঝুঁকির মুখে। লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে এই অঞ্চলের নারীরা প্রতিদিন নতুন নতুন স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। অকাল গর্ভপাত, ঋতুচক্রে অনিয়ম, প্রজননতন্ত্রের জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ, এমনকি জরায়ু সংক্রান্ত রোগও দিনকে দিন বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্য ও জীবিকা রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা আর্ট স্কুল মিলনায়তনে ‘জনউদ্যোগ, খুলনা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এএফএম মহসিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক মানস কুমার রায়, নাগরিক নেতা মাসুদ মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, শিল্প মালিক সমিতির নেতা এসএম সোহরাব হোসেন, লেখক নূরুন নাহার হীরা, সাহিত্য সংগঠক কৃষ্ণা দাস, আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, এবং সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপকূলের নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে, চিংড়িপোনা আহরণে ও দৈনন্দিন জীবনে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ফলে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে। অনেক নারীকে অল্প বয়সেই জরায়ু কেটে ফেলতে হচ্ছে। এছাড়া কিশোরী মেয়েরাও মাসিক চক্র সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছে, অথচ প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার মতো সচেতন পরিবার বা চিকিৎসা-সহায়ক পরিবেশও নেই।
নাগরিক নেতারা বলেন, “উপকূলীয় নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ নজর দিতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ, প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ ও দক্ষ চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে।”
তাঁরা আরও বলেন, কিশোরী ও নারীরা যেন পরিবার ও চিকিৎসকের সঙ্গে নিরাপদে স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা ভাগাভাগি করতে পারেন- এর জন্য সচেতনতামূলক উঠান বৈঠকসহ সামাজিক উদ্যোগ নিতে হবে। জরায়ুমুখে ক্যান্সার নির্ণয়ে বায়োপসি পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং লবণাক্ততার কারণে জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে কি না, তা নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে গবেষণা শুরু করাও এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলে তাপপ্রবাহও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে নারীদের জীবিকা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি স্বাস্থ্য সমস্যাও বহুগুণে বাড়ছে।”
নাগরিক নেতৃবৃন্দের দাবি, সহজে মিষ্টিপানির ব্যবস্থা, স্যানিটারি পণ্যের সহজ প্রাপ্যতা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া উপকূলীয় নারীদের রক্ষা করা সম্ভব নয়। উপকূলীয় জনপদের নারীদের জীবনের নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্য ও জীবিকাভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।