জামালপুর

নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টাই একজন মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্বে থাকার কথা। রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন শুধু সাব–অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো)। জানতে চাইলে তিনি জানান মেডিক্যাল অফিসার বহির্বিভাগে আছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফাঁকা চেয়ারের দুই পাশে দুইজন ইন্টার্ন ডাক্তারই রোগী দেখছেন।
সেবাগ্রহীতারা জানান, এমন অনিয়ম নিত্যদিনই ঘটে।
বেশ কয়েকদিন সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়— সরকার নির্ধারিত তিন টাকার টিকিট পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, টিকিটে মূল্যও ছাপা নেই। বহির্বিভাগে ডাক্তার বসার কথা সকাল আটটায়, কিন্তু বেশিরভাগ দিন এগারোটার আগে বসেন না। পুরো হাসপাতাল কার্যত ইন্টার্ন ডাক্তারদের ওপরই চলছে। ওষুধ, সুঁই-সুতা মজুত থাকলেও রোগীদের কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসি থেকে। ওয়ার্ডে ডাক্তার-নার্সের যথাযথ পরিদর্শন নেই, খাবার বিতরণেও অনিয়ম। হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধে রোগীরা আরও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বহির্বিভাগে টিকিট কাটা কয়েকজন রোগী জানান, পাঁচ টাকা নেওয়া হলেও তারা জানতেন না আসল মূল্য তিন টাকা। তাদের মতে, অল্প বাড়তি আদায় হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি বড়ো দুর্নীতিতে পরিণত হতে পারে।
রোগী জুনাইদ শাফিন বলেন, কোনো শিফটেই ডাক্তার নিয়মিত বসেন না, সন্ধ্যায় তো প্রায়ই পাওয়া যায় না। অনেক রোগী অপেক্ষা করেও ফিরে যান।
ভর্তি রোগী নূর-ই-ইলাহীর অভিযোগ, প্রেসক্রিপশনে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম হাসপাতালে মজুত থাকা সত্ত্বেও কিনতে হয়েছে বাইরে থেকে। ওষুধ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে।
আরেক রোগী শাহীন মিয়া জানান, চার দিন ধরে ভর্তি থাকলেও প্রথমদিন ছাড়া ডাক্তার আর খোঁজ নেননি। ডাকলেও সাড়া মেলে না।
ভর্তি রোগীরা বলেন, তিন বেলা খাবার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে দুই বেলা বা এক বেলাই দেওয়া হয়। ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ, দুর্গন্ধময় পরিবেশে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
দায়রিয়া চিকিৎসা নিতে এসে হতাশা প্রকাশ করেন মাহবুবুর রহমান। তার দাবি, নোংরা পরিবেশে রোগী আরও অসুস্থ হয়েছে এবং সঙ্গে থাকা দুইজনও অসুস্থ হয়ে ফিরে গেছে।
গামারিয়ার সালেহা বেগম জানান, হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা না করে তাকে বেসরকারি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অনেক রোগী আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করতেও ফিরে গেছেন।
টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সহকারী উসমান গণী বলেন, তিন টাকার টিকিট হলেও সবাই পাঁচ টাকা দেন, খুচরা না থাকায় সেটাই নেওয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবিব বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক জানান, ডাক্তার ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটের কারণেই সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে, শূন্য পদে নিয়োগ হলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টাই একজন মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্বে থাকার কথা। রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন শুধু সাব–অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো)। জানতে চাইলে তিনি জানান মেডিক্যাল অফিসার বহির্বিভাগে আছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফাঁকা চেয়ারের দুই পাশে দুইজন ইন্টার্ন ডাক্তারই রোগী দেখছেন।
সেবাগ্রহীতারা জানান, এমন অনিয়ম নিত্যদিনই ঘটে।
বেশ কয়েকদিন সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়— সরকার নির্ধারিত তিন টাকার টিকিট পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, টিকিটে মূল্যও ছাপা নেই। বহির্বিভাগে ডাক্তার বসার কথা সকাল আটটায়, কিন্তু বেশিরভাগ দিন এগারোটার আগে বসেন না। পুরো হাসপাতাল কার্যত ইন্টার্ন ডাক্তারদের ওপরই চলছে। ওষুধ, সুঁই-সুতা মজুত থাকলেও রোগীদের কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসি থেকে। ওয়ার্ডে ডাক্তার-নার্সের যথাযথ পরিদর্শন নেই, খাবার বিতরণেও অনিয়ম। হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধে রোগীরা আরও ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বহির্বিভাগে টিকিট কাটা কয়েকজন রোগী জানান, পাঁচ টাকা নেওয়া হলেও তারা জানতেন না আসল মূল্য তিন টাকা। তাদের মতে, অল্প বাড়তি আদায় হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি বড়ো দুর্নীতিতে পরিণত হতে পারে।
রোগী জুনাইদ শাফিন বলেন, কোনো শিফটেই ডাক্তার নিয়মিত বসেন না, সন্ধ্যায় তো প্রায়ই পাওয়া যায় না। অনেক রোগী অপেক্ষা করেও ফিরে যান।
ভর্তি রোগী নূর-ই-ইলাহীর অভিযোগ, প্রেসক্রিপশনে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম হাসপাতালে মজুত থাকা সত্ত্বেও কিনতে হয়েছে বাইরে থেকে। ওষুধ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে।
আরেক রোগী শাহীন মিয়া জানান, চার দিন ধরে ভর্তি থাকলেও প্রথমদিন ছাড়া ডাক্তার আর খোঁজ নেননি। ডাকলেও সাড়া মেলে না।
ভর্তি রোগীরা বলেন, তিন বেলা খাবার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে দুই বেলা বা এক বেলাই দেওয়া হয়। ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ, দুর্গন্ধময় পরিবেশে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
দায়রিয়া চিকিৎসা নিতে এসে হতাশা প্রকাশ করেন মাহবুবুর রহমান। তার দাবি, নোংরা পরিবেশে রোগী আরও অসুস্থ হয়েছে এবং সঙ্গে থাকা দুইজনও অসুস্থ হয়ে ফিরে গেছে।
গামারিয়ার সালেহা বেগম জানান, হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা না করে তাকে বেসরকারি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অনেক রোগী আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করতেও ফিরে গেছেন।
টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সহকারী উসমান গণী বলেন, তিন টাকার টিকিট হলেও সবাই পাঁচ টাকা দেন, খুচরা না থাকায় সেটাই নেওয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি নীরব থাকেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবিব বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।
সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক জানান, ডাক্তার ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটের কারণেই সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে, শূন্য পদে নিয়োগ হলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

রাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
৭ ঘণ্টা আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
৮ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
১০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি