নিজস্ব প্রতিবেদক

বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাটবাজারগুলোতে দেশি মাছের চাহিদা দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। স্থানীয়দের মতে, মাছের সহজলভ্যতা এবং দাম কমে আসায় ক্রেতাদের আগ্রহও অনেক বেশি।
গবেষকেরা বলছেন, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় এখন শতাধিক হ্যাচারিতে এসব মাছের পোনা উৎপাদন হচ্ছে। এই পোনা ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন জলাশয় ও পুকুরে চাষাবাদে, ফলে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষের আমিষ চাহিদা মেটাতে দেশি প্রজাতির মাছ নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দীর্ঘদিন ধরে ধান উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার, জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া এবং বাসস্থান ধ্বংসের কারণে মোট ৬৪টি প্রজাতির দেশি মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিএফআরআই এসব মাছ সংরক্ষণে গবেষণা শুরু করে এবং ফলস্বরূপ এখন সহজলভ্য হয়েছে পাবদা, গুলশা, টেংরা, মেনি, চিতল ও ফলির মতো বিপন্ন প্রজাতিগুলো।
বেতাগীর স্থানীয় বাজারগুলোতে দেশি মাছের প্রাপ্যতা বেড়েছে, দামও কমেছে। উদাহরণ হিসেবে, দুই বছর আগেও পাবদার কেজিপ্রতি দাম ছিল ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা—এখন তা নেমে এসেছে ৫০০ টাকার নিচে। বিএফআরআই ইতোমধ্যে ২০টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—পাবদা, গুলশা, টেংরা, মেনি, ফলি, চিতল, আইড়, কুচিয়া, কালবাউস, ভাগনা, মহাশোল, দেশি পুঁটি, গনিয়া, গুতুমসহ অনেক প্রজাতি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রজাতি, যেমন—রানি মাছ, কাকিলা, গজার, শালবাইন, বৈরালী, আঙ্গুস, খোকসা ও উপকূলীয় কাইন মাগুর (কাউন) নিয়ে গবেষণা চলছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ড. লোকমান হোসেন জানান, দেশি মাছের প্রজননক্ষেত্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিল, হাওর, খাল-বিল ও নদীগুলোর অবস্থা পরিবর্তিত হওয়ায় মাছের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে অভয়াশ্রম স্থাপনের ফলে এই প্রজাতিগুলোর প্রজনন আবারও বাড়ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তুরান জানান, বেতাগী অঞ্চলের বিভিন্ন জলাশয়ে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে গত ছয় মাসে দেশি মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী খালে ডিম ছাড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার সুফল ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে স্থানীয় জেলে ও ভোক্তারা।
দেশি মাছের পুনরুজ্জীবন—এ যেন হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ারই আরেক নাম।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাটবাজারগুলোতে দেশি মাছের চাহিদা দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। স্থানীয়দের মতে, মাছের সহজলভ্যতা এবং দাম কমে আসায় ক্রেতাদের আগ্রহও অনেক বেশি।
গবেষকেরা বলছেন, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় এখন শতাধিক হ্যাচারিতে এসব মাছের পোনা উৎপাদন হচ্ছে। এই পোনা ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন জলাশয় ও পুকুরে চাষাবাদে, ফলে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষের আমিষ চাহিদা মেটাতে দেশি প্রজাতির মাছ নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দীর্ঘদিন ধরে ধান উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার, জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া এবং বাসস্থান ধ্বংসের কারণে মোট ৬৪টি প্রজাতির দেশি মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বিএফআরআই এসব মাছ সংরক্ষণে গবেষণা শুরু করে এবং ফলস্বরূপ এখন সহজলভ্য হয়েছে পাবদা, গুলশা, টেংরা, মেনি, চিতল ও ফলির মতো বিপন্ন প্রজাতিগুলো।
বেতাগীর স্থানীয় বাজারগুলোতে দেশি মাছের প্রাপ্যতা বেড়েছে, দামও কমেছে। উদাহরণ হিসেবে, দুই বছর আগেও পাবদার কেজিপ্রতি দাম ছিল ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা—এখন তা নেমে এসেছে ৫০০ টাকার নিচে। বিএফআরআই ইতোমধ্যে ২০টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—পাবদা, গুলশা, টেংরা, মেনি, ফলি, চিতল, আইড়, কুচিয়া, কালবাউস, ভাগনা, মহাশোল, দেশি পুঁটি, গনিয়া, গুতুমসহ অনেক প্রজাতি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রজাতি, যেমন—রানি মাছ, কাকিলা, গজার, শালবাইন, বৈরালী, আঙ্গুস, খোকসা ও উপকূলীয় কাইন মাগুর (কাউন) নিয়ে গবেষণা চলছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ড. লোকমান হোসেন জানান, দেশি মাছের প্রজননক্ষেত্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিল, হাওর, খাল-বিল ও নদীগুলোর অবস্থা পরিবর্তিত হওয়ায় মাছের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে সরকারি উদ্যোগে অভয়াশ্রম স্থাপনের ফলে এই প্রজাতিগুলোর প্রজনন আবারও বাড়ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তুরান জানান, বেতাগী অঞ্চলের বিভিন্ন জলাশয়ে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে গত ছয় মাসে দেশি মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী খালে ডিম ছাড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার সুফল ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে স্থানীয় জেলে ও ভোক্তারা।
দেশি মাছের পুনরুজ্জীবন—এ যেন হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ারই আরেক নাম।

সাতক্ষীরার সুন্দরবনে বনদস্যু ও জলদস্যু দমনে জিরো টলারেন্স অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোর থেকে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ তল্লাশি করে বনদস্যুতা ও জলদস্যুতার কার্যক্রম বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে
বারো বছর ধরে ওমরা হজ পালনের স্বপ্ন দেখেন হাযরা । রোববার (১৬ নভেম্বর) থমকে গেল তার হজ স্বপ্ন, হাযরা আর নেই
১২ ঘণ্টা আগে
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মেসার্স মরিয়ম ট্রেডার্স দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমোদনবিহীনভাবে সার বিক্রি করছে। দোকানটিতে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৬৫০–৭৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি জানলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পুরান ঢাকার ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্মীপুরে। আবদুর রহিম (৪৫) এবং তাঁর ছেলে আবদুল আজিজ (১২)-এর লাশ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বশিকপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়
১৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার সুন্দরবনে বনদস্যু ও জলদস্যু দমনে জিরো টলারেন্স অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ। শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোর থেকে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ তল্লাশি করে বনদস্যুতা ও জলদস্যুতার কার্যক্রম বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
বারো বছর ধরে ওমরা হজ পালনের স্বপ্ন দেখেন হাযরা । রোববার (১৬ নভেম্বর) থমকে গেল তার হজ স্বপ্ন, হাযরা আর নেই
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মেসার্স মরিয়ম ট্রেডার্স দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমোদনবিহীনভাবে সার বিক্রি করছে। দোকানটিতে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৬৫০–৭৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি জানলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি
রাজধানীর পুরান ঢাকার ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্মীপুরে। আবদুর রহিম (৪৫) এবং তাঁর ছেলে আবদুল আজিজ (১২)-এর লাশ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বশিকপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়