অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় একাধিক সংঘর্ষে ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও কয়েক কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এবারে সেই বাসের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এর আগে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রেজিস্ট্রেশন স্থগীত করে বাস মালিককে গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) একটি নোটিশ দিয়েছে বিআরটিএ। যেখানে রেজিস্ট্রেশন স্থায়ীভাবে বাতিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
বিআরটিএ’র ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেল (একুরিয়া) এর উপপরিচালক (প্রকৌশল) মো. সানাউল হক এই নোটিশ ইস্যু করেন।
নোটিশে বলা হয়, দ্রুতগতির বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের কামারখোলা রেল ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেয়। পরে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। এতে বাসটির সামনের অংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পেছনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি থাকায় চালক আতঙ্কিত হয়ে বেপরোয়া গতিতে বাস চালাতে থাকে। পরে বাসটি সমসপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়, ফলে বাসটির পুরো ছাদ উড়ে যায়। এত বড় দুর্ঘটনার পরও চালক বাসটি চালাতে থাকে। এতে বাসে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৮ জন আহত হন।
বিআরটিএ মালিককে বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঢাকার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বাসের ছাদ উড়ে যাওয়া আলোচিত যাত্রীবাহী বাসটির গন্তব্য ছিল বরগুনার পাথরঘাটায়। ছাদ উড়ে যাওয়ার পর বেপরোয়া গতির বাসটি প্রায় ছয় কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সেই বাসটির চালকের নাম শহিদুল ইসলাম।
বরিশাল বাসমালিক গ্রুপের কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, এই বাস কোম্পানির কোনো কাউন্টার সেখানে নেই। এই কোম্পানির পাঁচটি বাস ঢাকা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি হয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় চলাচল করে।
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে যাওয়ার পরেও বাসটি কেনো প্রায় ৬ কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে গেলেন চালক? এর মূল কারণ কী? এমন প্রশ্নে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক মো. জগলুল ফারুক বলেন, “বাসটির ব্রেকের পাইপ ফেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাসটি ছয় কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। আর এতে ৮ যাত্রী আহত হলেও বাকি যাত্রীরা সবাই অক্ষত অবস্থায় আছেন।”
পরিস্থিতি ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ি। ভেতরে আতঙ্ক কাজ করছিল। এর আগে আমি কখনো এমন অবস্থার মুখোমুখি হইনি। কীভাবে কী করেছি, বলতে পারব না।”
দুর্ঘটনা কীভাবে হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টো পথ (রং সাইড) দিয়ে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার এসে পড়ে। সেটাকে সাইড দিতে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে বাসটি ছেড়ে যাবার পর ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে। পরে বাসটি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কামারখোলা সেতুতে উঠলে একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতেই বাসের ছাদ সামনে থেকে ভেঙে পেছনে গিয়ে আটকে থাকে। সেসময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় একাধিক সংঘর্ষে ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও কয়েক কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এবারে সেই বাসের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এর আগে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রেজিস্ট্রেশন স্থগীত করে বাস মালিককে গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) একটি নোটিশ দিয়েছে বিআরটিএ। যেখানে রেজিস্ট্রেশন স্থায়ীভাবে বাতিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
বিআরটিএ’র ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেল (একুরিয়া) এর উপপরিচালক (প্রকৌশল) মো. সানাউল হক এই নোটিশ ইস্যু করেন।
নোটিশে বলা হয়, দ্রুতগতির বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের কামারখোলা রেল ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেয়। পরে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। এতে বাসটির সামনের অংশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পেছনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি থাকায় চালক আতঙ্কিত হয়ে বেপরোয়া গতিতে বাস চালাতে থাকে। পরে বাসটি সমসপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়, ফলে বাসটির পুরো ছাদ উড়ে যায়। এত বড় দুর্ঘটনার পরও চালক বাসটি চালাতে থাকে। এতে বাসে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৮ জন আহত হন।
বিআরটিএ মালিককে বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঢাকার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বাসের ছাদ উড়ে যাওয়া আলোচিত যাত্রীবাহী বাসটির গন্তব্য ছিল বরগুনার পাথরঘাটায়। ছাদ উড়ে যাওয়ার পর বেপরোয়া গতির বাসটি প্রায় ছয় কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সেই বাসটির চালকের নাম শহিদুল ইসলাম।
বরিশাল বাসমালিক গ্রুপের কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, এই বাস কোম্পানির কোনো কাউন্টার সেখানে নেই। এই কোম্পানির পাঁচটি বাস ঢাকা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি হয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় চলাচল করে।
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে যাওয়ার পরেও বাসটি কেনো প্রায় ৬ কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে গেলেন চালক? এর মূল কারণ কী? এমন প্রশ্নে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক মো. জগলুল ফারুক বলেন, “বাসটির ব্রেকের পাইপ ফেটে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাসটি ছয় কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। আর এতে ৮ যাত্রী আহত হলেও বাকি যাত্রীরা সবাই অক্ষত অবস্থায় আছেন।”
পরিস্থিতি ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ি। ভেতরে আতঙ্ক কাজ করছিল। এর আগে আমি কখনো এমন অবস্থার মুখোমুখি হইনি। কীভাবে কী করেছি, বলতে পারব না।”
দুর্ঘটনা কীভাবে হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টো পথ (রং সাইড) দিয়ে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার এসে পড়ে। সেটাকে সাইড দিতে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে বাসটি ছেড়ে যাবার পর ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে। পরে বাসটি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কামারখোলা সেতুতে উঠলে একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতেই বাসের ছাদ সামনে থেকে ভেঙে পেছনে গিয়ে আটকে থাকে। সেসময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন।