সাতক্ষীরার হিম সাগর আম সংগ্রহের তারিখ পূর্ণ নির্ধারণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। বেশি গরম পড়ার কারণে হিম সাগর আম নির্ধারিত সময়ের আগেই পাকতে শুরু করেছে।

আগামী ২০ শে মে সাতক্ষীরার হিম সাগর আম সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত থাকলেও চাষিদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ৫ দিন এগিয়ে ১৫ই মে থেকে হিম সাগর আম সংগ্রহের তারিখ পূর্ণ নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

সাতক্ষীরার হিম সাগর আম নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছে পেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে সুস্বাদু এই রসালো আম। তবে চাষিরা ক্ষতির আশংকায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সুচি উপেক্ষা করে বাজার জাত করতে বাধ্য হচ্ছে এই হিম সাগর আম।

বৃহস্পতিবার (১৫ই মে) সাতক্ষীরা বড় বাজার পাইকারি আমের আড়তে গিয়ে দেখা যায়,হিম সাগর আমে বাজার সয়লাব।তিল ধারণের ঠাঁই নেই বাজারে আড়ত ও অলিগলিতে।

সুবীর দাশ আব্দুর রহিম, গোপাল ঘোষ নামে অনেক চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আম পরিপক্ক হয়ে পেকে গাছ থেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে।তাই প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই বাধ্য হয়ে বাজারে আনতে হচ্ছে হিম সাগর আম।

আম চাষি রফিকুল ইসলাম জানান,প্রতিমণ হিম সাগর আম মান ভেদে ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০টাকা ২০০০টাকা ২২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।পাটকেলঘাটা থেকে আসা আম চাষি মফিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর সহ আশ পাশের এলাকাতে আরো আগে থেকেই হিম সাগর আম ভাঙ্গা শুরু করেছে।তারা আগাম হিম সাগর আম ভেঙে বাজারে বিক্রি করতে পারায় বেশি দাম পাচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন যদি চাষিদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আরো আগে থেকে এই সময় সুচি এগিয়ে নির্ধারণ করতো তাহলে আমরা আরো লাভবান হতাম।

এদিকে সাতক্ষীরা বড় বাজারের ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বললে জানান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আমাদের আম চাষিদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে ৫ দিন এগিয়ে আজ ১৫ই মে থেকে হিম সাগর আম সংগ্রহের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে।এতে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে, স্বপ্ন দেখছে বেশি লাভের।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন,বেশি গরম পড়ার কারণে হিম সাগর আম আগাম পাকতে শুরু করেছে, বাস্তবতা দেখে আগামী ২০ই মে নির্ধারিত তারিখ পূর্ণ বিবেচনা করে ১৫ই মে নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য সাতক্ষীরার হিম সাগর আম দেশের বাজার ছাড়িয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই পরিচিতি লাভ করেছে এবং রপ্তানির জন্য বেশ চাহিদা রয়েছে।

সাতক্ষীরার এই রসালো সুস্বাদু হিম সাগর আম আবহাওয়া ভালো থাকলে ও সময় মতো বাজার জাত করতে পারলে কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।