নীলফামারী
কাশবন ও ছোটগাছে দেখা মিলছে বাবুই পাখীর বাসার মত বিস্ময়কর পাখী কালো মাথা মুনিয়ার বাসা। বাবুই পাখীর মত শৈল্পিক নৈপুন্যে নান্দনিক বাসা তৈরী করছে তারাও । নীলফামারীর চরাঞ্চাল, চাড়ালকাটা নদী, ধাইজান নদী সহ কয়েকটি নদীতে ও পাশের জলাধারে কাশবন ও অসংখ্য ছোটগাছে স্বপ্নের নীড় বুনছে কালো মাথা মুনিয়া। সকালে ও সন্ধ্যায় এদের গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। দূরন্তপনা কিশোর-কিশোরীরা হানা দিতে চাইলেও পাখীপ্রেমিক লোকজন তাদের আগলে রাখেন।
ধাইজান নদীর সাথেই মাঝারী গোছের একটি পুকুরের পাড়ে কাশবন ও একটি ছোট ইউকেলিপটাস গাছে দেখা মিলেছে কালো মাথা মুনিয়া পাখীর অসখ্য বাসা। ক্ষণস্থায়ী বাসার উপরেই প্রি-প্রি-প্রি, ব্রিট-ব্রিট,প্রিট-প্রিট এমন ধ্বনী দিয়ে ডাক দিয়ে সাড়িবদ্ধভাবে
মুনিয়া পাখীকে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরার দৃশ্য দেখা গেছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে । এছাড়া নদীবেষ্টিত জলাধার, নদীর দুই পাড়ের কাশবন, ছোটগাছে মুনিয়া পাখীর অসংখ্য বাসা ও তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার ও নদী গবেষণা প্রতিষ্টান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ এই পাখী দেখে বলেন, দুলর্ভ পাখী কালো মাথা মুনিয়া। ছোট্ট সুন্দর পাখিটি খানিকটা লাজুক প্রকৃতির। আকারে চড়ুই পাখির সমান। মুনিয়া বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাস করে। মুনিয়ারা সাধারণত দল বেঁধে, কখনো-বা জোড়াবেঁধে চলে। নদীর ধারে কাশবনে, ফসলের ক্ষেতে, খোলা মাঠের ঘাসবনে মুনিয়াদের দেখা মেলে। মাটিতে হাঁটতে কষ্ট হয় মুনিয়াদের। তাই তারা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। অনেক প্রজাতির মুনিয়া আছে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত পাঁচ প্রজাতির মুনিয়ার সাক্ষাৎ মেলে। এর মধ্যে ধলাকোমর মুনিয়া, লাল মুনিয়া, কালো মাথা মুনিয়া বেশি দেখা যায়।
এরা দলবেঁধে চলতে পছন্দ করে। সচরাচর প্রতিটি ঝাঁকে ১০ থেকে ১৫টি পাখি থাকে। মাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘাসের মধ্যে এরা খাবার খুঁজে বেড়ায়। এদের প্রধান খাবার হচ্ছে ধান, কাউন ও শস্যবীজ।
পাখীপ্রেমিক অজয় দাস বলেন, মুনিয়ারা গাছে যেসব বাসা বাঁধে ওগুলো রেস্টরুম হিসাবে ব্যবহার করে। ঝোপঝাড় কিংবা কাশবনে বাসাগুলোতে স্ত্রী পাখী ডিম পাড়ে, ছানা ফুটোয়। পুরুষ পাখীরা বাসা বানায়। নির্জন জায়গায় বাসা বাঁধতে এরা পছন্দ করে।
লোকালয়ের কাছে মুনিয়াদের বাসা বাঁধার বিষয়টিতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এরা সাধারণত লোকালয়ে থাকে না। তিনি বলেন, শুকনো খড় লতাপাতা বাসা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। নতুন সংসারে পাঁচ থেকে ছয়টি ডিম দেয়। ডিমের রং ধবধবে সাদা হয়। ১২ থেকে ১৬ দিনে ডিম ফুটে ছানা বেরিয়ে আসে। মা-বাবা পালাক্রমে ছানাদের খাদ্যের জোগান আর পাহারা দেয়। মা মুনিয়া ছানাদের ছয় থেকে সাত দিন বুকে আগলে রাখে। ১৫ থেকে ১৯ দিন বয়সের মাথায় মা-বাবার পাশাপাশি ছানা মুনিয়ারাও উড়ে বেড়ায় । কালো মাথা মুনিয়া আকারে একটি ছোট পাখী। এর মাথা ঘাড়,গলা ও বুকের কিছু অংশ কালো হয়। ডানা ও পিঠ লালচে বাদামী রঙের। মুনিয়ার ঠোট শক্ত, ত্রিকোণাকার এবং হালকা নীলচে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে মুনিয়ারা সাত থেকে আট বছর বেঁচে থাকে। তবে খাঁচায় বন্দি করলে এদের গড় আয়ু বড়োজোর চার বছর হয়। ওই এলাকার চল্লিশ বছর বয়সি কৃষক চাঁদ মিয়া বলেন, এর আগে কখনই এমন পাখী দেখি নাই। প্রথম চোখে পড়ছে এই ছোট পাখীদের। কখনও নদীতে, কখনও পুকুরে এদের দলবদ্ধভাবে গোসল করতে দেখি। তাদের গোসলের দৃশ্য খুবই ভাল লাগে। কারণ আমাদের এলাকায় পাখী তেমন চোখে পড়ে না। ওই পাখীগুলোর বাসা আমাদের খুব আকৃষ্ট করে। তাল গাছ, খেজুর গাছ, নারিকেল গাছ ও উঁচু গাছগুলোতে বাবুই পাখীর বাসা দেখেছি। এত ছোট গাছে ও কাশবনে এমন বাসা দেখিনি কখনও। পাখী ও তাদের বাসা দেখে মনের আনন্দ যোগায়।
শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, দুর্লভ পাখীগুলোর রক্ষায় আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাখীগুলোর অনুকুল পরিবেশ তৈরী করতে এলাকাকে জীববৈচিত্র্যময় গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতিতে তারা অনন্তকাল বেঁচে থাক এমন উদ্যোগ নিতে হবে।
কাশবন ও ছোটগাছে দেখা মিলছে বাবুই পাখীর বাসার মত বিস্ময়কর পাখী কালো মাথা মুনিয়ার বাসা। বাবুই পাখীর মত শৈল্পিক নৈপুন্যে নান্দনিক বাসা তৈরী করছে তারাও । নীলফামারীর চরাঞ্চাল, চাড়ালকাটা নদী, ধাইজান নদী সহ কয়েকটি নদীতে ও পাশের জলাধারে কাশবন ও অসংখ্য ছোটগাছে স্বপ্নের নীড় বুনছে কালো মাথা মুনিয়া। সকালে ও সন্ধ্যায় এদের গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। দূরন্তপনা কিশোর-কিশোরীরা হানা দিতে চাইলেও পাখীপ্রেমিক লোকজন তাদের আগলে রাখেন।
ধাইজান নদীর সাথেই মাঝারী গোছের একটি পুকুরের পাড়ে কাশবন ও একটি ছোট ইউকেলিপটাস গাছে দেখা মিলেছে কালো মাথা মুনিয়া পাখীর অসখ্য বাসা। ক্ষণস্থায়ী বাসার উপরেই প্রি-প্রি-প্রি, ব্রিট-ব্রিট,প্রিট-প্রিট এমন ধ্বনী দিয়ে ডাক দিয়ে সাড়িবদ্ধভাবে
মুনিয়া পাখীকে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরার দৃশ্য দেখা গেছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে । এছাড়া নদীবেষ্টিত জলাধার, নদীর দুই পাড়ের কাশবন, ছোটগাছে মুনিয়া পাখীর অসংখ্য বাসা ও তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার ও নদী গবেষণা প্রতিষ্টান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ এই পাখী দেখে বলেন, দুলর্ভ পাখী কালো মাথা মুনিয়া। ছোট্ট সুন্দর পাখিটি খানিকটা লাজুক প্রকৃতির। আকারে চড়ুই পাখির সমান। মুনিয়া বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাস করে। মুনিয়ারা সাধারণত দল বেঁধে, কখনো-বা জোড়াবেঁধে চলে। নদীর ধারে কাশবনে, ফসলের ক্ষেতে, খোলা মাঠের ঘাসবনে মুনিয়াদের দেখা মেলে। মাটিতে হাঁটতে কষ্ট হয় মুনিয়াদের। তাই তারা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। অনেক প্রজাতির মুনিয়া আছে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত পাঁচ প্রজাতির মুনিয়ার সাক্ষাৎ মেলে। এর মধ্যে ধলাকোমর মুনিয়া, লাল মুনিয়া, কালো মাথা মুনিয়া বেশি দেখা যায়।
এরা দলবেঁধে চলতে পছন্দ করে। সচরাচর প্রতিটি ঝাঁকে ১০ থেকে ১৫টি পাখি থাকে। মাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘাসের মধ্যে এরা খাবার খুঁজে বেড়ায়। এদের প্রধান খাবার হচ্ছে ধান, কাউন ও শস্যবীজ।
পাখীপ্রেমিক অজয় দাস বলেন, মুনিয়ারা গাছে যেসব বাসা বাঁধে ওগুলো রেস্টরুম হিসাবে ব্যবহার করে। ঝোপঝাড় কিংবা কাশবনে বাসাগুলোতে স্ত্রী পাখী ডিম পাড়ে, ছানা ফুটোয়। পুরুষ পাখীরা বাসা বানায়। নির্জন জায়গায় বাসা বাঁধতে এরা পছন্দ করে।
লোকালয়ের কাছে মুনিয়াদের বাসা বাঁধার বিষয়টিতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এরা সাধারণত লোকালয়ে থাকে না। তিনি বলেন, শুকনো খড় লতাপাতা বাসা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। নতুন সংসারে পাঁচ থেকে ছয়টি ডিম দেয়। ডিমের রং ধবধবে সাদা হয়। ১২ থেকে ১৬ দিনে ডিম ফুটে ছানা বেরিয়ে আসে। মা-বাবা পালাক্রমে ছানাদের খাদ্যের জোগান আর পাহারা দেয়। মা মুনিয়া ছানাদের ছয় থেকে সাত দিন বুকে আগলে রাখে। ১৫ থেকে ১৯ দিন বয়সের মাথায় মা-বাবার পাশাপাশি ছানা মুনিয়ারাও উড়ে বেড়ায় । কালো মাথা মুনিয়া আকারে একটি ছোট পাখী। এর মাথা ঘাড়,গলা ও বুকের কিছু অংশ কালো হয়। ডানা ও পিঠ লালচে বাদামী রঙের। মুনিয়ার ঠোট শক্ত, ত্রিকোণাকার এবং হালকা নীলচে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে মুনিয়ারা সাত থেকে আট বছর বেঁচে থাকে। তবে খাঁচায় বন্দি করলে এদের গড় আয়ু বড়োজোর চার বছর হয়। ওই এলাকার চল্লিশ বছর বয়সি কৃষক চাঁদ মিয়া বলেন, এর আগে কখনই এমন পাখী দেখি নাই। প্রথম চোখে পড়ছে এই ছোট পাখীদের। কখনও নদীতে, কখনও পুকুরে এদের দলবদ্ধভাবে গোসল করতে দেখি। তাদের গোসলের দৃশ্য খুবই ভাল লাগে। কারণ আমাদের এলাকায় পাখী তেমন চোখে পড়ে না। ওই পাখীগুলোর বাসা আমাদের খুব আকৃষ্ট করে। তাল গাছ, খেজুর গাছ, নারিকেল গাছ ও উঁচু গাছগুলোতে বাবুই পাখীর বাসা দেখেছি। এত ছোট গাছে ও কাশবনে এমন বাসা দেখিনি কখনও। পাখী ও তাদের বাসা দেখে মনের আনন্দ যোগায়।
শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, দুর্লভ পাখীগুলোর রক্ষায় আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাখীগুলোর অনুকুল পরিবেশ তৈরী করতে এলাকাকে জীববৈচিত্র্যময় গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতিতে তারা অনন্তকাল বেঁচে থাক এমন উদ্যোগ নিতে হবে।
পলিথিন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করছে। এরমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে
২১ মিনিট আগেইসলামি ব্যাংককে যে-কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। ইসলামি ব্যাংক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।” বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের অবৈধভাবে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা হয়নি
৩৪ মিনিট আগেরেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পশ্চিম দিকে জাতীয় পার্টির রেলওয়ে শ্রমিক কার্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল বারী নামের এক রেল কর্মচারী সন্ধ্যার পর প্রায় প্রতিদিনই মাদক বিক্রিসহ মাদকের আসর বসাচ্ছেন। স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে থানার ৫০ গজ পূর্ব পার্শ্বে চামুয়া ও বাদশা নামের দুই ব্যক্তি প্রায় প্রতি রাতেই বসাচ্ছেন জমজমাট জুয়া
২ ঘণ্টা আগেসভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষকদের মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
১৯ ঘণ্টা আগেপলিথিন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। সেই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরও কাজ করছে। এরমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে
ইসলামি ব্যাংককে যে-কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। ইসলামি ব্যাংক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।” বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের অবৈধভাবে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা হয়নি
রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পশ্চিম দিকে জাতীয় পার্টির রেলওয়ে শ্রমিক কার্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল বারী নামের এক রেল কর্মচারী সন্ধ্যার পর প্রায় প্রতিদিনই মাদক বিক্রিসহ মাদকের আসর বসাচ্ছেন। স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে থানার ৫০ গজ পূর্ব পার্শ্বে চামুয়া ও বাদশা নামের দুই ব্যক্তি প্রায় প্রতি রাতেই বসাচ্ছেন জমজমাট জুয়া
সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষকদের মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন