সৈয়দপুর, নীলফামারি

মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাওয়ার আশায় আলু সংরক্ষণ করা হলেও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম দিনদিন নিচে নেমে যাচ্ছে। যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে খরচই উঠছে না— বরং লোকসান বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
কৃষি অফিস জানায়, জেলায় ১১টি হিমাগারে মোট ৯০ হাজার টন আলু মজুত ছিল, যার মধ্যে ৪০ হাজার টন ইতোমধ্যে বের করা হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় বাকি আলু এখনও পড়ে আছে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বহুবার তাগাদা দিলেও সংরক্ষণকারীরা আলু বের করতে অনিচ্ছুক।
কৃষকদের দাবি— সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং জোরদার করে এবং হিমাগারে রাখা আলুর জন্য বিশেষ সহায়তা দেয়। কারণ হিমাগার ভাড়া, পরিবহন ও শ্রমিক মজুরি মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুতে ২০–২৫ টাকা খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০–১২ টাকায়। ফলে কেজিপ্রতি ১০–১৩ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কামারপুকুরের কৃষক আয়নাল হক জানান, “গত বছরের মতো এবার দাম নেই। ৬০ কেজি আলু রাখতে ৪০০ টাকা ভাড়া পড়েছে, বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৮০ টাকায়।” বাঙ্গালীপুরের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামের কাছাকাছিও নেই বাজার। ব্যবসায়ীও নেই, আলুও বিক্রি হচ্ছে না।”
বোতলাগাড়ির কৃষক সুমন ইসলাম জানান, ঋণ করে আলু চাষ করেছিলেন, কিন্তু বাজারের দামে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান— যাতে বাজার স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। অনেক কৃষক ক্ষতির কারণে হিমাগার থেকে সামান্য আলু বের করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
গত বছর আলুর কারণে লাভবান হওয়া কিছু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও এবার বড়ো লোকসানের মুখে পড়েছেন। সৈয়দপুরের আলু ব্যবসায়ী হাজী টুনটুন জানান, হাজার হাজার বস্তা আলু মজুত রেখেছেন, কিন্তু কেজিপ্রতি ১০ টাকা লোকসানের কারণে সেগুলো বের করতেও ভয় পাচ্ছেন।
স্থানীয় হিমাগারের মালিকরা জানান— গত বছর লাভজনক দামে দ্রুত আলু বের করে নিলেও এবার দাম না থাকায় আলু পড়ে রয়েছে। নতুন আলু বাজারে আসার আগেই পুরোনো আলু বের না করলে তারা আরও সমস্যায় পড়বেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর ইসলাম জানান, জেলায় প্রায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপণ শেষ হয়েছে, খুব শিগ্গিরই নতুন আলু বাজারে আসবে। দাম ভালো থাকলে কৃষকরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। এ বছর লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের। মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।

মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাওয়ার আশায় আলু সংরক্ষণ করা হলেও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম দিনদিন নিচে নেমে যাচ্ছে। যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে খরচই উঠছে না— বরং লোকসান বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
কৃষি অফিস জানায়, জেলায় ১১টি হিমাগারে মোট ৯০ হাজার টন আলু মজুত ছিল, যার মধ্যে ৪০ হাজার টন ইতোমধ্যে বের করা হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় বাকি আলু এখনও পড়ে আছে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বহুবার তাগাদা দিলেও সংরক্ষণকারীরা আলু বের করতে অনিচ্ছুক।
কৃষকদের দাবি— সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং জোরদার করে এবং হিমাগারে রাখা আলুর জন্য বিশেষ সহায়তা দেয়। কারণ হিমাগার ভাড়া, পরিবহন ও শ্রমিক মজুরি মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুতে ২০–২৫ টাকা খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০–১২ টাকায়। ফলে কেজিপ্রতি ১০–১৩ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কামারপুকুরের কৃষক আয়নাল হক জানান, “গত বছরের মতো এবার দাম নেই। ৬০ কেজি আলু রাখতে ৪০০ টাকা ভাড়া পড়েছে, বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪৮০ টাকায়।” বাঙ্গালীপুরের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামের কাছাকাছিও নেই বাজার। ব্যবসায়ীও নেই, আলুও বিক্রি হচ্ছে না।”
বোতলাগাড়ির কৃষক সুমন ইসলাম জানান, ঋণ করে আলু চাষ করেছিলেন, কিন্তু বাজারের দামে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান— যাতে বাজার স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। অনেক কৃষক ক্ষতির কারণে হিমাগার থেকে সামান্য আলু বের করে গরুকে খাওয়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
গত বছর আলুর কারণে লাভবান হওয়া কিছু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও এবার বড়ো লোকসানের মুখে পড়েছেন। সৈয়দপুরের আলু ব্যবসায়ী হাজী টুনটুন জানান, হাজার হাজার বস্তা আলু মজুত রেখেছেন, কিন্তু কেজিপ্রতি ১০ টাকা লোকসানের কারণে সেগুলো বের করতেও ভয় পাচ্ছেন।
স্থানীয় হিমাগারের মালিকরা জানান— গত বছর লাভজনক দামে দ্রুত আলু বের করে নিলেও এবার দাম না থাকায় আলু পড়ে রয়েছে। নতুন আলু বাজারে আসার আগেই পুরোনো আলু বের না করলে তারা আরও সমস্যায় পড়বেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর ইসলাম জানান, জেলায় প্রায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপণ শেষ হয়েছে, খুব শিগ্গিরই নতুন আলু বাজারে আসবে। দাম ভালো থাকলে কৃষকরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। এ বছর লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের। মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।

রাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
৪ ঘণ্টা আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
৫ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
৬ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি