পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আঁকা দেয়ালচিত্র (গ্রাফিতি) মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে কলেজের দেয়ালে যে চিত্রকর্ম আঁকা হয়েছিল, তা পরিকল্পিতভাবে মুছে ফেলা হয় এবং সেই জায়গায় রাজনৈতিক দলের স্লোগান লিখে দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে দেয়ালচিত্র মুছে ফেলার প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, এই দেয়ালচিত্র ছিল একটি প্রজন্মের প্রতিবাদ, একটি স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। তা মুছে ফেলা মানে ইতিহাস ও চেতনার উপর আঘাত।
অন্যদিকে, সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই দুই পক্ষের কর্মসূচিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও ডিবি মোতায়েন করা হয় কলেজ এলাকায়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “সম্প্রতি কলেজ প্রাঙ্গণে আঁকা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত গ্রাফিতি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা আমাদেরও ব্যথিত করেছে। তবে আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই ইতিহাস মুছে ফেলা কিংবা কোনো আন্দোলনের অবমূল্যায়ন করা ছিল না। আমরা যেসব নতুন চিত্র অঙ্কন করেছি, তাতে তিনজন সংগ্রামী ব্যক্তিকে স্থান দেওয়া হয়েছে, যারা ৯০-এর গণআন্দোলন থেকে শুরু করে আজ অবধি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এটি কোনো সংশোধন নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলছে।
ক্যাম্পাসে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উদ্বিগ্ন। অনেকেই বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কেন্দ্র না হয়ে ওঠে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠন।
পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আঁকা দেয়ালচিত্র (গ্রাফিতি) মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে কলেজের দেয়ালে যে চিত্রকর্ম আঁকা হয়েছিল, তা পরিকল্পিতভাবে মুছে ফেলা হয় এবং সেই জায়গায় রাজনৈতিক দলের স্লোগান লিখে দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে দেয়ালচিত্র মুছে ফেলার প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, এই দেয়ালচিত্র ছিল একটি প্রজন্মের প্রতিবাদ, একটি স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। তা মুছে ফেলা মানে ইতিহাস ও চেতনার উপর আঘাত।
অন্যদিকে, সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার প্রতিবাদে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই দুই পক্ষের কর্মসূচিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও ডিবি মোতায়েন করা হয় কলেজ এলাকায়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “সম্প্রতি কলেজ প্রাঙ্গণে আঁকা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ সম্পর্কিত গ্রাফিতি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা আমাদেরও ব্যথিত করেছে। তবে আমাদের উদ্দেশ্য কখনোই ইতিহাস মুছে ফেলা কিংবা কোনো আন্দোলনের অবমূল্যায়ন করা ছিল না। আমরা যেসব নতুন চিত্র অঙ্কন করেছি, তাতে তিনজন সংগ্রামী ব্যক্তিকে স্থান দেওয়া হয়েছে, যারা ৯০-এর গণআন্দোলন থেকে শুরু করে আজ অবধি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এটি কোনো সংশোধন নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলছে।
ক্যাম্পাসে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উদ্বিগ্ন। অনেকেই বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কেন্দ্র না হয়ে ওঠে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠন।