নজরুল ইসলাম
নরসিংদীর এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম বালুখেকো আব্দুল কাইয়ুম সরকার। মেঘনার রাজা সম্প্রতি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন । বিএনপি তাকে ছাড়লেও তিনি বিএনপিকে ছাড়েননি। গোপনে বিএনপির বড় বড় নেতাদের ম্যানেজ করে অপকর্ম করে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ছিলেন তিনি। ‘বালু খেকো’ এই কাইয়ুমের নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে চলছে নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলার মেঘনানদী থেকে বালু লুটের মহোৎসব । তার বিরুদ্ধে রাজ্জাক চেয়ারম্যান হত্যাসহ ৪টি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে অন্যের জমি জবরদখল করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল ইসলাম সমিরসহ স্থানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, আব্দুল কাইয়ুম মেঘনায় অবৈধ বালু ব্যবসা করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী দোসর পুনর্বাসনেও নিয়োজিত রয়েছেন। তার নানা অপকর্মের কারণে ত্যাগী বিএনপি কর্মীরা এলাকায় কোণঠাসা ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, কাইয়ুম বালু উত্তোলন কাজে ২০টি চুম্বক ড্রেজার ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোকবালীর নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দিনে রাতে চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে মেঘনানদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে ভাঙছে নদীর দুই তীর। এতে এলাকাবাসীর ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে গৃহহারা হয়েছে অনেক মানুষ।
বর্তমানে কোথাও ইজারাকৃত তার কোন বৈধ বালু মহল নাই। তারপরও জেলার বেশ কয়েকটি স্পটে চলছে বালু লুট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ও শান্তিপুর। গত ৫ই জুলাই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বালু লুট বন্ধে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করলে প্রকাশ্যেই বালু লুটকারীরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালান। এর আগে ১৬ জানুয়ারি ও ১৯শে মে দুই দফায় বালু লুটকারীরা অবৈধ বালু উত্তোলন এলাকায় অভিযানে গেলে রায়পুরা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালান। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ভয়ে এখন আর বালু লুটকারীদের বিরুদ্ধে কেউ-মুখ খুলতে চান না।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান, বালুমহাল ইজারা হয়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরাবাদ। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছে সাহেবনগরের শাখাওয়াত হোসেনের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সামিউল ট্রেডার্স। কিন্তু তারা দেদারসে বালু লুট করছেন রায়পুরা সীমানার শান্তিপুর এলাকা থেকে। যে এলাকায় কিছুদিন আগে স্থানীয়রা প্রতিবাদ সভা করেছিলেন, এখন আর সেই এলাকাটিরও অস্তিত্ব নেই,বিলীন হয়ে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বালু লুট কেন্দ্র করে এলাকাটি অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ছে। বালু লুটকারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে থাকেন। বালু লুটের সীমানা এলাকা জুড়ে থাকে তাদের বিশেষ পাহাড়া চলে দিনে-রাতে । চক্রটি স্পিডবোটযোগে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাখেন।
কাইয়ুমের সাথে আছে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। মির্জারচরে বালু উত্তোলন করতে সহায়তা করছে নূর ইসলাম ,ইমান আলী, হারুন ও হান্নান গং। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মির্জারচরকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। ৫ আগস্টের আগে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ঈমান আলী, বাশগাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন মিয়া , নীলক্ষ্যা ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মো: হান্নান মিয়া , চরমধুয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ, তারাই মুলতঃ বালু লুটের মূল কারিগর। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কাইয়ুম সরকার। এদের প্রত্যেকের নামে হত্যা, অস্ত্র, পুলিশের ওপর হামলা, লুটতরাজের মামলা রয়েছে।
৫ই আগস্টের আগে তারা সবাই-ই আ'লীগের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। এখন আবার তাদেরকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ও নানা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। অভিযোগ আছে কাইয়ুম উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতাদের ম্যানেজ করে এই বালু লুট চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, যারা জড়িত আছে তাদেরকে আমি বিএনপির নেতাকর্মী বলি না, তারা দলের আদর্শ ধারণ করেন না। তাদের যদি এসবই করতে হয় দল কেন করবেন? চুরি, ডাকাতি করলেই পারে। তাদের আমলনামা সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছেও আছে। সময়মতো তাদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সভাপতি ও নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও রায়পুরার সন্তান মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ নিখাদ খবরকে বলেন, যারা এখন বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত তাদের একজনও বিএনপির নেতাকর্মী নয়। তবে ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। কারো অপকর্মের দায় বিএনপি নিবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুইবার হামলার শিকার হয়েছেন। এরপরও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি সরকারে কাজে বাধা ও হামলার ফলে কোন মামলাও করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে গত ৮ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে বিএনপি প্রাথমিক সদস্য সহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরপরও সে আলোকবালীর নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকাসহ একাধিক স্থানে অবৈধ চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে মেঘনা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে।
সম্প্রতি বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শতাধিক কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ১৩৯ জন কৃষক এ অভিযোগে করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কাইয়ুম ১৮ থেকে ২০টি খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এতে গৌরীপুরা চরের কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকশ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরি।
অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে করলে তিনি বলেন, আমি ডিসি অফিস থেকে গত তিন মাস আগে বালু মহলের ইজারা নিয়েছি। বৈধ ভাবেই বালু উত্তোলন করছি।
তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: নাজমুল হাসান নিখাদ খবরকে বলেন, কাউকে কোন বালুমহাল ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ উত্তোলন করে থাকেন তাহলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে। আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে।
নরসিংদীর এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম বালুখেকো আব্দুল কাইয়ুম সরকার। মেঘনার রাজা সম্প্রতি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন । বিএনপি তাকে ছাড়লেও তিনি বিএনপিকে ছাড়েননি। গোপনে বিএনপির বড় বড় নেতাদের ম্যানেজ করে অপকর্ম করে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ছিলেন তিনি। ‘বালু খেকো’ এই কাইয়ুমের নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে চলছে নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলার মেঘনানদী থেকে বালু লুটের মহোৎসব । তার বিরুদ্ধে রাজ্জাক চেয়ারম্যান হত্যাসহ ৪টি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে অন্যের জমি জবরদখল করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল ইসলাম সমিরসহ স্থানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, আব্দুল কাইয়ুম মেঘনায় অবৈধ বালু ব্যবসা করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী দোসর পুনর্বাসনেও নিয়োজিত রয়েছেন। তার নানা অপকর্মের কারণে ত্যাগী বিএনপি কর্মীরা এলাকায় কোণঠাসা ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, কাইয়ুম বালু উত্তোলন কাজে ২০টি চুম্বক ড্রেজার ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরে আলোকবালীর নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দিনে রাতে চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে মেঘনানদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে ভাঙছে নদীর দুই তীর। এতে এলাকাবাসীর ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে গৃহহারা হয়েছে অনেক মানুষ।
বর্তমানে কোথাও ইজারাকৃত তার কোন বৈধ বালু মহল নাই। তারপরও জেলার বেশ কয়েকটি স্পটে চলছে বালু লুট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ও শান্তিপুর। গত ৫ই জুলাই ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বালু লুট বন্ধে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করলে প্রকাশ্যেই বালু লুটকারীরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালান। এর আগে ১৬ জানুয়ারি ও ১৯শে মে দুই দফায় বালু লুটকারীরা অবৈধ বালু উত্তোলন এলাকায় অভিযানে গেলে রায়পুরা উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর উপর্যুপরি হামলা চালান। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ভয়ে এখন আর বালু লুটকারীদের বিরুদ্ধে কেউ-মুখ খুলতে চান না।
স্থানীয় বাসিন্দার জানান, বালুমহাল ইজারা হয়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরাবাদ। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছে সাহেবনগরের শাখাওয়াত হোসেনের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সামিউল ট্রেডার্স। কিন্তু তারা দেদারসে বালু লুট করছেন রায়পুরা সীমানার শান্তিপুর এলাকা থেকে। যে এলাকায় কিছুদিন আগে স্থানীয়রা প্রতিবাদ সভা করেছিলেন, এখন আর সেই এলাকাটিরও অস্তিত্ব নেই,বিলীন হয়ে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বালু লুট কেন্দ্র করে এলাকাটি অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ছে। বালু লুটকারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে থাকেন। বালু লুটের সীমানা এলাকা জুড়ে থাকে তাদের বিশেষ পাহাড়া চলে দিনে-রাতে । চক্রটি স্পিডবোটযোগে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাখেন।
কাইয়ুমের সাথে আছে এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। মির্জারচরে বালু উত্তোলন করতে সহায়তা করছে নূর ইসলাম ,ইমান আলী, হারুন ও হান্নান গং। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মির্জারচরকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। ৫ আগস্টের আগে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ঈমান আলী, বাশগাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন মিয়া , নীলক্ষ্যা ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি প্রার্থী মো: হান্নান মিয়া , চরমধুয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ, তারাই মুলতঃ বালু লুটের মূল কারিগর। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কাইয়ুম সরকার। এদের প্রত্যেকের নামে হত্যা, অস্ত্র, পুলিশের ওপর হামলা, লুটতরাজের মামলা রয়েছে।
৫ই আগস্টের আগে তারা সবাই-ই আ'লীগের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। এখন আবার তাদেরকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ও নানা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। অভিযোগ আছে কাইয়ুম উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতাদের ম্যানেজ করে এই বালু লুট চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, যারা জড়িত আছে তাদেরকে আমি বিএনপির নেতাকর্মী বলি না, তারা দলের আদর্শ ধারণ করেন না। তাদের যদি এসবই করতে হয় দল কেন করবেন? চুরি, ডাকাতি করলেই পারে। তাদের আমলনামা সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছেও আছে। সময়মতো তাদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সভাপতি ও নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও রায়পুরার সন্তান মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ নিখাদ খবরকে বলেন, যারা এখন বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত তাদের একজনও বিএনপির নেতাকর্মী নয়। তবে ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। কারো অপকর্মের দায় বিএনপি নিবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুইবার হামলার শিকার হয়েছেন। এরপরও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি সরকারে কাজে বাধা ও হামলার ফলে কোন মামলাও করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে গত ৮ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকারকে বিএনপি প্রাথমিক সদস্য সহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরপরও সে আলোকবালীর নেকজানপুর ও গৌরিপুরার চর এলাকাসহ একাধিক স্থানে অবৈধ চুম্বক ড্রেজার বসিয়ে মেঘনা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে।
সম্প্রতি বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শতাধিক কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ১৩৯ জন কৃষক এ অভিযোগে করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কাইয়ুম ১৮ থেকে ২০টি খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এতে গৌরীপুরা চরের কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকশ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরি।
অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে করলে তিনি বলেন, আমি ডিসি অফিস থেকে গত তিন মাস আগে বালু মহলের ইজারা নিয়েছি। বৈধ ভাবেই বালু উত্তোলন করছি।
তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: নাজমুল হাসান নিখাদ খবরকে বলেন, কাউকে কোন বালুমহাল ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ উত্তোলন করে থাকেন তাহলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে। আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
৩ ঘণ্টা আগেচন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি
৫ ঘণ্টা আগেএই প্রকল্পের লক্ষ্য- দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়া। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার মানে সমতা আনা এবং শিক্ষার্থীদের শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হবে
৫ ঘণ্টা আগেঅভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
দুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি