খুলনা

জেলেদের ভাষায়, “এই পাঁচ মাসই আমাদের সারা বছরের জীবন।” কারণ এই সময়েই তৈরি হয় প্রায় ৩০–৩৫ কোটি টাকার শুটকি, আর সরকার পায় ৬–৮ কোটি টাকার রাজস্ব। শুধু অর্থনীতি নয়, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো পরিবারের জীবনধারা ও খাদ্যনিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
লবণজলের সঙ্গে জীবনযুদ্ধ
চরে চোখে পড়ে ছোট নলকূপ—নোনাধরা পানি দিয়ে রান্না, পান ও ধোয়া-মোছা চলে। খুলনার কয়রার জেলে আব্দুল হাই বলেন, “এই পানি ছাড়া আমাদের জীবন চলবে না।” বিদ্যুৎহীনতার মধ্যেও সৌর প্যানেল ও জেনারেটরের আলোতে দোকান, মোবাইল চার্জিং, ওয়েল্ডিং—সব কাজ চলে।
ভোরেই অর্থের লড়াই
সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কেউ মাছ নামাচ্ছে, কেউ ধুয়ে শুকানোর কাজ করছে। পাঁচ মাসে ৬৫ হাজার কুইন্টাল শুটকি উৎপাদিত হয়, যা দেশের বড় শহরগুলোতে যায়। শুটকি উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রি ও প্যাকেজিং—সব মিলিয়ে একটি বিশাল অর্থনৈতিক চক্র সচল থাকে।
রামপালের কামরুল ইসলাম বলেন, “মাছ ভালো না হলে খালি জাল, কিন্তু পরের দিন আবার সমুদ্রে নামতেই হবে।”
শিশুশ্রম এখনও অর্ধেক
দুবলার চরের শুটকি পল্লীতে আগে শিশু শ্রম প্রচলিত ছিল। এখন কমেছে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অনটন অনেক পরিবারকে বাধ্য করে সন্তানদের কাজে লাগাতে। কয়রার কিশোর ইয়াসিন বলেন, “কত বেতন পাব তা জানি না, তবে কাজ শিখছি।”
ঝড়ের ছায়া
নভেম্বর মানেই ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি—সিডর, আইলা, মহসেন এখনও জীবন্ত। জোয়ারে ঘর তলিয়ে যায়, সতর্কতামূলক মাইকিং, টহল ও নৌকা থাকলেও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।
নিউ মার্কেট—অস্থায়ী শহরের চিত্র
চরের মাঝখানে গড়ে ওঠা নিউ মার্কেট মিনি শহরের মতো। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ মাসের জন্য এখানে আসে। সাতক্ষীরার সমিরণ দাস বলেন, “গ্রামে সাত মাস, এই চরেই পাঁচ মাস ব্যবসা করি। এই চরই আমাদের জীবন।”
সরকারি রাজস্ব ও পর্যটন
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ২০২৪–২৫ মৌসুমে দুবলার চরের শুটকি পল্লী থেকে ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব এসেছে; ২০২৫–২৬ মৌসুমে লক্ষ্য ৮ কোটি টাকা। পর্যটন ও জেলে নিরাপত্তা এবার আরও নিয়মতান্ত্রিক।
পর্যটক ফারজানা রহমান ময়না বলেন, “পুরো দ্বীপটি অত্যন্ত পরিস্কার। শুটকি পল্লীতে একটিও মাছি নেই—এটা সত্যিই বিস্ময়কর।”
দুবলার চর—অস্থায়ী জীবনের স্থায়ী সংগ্রাম
দুবলার চর শুধু অর্থনীতির গল্প নয়; এটি মানুষের অভিযোজন, ধৈর্য ও প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। ঝড়, লোনা জল ও দুর্ভোগের মাঝেও প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। সামান্য বালুচর থেকে গড়ে ওঠা এই ভাসমান জনপদ প্রমাণ করে—বাংলাদেশের উপকূলীয় মানুষের শক্তি শুধু বেঁচে থাকার নয়, বাঁচিয়ে রাখারও।

জেলেদের ভাষায়, “এই পাঁচ মাসই আমাদের সারা বছরের জীবন।” কারণ এই সময়েই তৈরি হয় প্রায় ৩০–৩৫ কোটি টাকার শুটকি, আর সরকার পায় ৬–৮ কোটি টাকার রাজস্ব। শুধু অর্থনীতি নয়, এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো পরিবারের জীবনধারা ও খাদ্যনিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
লবণজলের সঙ্গে জীবনযুদ্ধ
চরে চোখে পড়ে ছোট নলকূপ—নোনাধরা পানি দিয়ে রান্না, পান ও ধোয়া-মোছা চলে। খুলনার কয়রার জেলে আব্দুল হাই বলেন, “এই পানি ছাড়া আমাদের জীবন চলবে না।” বিদ্যুৎহীনতার মধ্যেও সৌর প্যানেল ও জেনারেটরের আলোতে দোকান, মোবাইল চার্জিং, ওয়েল্ডিং—সব কাজ চলে।
ভোরেই অর্থের লড়াই
সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। কেউ মাছ নামাচ্ছে, কেউ ধুয়ে শুকানোর কাজ করছে। পাঁচ মাসে ৬৫ হাজার কুইন্টাল শুটকি উৎপাদিত হয়, যা দেশের বড় শহরগুলোতে যায়। শুটকি উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রি ও প্যাকেজিং—সব মিলিয়ে একটি বিশাল অর্থনৈতিক চক্র সচল থাকে।
রামপালের কামরুল ইসলাম বলেন, “মাছ ভালো না হলে খালি জাল, কিন্তু পরের দিন আবার সমুদ্রে নামতেই হবে।”
শিশুশ্রম এখনও অর্ধেক
দুবলার চরের শুটকি পল্লীতে আগে শিশু শ্রম প্রচলিত ছিল। এখন কমেছে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অনটন অনেক পরিবারকে বাধ্য করে সন্তানদের কাজে লাগাতে। কয়রার কিশোর ইয়াসিন বলেন, “কত বেতন পাব তা জানি না, তবে কাজ শিখছি।”
ঝড়ের ছায়া
নভেম্বর মানেই ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি—সিডর, আইলা, মহসেন এখনও জীবন্ত। জোয়ারে ঘর তলিয়ে যায়, সতর্কতামূলক মাইকিং, টহল ও নৌকা থাকলেও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।
নিউ মার্কেট—অস্থায়ী শহরের চিত্র
চরের মাঝখানে গড়ে ওঠা নিউ মার্কেট মিনি শহরের মতো। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ মাসের জন্য এখানে আসে। সাতক্ষীরার সমিরণ দাস বলেন, “গ্রামে সাত মাস, এই চরেই পাঁচ মাস ব্যবসা করি। এই চরই আমাদের জীবন।”
সরকারি রাজস্ব ও পর্যটন
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ২০২৪–২৫ মৌসুমে দুবলার চরের শুটকি পল্লী থেকে ৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব এসেছে; ২০২৫–২৬ মৌসুমে লক্ষ্য ৮ কোটি টাকা। পর্যটন ও জেলে নিরাপত্তা এবার আরও নিয়মতান্ত্রিক।
পর্যটক ফারজানা রহমান ময়না বলেন, “পুরো দ্বীপটি অত্যন্ত পরিস্কার। শুটকি পল্লীতে একটিও মাছি নেই—এটা সত্যিই বিস্ময়কর।”
দুবলার চর—অস্থায়ী জীবনের স্থায়ী সংগ্রাম
দুবলার চর শুধু অর্থনীতির গল্প নয়; এটি মানুষের অভিযোজন, ধৈর্য ও প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। ঝড়, লোনা জল ও দুর্ভোগের মাঝেও প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। সামান্য বালুচর থেকে গড়ে ওঠা এই ভাসমান জনপদ প্রমাণ করে—বাংলাদেশের উপকূলীয় মানুষের শক্তি শুধু বেঁচে থাকার নয়, বাঁচিয়ে রাখারও।

রাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
৪ ঘণ্টা আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
৫ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
৬ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা বন্ধ ঘোষণা করায় ক্রেতাদের জন্য দিনের শুরু থেকেই বিভ্রান্তি ও ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, স্টার্ন প্লাজাসহ বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা মোবাইল কিনতে বা সারাতে এসে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট বন্ধ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শীতকালীন ছুটি নতুন করে পুনঃনির্ধারণ করেছে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মা–মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গভীর রাতে গজারিয়া ইউনিয়নের মুচারিয়া পাথার গ্রামে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা শাহনাজ বেগম (৫৮) নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সাজেদাকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে ৫৩ বিজিবি