নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাঠাগারের জায়গা নির্ধারণ না করতে পারায় ৫৩ লাখ টাকা ফেরত দিতে হয়েছে, যা বইপ্রেমীসহ জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি পাঠাগার নির্মাণ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাগার তৈরি হলেও সৈয়দপুরে ব্যয় হতেই হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাঠাগারের নতুন ভবনের জন্য জমির প্রস্তাবনা না দিয়ে উপজেলা কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছেন।

স্থানীয়রা মনে করেন, সরকারি পাঠাগারটি ক্যান্টনমেন্ট সড়কের স্মৃতিসৌধের পাশে নির্মাণ করা হলে নিরিবিলি পরিবেশে পাঠকরা সুবিধা পেতেন। স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, লায়ন্স স্কুল ও কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ।

এরই মধ্যে সৈয়দপুরে সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের দাবিতে সুধীজনদের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সৈয়দপুর উপজেলা সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি বাসতবায়ন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সৈয়দপুর ইউএনও ও পৌর প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, শহরে বেশিরভাগ জমি রেলওয়ের। পাঠাগারের জন্য বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা পরবর্তী ইউএনও বাস্তবায়ন করবেন।