কালিগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল কার্যত অচল
মোজাফফর রহমান

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এ হাসপাতালে নিয়মিত কর্মরত থাকার কথা তালিকা অনুযায়ী ১৬৮ জন। তারাই বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন। সে হিসেবে হাসপাতালের মোট জনবলের সংখ্যা নির্দিষ্ট নিয়মে নির্ধারিত হলে, কনসালট্যান্ট (বিভিন্ন বিভাগ), রেসিডেন্ট/মেডিক্যাল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার। সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ। ল্যাব টেকনিশিয়ান, এক্স-রে/ইমেজিং টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট। ওয়ার্ড বয়/আয়া, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লিনার, ক্যাটারিং স্টাফ।
ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, রিসেপশনিস্ট।
২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদানের জন্য ৩ শিফটে কাজ করবেন। চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে ২৫ জন স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, টেকনোলোজিস্ট, ওয়ার্ড বয় থেকে মালি পর্যন্ত বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন ও বেতন সুবিধাদি ভোগ করছেন চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যতিত। অথচ খবরের অন্তরালে সরকারী ঔষধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধাদি লুটপাট করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী রোগীদের।
বুধবার দিনব্যাপী সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক। এর বাইরে ডা. এ এম মুসাদ্দিক হোসাইন খান সপ্তাহে মাত্র দুই দিন রোগী দেখেন এবং ডা. গৌতম চক্রবর্তী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন বিধায় কালিগঞ্জে পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তিনজন চিকিৎসকের।
চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে ইমার্জেন্সি বিভাগে স্ট্রোক ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী ভর্তি দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, রেফার্ডের নামে সময় ক্ষেপণ করা হয়। এতে পথিমধ্যে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়ে, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, হাসপাতালের ভেতর ও আশপাশে সক্রিয় রয়েছে একটি দালাল চক্র। তারা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করছে, আবার অনেককে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিতে প্রলুব্ধ করছে। ফলে রোগীরা একদিকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
শফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নিতে গেলে প্যারাসিটামল আর পেট কামড়ানোর ওষুধ ছাড়া কিছুই পাই না। ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, নামে মাত্র সরকারি হাসপাতাল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে কালিগঞ্জের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইব্রাহিম বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, কালিগঞ্জ হাসপাতালে ডাক্তার নেই। রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে, দালালের খপ্পরে পড়ছে। কোনো চিকিৎসা না দিয়ে শুধু ‘রেফার্ড’ করে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রূপা রানী পাল বলেন, আমাদের ডাক্তার সংকট চরমে। আমি সহ মোট তিনজন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। এখানে ৩৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এই মুহূর্তে আমার সাথে আছে ডা. অঞ্জন এবং ডা. আজাদুল হক। তবে আরও চিকিৎসক পদায়ন করা হলে সেবার মান উন্নত হবে। এছাড়া সম্ভব নয়।
স্থানীয় লোকজনের দাবী, দ্রুত কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ, বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা, অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। এ হাসপাতালে নিয়মিত কর্মরত থাকার কথা তালিকা অনুযায়ী ১৬৮ জন। তারাই বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন। সে হিসেবে হাসপাতালের মোট জনবলের সংখ্যা নির্দিষ্ট নিয়মে নির্ধারিত হলে, কনসালট্যান্ট (বিভিন্ন বিভাগ), রেসিডেন্ট/মেডিক্যাল অফিসার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার। সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ। ল্যাব টেকনিশিয়ান, এক্স-রে/ইমেজিং টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট। ওয়ার্ড বয়/আয়া, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লিনার, ক্যাটারিং স্টাফ।
ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, রিসেপশনিস্ট।
২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদানের জন্য ৩ শিফটে কাজ করবেন। চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে ২৫ জন স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ, টেকনোলোজিস্ট, ওয়ার্ড বয় থেকে মালি পর্যন্ত বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন ও বেতন সুবিধাদি ভোগ করছেন চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যতিত। অথচ খবরের অন্তরালে সরকারী ঔষধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুবিধাদি লুটপাট করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী রোগীদের।
বুধবার দিনব্যাপী সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক। এর বাইরে ডা. এ এম মুসাদ্দিক হোসাইন খান সপ্তাহে মাত্র দুই দিন রোগী দেখেন এবং ডা. গৌতম চক্রবর্তী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন বিধায় কালিগঞ্জে পূর্ণ সময় উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রতিদিন শত শত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তিনজন চিকিৎসকের।
চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে ইমার্জেন্সি বিভাগে স্ট্রোক ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী ভর্তি দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, রেফার্ডের নামে সময় ক্ষেপণ করা হয়। এতে পথিমধ্যে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়ে, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, হাসপাতালের ভেতর ও আশপাশে সক্রিয় রয়েছে একটি দালাল চক্র। তারা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করছে, আবার অনেককে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিতে প্রলুব্ধ করছে। ফলে রোগীরা একদিকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
শফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নিতে গেলে প্যারাসিটামল আর পেট কামড়ানোর ওষুধ ছাড়া কিছুই পাই না। ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, নামে মাত্র সরকারি হাসপাতাল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে কালিগঞ্জের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইব্রাহিম বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, কালিগঞ্জ হাসপাতালে ডাক্তার নেই। রোগীরা প্রতারিত হচ্ছে, দালালের খপ্পরে পড়ছে। কোনো চিকিৎসা না দিয়ে শুধু ‘রেফার্ড’ করে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রূপা রানী পাল বলেন, আমাদের ডাক্তার সংকট চরমে। আমি সহ মোট তিনজন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চালানো হচ্ছে। এখানে ৩৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এই মুহূর্তে আমার সাথে আছে ডা. অঞ্জন এবং ডা. আজাদুল হক। তবে আরও চিকিৎসক পদায়ন করা হলে সেবার মান উন্নত হবে। এছাড়া সম্ভব নয়।
স্থানীয় লোকজনের দাবী, দ্রুত কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ, বন্ধ থাকা বিভাগগুলো চালু করা, অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে।

দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
“দক্ষতা নিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিটেন্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যে জামালপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শো
২ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পানছড়ি উপজেলার বাবুরাপাড়া খেলার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওয়াপদা কলোনিতে সামরিক ঘাঁটি ও টর্চার সেল স্থাপন করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কীর্তনখোলা ও সাগরদী খাল সংলগ্ন এই ঘাঁটি থেকে ঝালকাঠি, ভোলা ও পটুয়াখালী এলাকায় লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হতো। স্বাধীনতার পর এটি বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া
২ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
“দক্ষতা নিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিটেন্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যে জামালপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শো
পার্বত্য এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পানছড়ি উপজেলার বাবুরাপাড়া খেলার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওয়াপদা কলোনিতে সামরিক ঘাঁটি ও টর্চার সেল স্থাপন করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কীর্তনখোলা ও সাগরদী খাল সংলগ্ন এই ঘাঁটি থেকে ঝালকাঠি, ভোলা ও পটুয়াখালী এলাকায় লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হতো। স্বাধীনতার পর এটি বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া