উৎসবের রঙে রাঙা বাগেরহাটের উপকূল:
বাগেরহাট
বৈশাখের খরতাপ উপেক্ষা করে এখন যেন উপকূলজুড়ে এক অন্যরকম উৎসবের আবহ। বাগেরহাটের মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল- প্রায় সব উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান কাটার ধুম। কৃষকের চোখে-মুখে প্রশান্তির ছাপ। ক্ষেতজুড়ে সোনালী রঙের ঢেউ, বাতাসে পাকা ধানের গন্ধ- সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতি নিজেই কৃষকের কষ্টের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
চরাঞ্চল থেকে বিল, উঁচু-নিচু মাঠ- সবখানে চলছে ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো আর সংরক্ষণের ব্যস্ততা। কোথাও আধুনিক হার্ভেস্টার মেশিন গর্জে উঠছে, কোথাও কাস্তে হাতে কৃষক-কৃষাণির ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। আর এই শ্রম-সংগ্রামেই জড়িয়ে আছে উৎসবের আনন্দ, বেঁচে থাকার আশ্বাস।
রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই, উজলকুড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ঘুরে দেখা গেল, মাঠের মাঝেই চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। সামিয়ানা টানিয়ে অস্থায়ী জায়গায় প্রস্তুত করা হয়েছে ধান শুকানোর ব্যবস্থা। একই ছবি মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায়। সেখানেও চলছে ফসল ঘরে তোলার উৎসব।
স্থানীয় কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বললেন, এখন আর বাইরের শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমরা নিজেরাই ধান লাগানো থেকে কাটা পর্যন্ত সব করি। এই ধান কাটা শুধু খাদ্যের জন্য না- এটা আমাদের জীবনের লড়াই, উৎসবও।
একই কথা বললেন মোরেলগঞ্জের কৃষাণী শামসুন্নাহার বেগম। শ্রমিকের দাম অনেক বেশি, তাই নিজেরাই কাজ করি। কষ্ট হলেও যখন দেখি ফলন ভালো হয়েছে, তখন মনের ভিতর এক অদ্ভুত আনন্দ লাগে।”
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানালেন, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার হেক্টর জমি, যা ছাড়িয়ে ৬৫ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০ শতাংশ ধান কাটা শেষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবার ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি। কৃষক যেন দ্রুত ও নিরাপদে ফসল ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য জেলা কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।”
তবে শুধু আনন্দ নয়, চ্যালেঞ্জও কম নেই উপকূলের কৃষকদের সামনে। সড়ক সম্প্রসারণ কাজ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, নদী ও খাল মরে যাওয়া- এসবই সেচ ব্যবস্থা ও আবাদে প্রভাব ফেলছে।
তবু কৃষক থেমে নেই। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন ধীরে ধীরে জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদে অভ্যস্ত হচ্ছেন। প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এবার তারা নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত দেখছেন।
ফলন ভালো হওয়ায় ফসল ঘরে তোলার এই সময়টা হয়ে উঠেছে কেবল কৃষিকাজ নয়, বরং এক প্রাণবন্ত উৎসব, জীবনের এক নতুন আশার আলো।
বৈশাখের খরতাপ উপেক্ষা করে এখন যেন উপকূলজুড়ে এক অন্যরকম উৎসবের আবহ। বাগেরহাটের মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রামপাল- প্রায় সব উপজেলার মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান কাটার ধুম। কৃষকের চোখে-মুখে প্রশান্তির ছাপ। ক্ষেতজুড়ে সোনালী রঙের ঢেউ, বাতাসে পাকা ধানের গন্ধ- সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতি নিজেই কৃষকের কষ্টের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
চরাঞ্চল থেকে বিল, উঁচু-নিচু মাঠ- সবখানে চলছে ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো আর সংরক্ষণের ব্যস্ততা। কোথাও আধুনিক হার্ভেস্টার মেশিন গর্জে উঠছে, কোথাও কাস্তে হাতে কৃষক-কৃষাণির ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। আর এই শ্রম-সংগ্রামেই জড়িয়ে আছে উৎসবের আনন্দ, বেঁচে থাকার আশ্বাস।
রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই, উজলকুড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ঘুরে দেখা গেল, মাঠের মাঝেই চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। সামিয়ানা টানিয়ে অস্থায়ী জায়গায় প্রস্তুত করা হয়েছে ধান শুকানোর ব্যবস্থা। একই ছবি মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায়। সেখানেও চলছে ফসল ঘরে তোলার উৎসব।
স্থানীয় কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বললেন, এখন আর বাইরের শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমরা নিজেরাই ধান লাগানো থেকে কাটা পর্যন্ত সব করি। এই ধান কাটা শুধু খাদ্যের জন্য না- এটা আমাদের জীবনের লড়াই, উৎসবও।
একই কথা বললেন মোরেলগঞ্জের কৃষাণী শামসুন্নাহার বেগম। শ্রমিকের দাম অনেক বেশি, তাই নিজেরাই কাজ করি। কষ্ট হলেও যখন দেখি ফলন ভালো হয়েছে, তখন মনের ভিতর এক অদ্ভুত আনন্দ লাগে।”
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানালেন, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার হেক্টর জমি, যা ছাড়িয়ে ৬৫ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০ শতাংশ ধান কাটা শেষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে এবার ফলন বেশি হবে বলে আশা করছি। কৃষক যেন দ্রুত ও নিরাপদে ফসল ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য জেলা কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।”
তবে শুধু আনন্দ নয়, চ্যালেঞ্জও কম নেই উপকূলের কৃষকদের সামনে। সড়ক সম্প্রসারণ কাজ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, নদী ও খাল মরে যাওয়া- এসবই সেচ ব্যবস্থা ও আবাদে প্রভাব ফেলছে।
তবু কৃষক থেমে নেই। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন ধীরে ধীরে জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদে অভ্যস্ত হচ্ছেন। প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে এবার তারা নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত দেখছেন।
ফলন ভালো হওয়ায় ফসল ঘরে তোলার এই সময়টা হয়ে উঠেছে কেবল কৃষিকাজ নয়, বরং এক প্রাণবন্ত উৎসব, জীবনের এক নতুন আশার আলো।
খোড়লকাটি বাজারে ভালো কোন দোকানপাট নেই, উন্নত মানের কোন চিকিৎসালয় নেই, বাজারটার বয়স ৫০ বছর হয়ে গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীতে মশক নিধন অভিযানে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে খুলনার জনপদ। এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
৭ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাথরবোঝাই এক ট্রাকের চাপায় সঞ্জয় চন্দ্র রায় (১৪) ও অনিক চন্দ্র রায় (১৩) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেখোড়লকাটি বাজারে ভালো কোন দোকানপাট নেই, উন্নত মানের কোন চিকিৎসালয় নেই, বাজারটার বয়স ৫০ বছর হয়ে গেছে।
রাজধানীতে মশক নিধন অভিযানে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে খুলনার জনপদ। এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাথরবোঝাই এক ট্রাকের চাপায় সঞ্জয় চন্দ্র রায় (১৪) ও অনিক চন্দ্র রায় (১৩) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।