আমির খসরু লাবলু

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১ হাজার ৮৭০টি শীতার্ত ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় সংস্থার পক্ষ থেকে ১ হাজার ২০০টি কম্বল, ৫০০টি মহিলা শাল এবং ১৭০টি রুম হিটার বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকার প্রতিনিধিবৃন্দ সরেজমিনে গিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নির্বাচন করেন। বিশেষ করে যেসব মানুষ অর্থের অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে অক্ষম এমন বয়স্ক, নারী, শিশু ও অসহায় পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ শীত সহায়তা প্রদান করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর নাহিদ সুলতানা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ, জাকাত ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র ও রুম হিটার পেয়ে উপকারভোগীরা জাকাত ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সদর উপজেলার বয়স্ক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ। এই শীতে কম্বল কেনার সামর্থ্য ছিল না। জাকাত ফাউন্ডেশন যে কম্বলটা দিয়েছে, তাতে এই কনকনে ঠান্ডায় একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারবো।
সদর উপজেলার ভক্তি বালা বলেন, শীতে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। শালটা পেয়ে অনেক উপকার হলো। রাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা কম লাগবে।
একজন বিধবা নারী উপকারভোগী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, স্বামী নেই, আয় করার কেউ নেই। এই শীতে কীভাবে চলবো ভাবছিলাম। আল্লাহ জাকাত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করেছেন।
একজন প্রবীণ উপকারভোগী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এই বয়সে ঠান্ডা সহ্য করা খুব কষ্টের। কম্বলটা আমার জন্য অনেক বড় সহায়তা। যারা দিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ সুলতানা বলেন, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। তীব্র শীতে এখানকার মানুষের কষ্ট লাঘবে জাকাত ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য রুম হিটার ও কম্বল কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেবে। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের এই কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে এলে অসহায় মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, চলতি শীত মৌসুমে জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা শুধু পঞ্চগড়েই নয়, পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলাতেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে সংস্থাটি সারাদেশে সর্বমোট ৩ হাজার ৬০০টি কম্বল, ১ হাজার ৫০০টি শাল এবং ৫০০টি রুম হিটার বিতরণ করছে।
জাকাত ফাউন্ডেশনের এই মানবিক উদ্যোগে উপকৃত পরিবারগুলো স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১ হাজার ৮৭০টি শীতার্ত ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় সংস্থার পক্ষ থেকে ১ হাজার ২০০টি কম্বল, ৫০০টি মহিলা শাল এবং ১৭০টি রুম হিটার বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকার প্রতিনিধিবৃন্দ সরেজমিনে গিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের নির্বাচন করেন। বিশেষ করে যেসব মানুষ অর্থের অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে অক্ষম এমন বয়স্ক, নারী, শিশু ও অসহায় পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ শীত সহায়তা প্রদান করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর নাহিদ সুলতানা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ, জাকাত ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র ও রুম হিটার পেয়ে উপকারভোগীরা জাকাত ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সদর উপজেলার বয়স্ক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ। এই শীতে কম্বল কেনার সামর্থ্য ছিল না। জাকাত ফাউন্ডেশন যে কম্বলটা দিয়েছে, তাতে এই কনকনে ঠান্ডায় একটু হলেও শান্তিতে থাকতে পারবো।
সদর উপজেলার ভক্তি বালা বলেন, শীতে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। শালটা পেয়ে অনেক উপকার হলো। রাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা কম লাগবে।
একজন বিধবা নারী উপকারভোগী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, স্বামী নেই, আয় করার কেউ নেই। এই শীতে কীভাবে চলবো ভাবছিলাম। আল্লাহ জাকাত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করেছেন।
একজন প্রবীণ উপকারভোগী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এই বয়সে ঠান্ডা সহ্য করা খুব কষ্টের। কম্বলটা আমার জন্য অনেক বড় সহায়তা। যারা দিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ সুলতানা বলেন, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। তীব্র শীতে এখানকার মানুষের কষ্ট লাঘবে জাকাত ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য রুম হিটার ও কম্বল কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেবে। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের এই কার্যক্রম।
তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে এলে অসহায় মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, চলতি শীত মৌসুমে জাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা শুধু পঞ্চগড়েই নয়, পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলাতেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে সংস্থাটি সারাদেশে সর্বমোট ৩ হাজার ৬০০টি কম্বল, ১ হাজার ৫০০টি শাল এবং ৫০০টি রুম হিটার বিতরণ করছে।
জাকাত ফাউন্ডেশনের এই মানবিক উদ্যোগে উপকৃত পরিবারগুলো স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
“দক্ষতা নিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিটেন্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যে জামালপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শো
২ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পানছড়ি উপজেলার বাবুরাপাড়া খেলার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওয়াপদা কলোনিতে সামরিক ঘাঁটি ও টর্চার সেল স্থাপন করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কীর্তনখোলা ও সাগরদী খাল সংলগ্ন এই ঘাঁটি থেকে ঝালকাঠি, ভোলা ও পটুয়াখালী এলাকায় লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হতো। স্বাধীনতার পর এটি বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া
২ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
“দক্ষতা নিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিটেন্স দিয়ে গড়বো স্বদেশ” এই প্রতিপাদ্যে জামালপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) উদযাপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ও জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শহরের ফৌজদারি মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শো
পার্বত্য এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পানছড়ি উপজেলার বাবুরাপাড়া খেলার মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ওয়াপদা কলোনিতে সামরিক ঘাঁটি ও টর্চার সেল স্থাপন করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। কীর্তনখোলা ও সাগরদী খাল সংলগ্ন এই ঘাঁটি থেকে ঝালকাঠি, ভোলা ও পটুয়াখালী এলাকায় লুটপাট ও হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হতো। স্বাধীনতার পর এটি বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া