নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবসহ ৩ ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ এর একটি দল। গতকাল সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১ নরসিংদীর সিপিএসসি এর ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।

গ্রেফতার কৃতরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদ্য ড. আব্দুল মঈন খানের এপিএস বাহাউদ্দিন মিল্টনের প্রধান সেনাপতি পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।

সেনাবাহিনীর অপসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. মোজাম্মেল হকের উপর হামলায় দায়ের করা এক মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বাদী পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে পলাশ উপজেলার খানেপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘোড়াশাল সারকারখানা গেটের কাছে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ পথরোধ করে এবং সে তার কাছে চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সাথে থাকা দুই সহযোগী আরিফ ও বাদশা তাকে জোরপূর্বক ধরে ফেলে।

পরে অভিযুক্ত আমান উল্লাহ হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মোজাম্মেলের কপালের ওপর আঘাত করে। একই সময়ে অন্য দুইজন দেশীয় অস্ত্র ছুরি দিয়ে তার শরীরের একাধিক আঘাত করে। পরে গুরুতরভাবে তাকে আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ভর্তি করা হয়।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় যে, হামলাকারীরা মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

তবে স্থানীয়রা জানায়, সসারকারখানারে প্রধান ফটকের সামনে একটি মিছিলের মধ্যে প্রথম তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

নরসিংদীর র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বলেন, "সাবেক সেনাকর্মকর্তাকে মারধর ও হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এদিকে আজ মঙ্গলবার বিকালে ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা দাবি করেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে অচিরেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত তিন নেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তারা।