নীলফামারী
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক জগতের পথিকৃৎ শ্যাম সুন্দর মোহন্ত বাসু। সংক্ষেপে এস,এস,এম, বাসু। কিশোরগঞ্জ কামারপাড়ায় তাঁর জন্ম। ৮০ দশকের গ্রাম জনপদের দাপুটে একজন সাংবাদিক। ১৯ জুন তাঁর মৃত্যু দিবস। বাসু সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করেছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সাহিত্য সাময়িকী বের করছেন অনেকবার। নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার জন্যই এমন সাহসী উদ্যোগ ছিল তাঁর। ধারাভাষ্যকার হিসাবে চৌকস ছিলেন বাসু। আশি ও নব্বই এর দশকে ক্রীড়াঙ্গন কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের একমাত্র ভরসা ছিল এই বাসু। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে বাসুর সরব উপস্থিতি জানান দিত মাইকে ধ্বনিত হওয়া বিশেষ ঢংয়ে উপস্থাপন। চিবিয়ে চিবিয়ে বলতেন। সুরেলা মিষ্টি কণ্ঠ।
ডান কাঁধে কালো ব্যাগ। বাঁয়ে ম্যানুয়াল ক্যামেরা। সোনালি ফ্রেমে বাঁধা চোখে কালো চশমা। হাঁটতেন ফুটবল খেলোয়াড়ের মত। হাঁটার সময় দু'হাত থাকত ছড়ানো। ডাঁন দিকে হেলে থাকতো দৃঢ় শরীর। চিরায়ত স্বভাব ছিল বাসুর। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক 'জাগরণ' পত্রিকায় হাতে-খড়ি হয় বাসুর। এ অঞ্চলের প্রাচীন দাপুটে পত্রিকা দৈনিক দাবানলে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে লেখনী জগতে দাপুটে লেখা শুরু করেন। তাঁর বহু লেখা দাবানলের পাতায় কালের সাক্ষী হয়ে আছে। তাঁর লিখনির সূচনায় ক্ষুরধার লেখায় প্রতিক্রিয়াশীল মহল বেশ সোচ্চার হয়েছিল। এজন্য মামলা-হামলা মোকাবেলা করতে হয়। এমকি রাতভর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। লেখনী থেকে রেহাই দেননি।
বাসু ২০১৩ সালের ১৯ জুন তারাগঞ্জে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে চা চক্র শেষে বিকেলে দীর্ঘদিনের মোটা অংকের পাওনা টাকার জন্য ভাটা মালিককে চাপ দিয়ে সৈয়দপুর চলে যান। সেখান থেকে সন্ধায় ফেরার পথে সৈয়দপুরের খিয়েরজুম্মায় সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বাসু। তবে তাঁর মৃত্যুটিকে অনেকে রহস্যজনক মনে করেন। বাসুর মৃত্যু শুধু পরিবারের জন্য দুঃসংবাদ নয়। এটি কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য দুঃসংবাদ ছিল। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের জন্য একটি রত্ন বিয়োগ।
এসএসএম বাসু ছিল ব্যক্তিগত জীবনে নির্ভীক, পরোপকারী, অমায়িক, সদালাপী,খোশমেজাজি ও বন্ধুবৎসল । অহেতুক কারো সাথে দুর্ব্যবহার করার নজির নেই। হাসি মুখেই কথা বলত সকলের সাথে। কাছের লোকদের খুশি করতেই বিশেষণ দিয়ে সম্বোধন করতেন।
ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর সরব পদচারণা ছিল। প্রতিটি খেলায় সমান পারদর্শী ছিলেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফুটবলে খেলতেন ফরওয়ার্ডে। ছান্দনিক ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল তাঁর। গোল দিতে পটু ছিলেন । তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার অনুমোদিত গোল্ডেন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৮ সালে। সে সময় বয়স্কদের জন্য নৈশকালীন স্কুল পরিচালনা করেন। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পাড়ায় পাড়ায় টিউবওয়েল স্থাপন, স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার ও মানবিক কাজে ব্যস্ত থাকতেন। শারদীয় দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলমানদেও নারিকেলের নাড়ু,সন্দেশ, পিঠাসহ নানা পদের খাবার দিয়ে মন জোগাতেন, যাতে সৌহার্দ ও সম্প্রতি আরো দৃঢ় হয়।।
বাসু দৈনিক খবর, দৈনিক জনতা, আজকের কাগজ ও সর্বশেষ দৈনিক সংবাদে কাজ করেন। নিজের সাজানো সংসার সামলানোর পাশাপাশি বাকী ৫ ভাই'র সংসার নিয়ে ভাবনার অন্ত ছিল না। সমানে খরচ চালাতেন। কারণ ভাইরা অনেকেই বেকার। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা বিরল। স্ত্রী অনিতা রাণীও তাঁর মহতি কাজকে সমর্থন যোগাত। বাসু কিশোরগঞ্জ উপজেলার স্যাটেলাইট সেবা দেওয়ার জন্য ক্যাবল অপারেটর ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমান ওই কেবল ব্যবসায় ভাইরা অনেকেই জীবিকা নির্ভর করছেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উপজেলার প্রতিষ্ঠিতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৭৭ সালে বাসু এসএসসি পাশ করেন। পরে তিনি এই বিদ্যালয়ে চাকুরি করেন।
মৃত্যুর আগে বাসু ঠিকাদারি পেশায় ঝুঁকেন বেশি । কাজের পিছনে ছুটতে গিয়ে ব্যস্ততাও বাড়ে। সাজানো সংসারের জন্য স্বপ্ন দেখেন তিনি। ফরওয়ার্ড খেলোয়াড় বাসু হয়তো সংকল্প ছিল সব গুছিয়ে শেষ গোলটা দেয়ার। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সব স্বপ্ন এলোমেলো করে দেয়। প্রিয় মানুষ বাসু নেই, তাঁর মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠ যেন আর ভেসে বেড়ায় না নীলফামারীর বাতাসে।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক জগতের পথিকৃৎ শ্যাম সুন্দর মোহন্ত বাসু। সংক্ষেপে এস,এস,এম, বাসু। কিশোরগঞ্জ কামারপাড়ায় তাঁর জন্ম। ৮০ দশকের গ্রাম জনপদের দাপুটে একজন সাংবাদিক। ১৯ জুন তাঁর মৃত্যু দিবস। বাসু সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করেছেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সাহিত্য সাময়িকী বের করছেন অনেকবার। নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার জন্যই এমন সাহসী উদ্যোগ ছিল তাঁর। ধারাভাষ্যকার হিসাবে চৌকস ছিলেন বাসু। আশি ও নব্বই এর দশকে ক্রীড়াঙ্গন কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের একমাত্র ভরসা ছিল এই বাসু। বিশেষ করে জাতীয় দিবসগুলোতে বাসুর সরব উপস্থিতি জানান দিত মাইকে ধ্বনিত হওয়া বিশেষ ঢংয়ে উপস্থাপন। চিবিয়ে চিবিয়ে বলতেন। সুরেলা মিষ্টি কণ্ঠ।
ডান কাঁধে কালো ব্যাগ। বাঁয়ে ম্যানুয়াল ক্যামেরা। সোনালি ফ্রেমে বাঁধা চোখে কালো চশমা। হাঁটতেন ফুটবল খেলোয়াড়ের মত। হাঁটার সময় দু'হাত থাকত ছড়ানো। ডাঁন দিকে হেলে থাকতো দৃঢ় শরীর। চিরায়ত স্বভাব ছিল বাসুর। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক 'জাগরণ' পত্রিকায় হাতে-খড়ি হয় বাসুর। এ অঞ্চলের প্রাচীন দাপুটে পত্রিকা দৈনিক দাবানলে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে লেখনী জগতে দাপুটে লেখা শুরু করেন। তাঁর বহু লেখা দাবানলের পাতায় কালের সাক্ষী হয়ে আছে। তাঁর লিখনির সূচনায় ক্ষুরধার লেখায় প্রতিক্রিয়াশীল মহল বেশ সোচ্চার হয়েছিল। এজন্য মামলা-হামলা মোকাবেলা করতে হয়। এমকি রাতভর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। লেখনী থেকে রেহাই দেননি।
বাসু ২০১৩ সালের ১৯ জুন তারাগঞ্জে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে চা চক্র শেষে বিকেলে দীর্ঘদিনের মোটা অংকের পাওনা টাকার জন্য ভাটা মালিককে চাপ দিয়ে সৈয়দপুর চলে যান। সেখান থেকে সন্ধায় ফেরার পথে সৈয়দপুরের খিয়েরজুম্মায় সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান বাসু। তবে তাঁর মৃত্যুটিকে অনেকে রহস্যজনক মনে করেন। বাসুর মৃত্যু শুধু পরিবারের জন্য দুঃসংবাদ নয়। এটি কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য দুঃসংবাদ ছিল। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের জন্য একটি রত্ন বিয়োগ।
এসএসএম বাসু ছিল ব্যক্তিগত জীবনে নির্ভীক, পরোপকারী, অমায়িক, সদালাপী,খোশমেজাজি ও বন্ধুবৎসল । অহেতুক কারো সাথে দুর্ব্যবহার করার নজির নেই। হাসি মুখেই কথা বলত সকলের সাথে। কাছের লোকদের খুশি করতেই বিশেষণ দিয়ে সম্বোধন করতেন।
ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর সরব পদচারণা ছিল। প্রতিটি খেলায় সমান পারদর্শী ছিলেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফুটবলে খেলতেন ফরওয়ার্ডে। ছান্দনিক ক্রীড়া নৈপুণ্য ছিল তাঁর। গোল দিতে পটু ছিলেন । তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার অনুমোদিত গোল্ডেন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৮ সালে। সে সময় বয়স্কদের জন্য নৈশকালীন স্কুল পরিচালনা করেন। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পাড়ায় পাড়ায় টিউবওয়েল স্থাপন, স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার ও মানবিক কাজে ব্যস্ত থাকতেন। শারদীয় দুর্গোৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলমানদেও নারিকেলের নাড়ু,সন্দেশ, পিঠাসহ নানা পদের খাবার দিয়ে মন জোগাতেন, যাতে সৌহার্দ ও সম্প্রতি আরো দৃঢ় হয়।।
বাসু দৈনিক খবর, দৈনিক জনতা, আজকের কাগজ ও সর্বশেষ দৈনিক সংবাদে কাজ করেন। নিজের সাজানো সংসার সামলানোর পাশাপাশি বাকী ৫ ভাই'র সংসার নিয়ে ভাবনার অন্ত ছিল না। সমানে খরচ চালাতেন। কারণ ভাইরা অনেকেই বেকার। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা বিরল। স্ত্রী অনিতা রাণীও তাঁর মহতি কাজকে সমর্থন যোগাত। বাসু কিশোরগঞ্জ উপজেলার স্যাটেলাইট সেবা দেওয়ার জন্য ক্যাবল অপারেটর ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমান ওই কেবল ব্যবসায় ভাইরা অনেকেই জীবিকা নির্ভর করছেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উপজেলার প্রতিষ্ঠিতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৭৭ সালে বাসু এসএসসি পাশ করেন। পরে তিনি এই বিদ্যালয়ে চাকুরি করেন।
মৃত্যুর আগে বাসু ঠিকাদারি পেশায় ঝুঁকেন বেশি । কাজের পিছনে ছুটতে গিয়ে ব্যস্ততাও বাড়ে। সাজানো সংসারের জন্য স্বপ্ন দেখেন তিনি। ফরওয়ার্ড খেলোয়াড় বাসু হয়তো সংকল্প ছিল সব গুছিয়ে শেষ গোলটা দেয়ার। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সব স্বপ্ন এলোমেলো করে দেয়। প্রিয় মানুষ বাসু নেই, তাঁর মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠ যেন আর ভেসে বেড়ায় না নীলফামারীর বাতাসে।
সাতক্ষীরা র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে সংঙ্গীতা মোড় এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ রবিউল গাজী (৪২) গ্রেফতার করেছে।
৪ মিনিট আগেদলীয় শৃঙ্খখলা ভঙ্গ, অযোগ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে জামালপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান গামার অপসারণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরে ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন একজন চিকিৎসক। আক্রান্ত চিকিৎসক হলেন ডা. আবু হাসনাত মোস্তফা জামান। তিনি জামালপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে সংঙ্গীতা মোড় এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ রবিউল গাজী (৪২) গ্রেফতার করেছে।
দলীয় শৃঙ্খখলা ভঙ্গ, অযোগ্য ও দুর্নীতির অভিযোগে জামালপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান গামার অপসারণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
জামালপুরে ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন একজন চিকিৎসক। আক্রান্ত চিকিৎসক হলেন ডা. আবু হাসনাত মোস্তফা জামান। তিনি জামালপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।