জেলে বাওয়ালি ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অন্ধকারের ছায়া
অমিত পাল
সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে মৎস্যসম্পদ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। তাই কাল রোববার থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের যাওয়ার পাশ বন্ধ থাকবে।
এদিকে সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম বিপাকে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে বাওয়ালিরা। উপকূলীয় জেলে-বাওয়ালিদের ঘরে এখন অন্ধকারের ঘুটঘুটে ছায়া। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছরই বন বিভাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল এবং বনাঞ্চলে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। বন্ধ রাখা হয় সুন্দরবনে প্রবেশের পাশ।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবন জীবিকার উৎস সুন্দরবন। আর সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে চলে তাদের সংসার। এই মিশে থাকার কারণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ২০ হাজার জেলে ও দুই হাজার পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষ করেছেন চরম বিপাকে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় মোংলা, রামপাল, জয়মনিরঘোল, দাকোপ, শরণখোলা, বাজুয়া, কালাবগী এলাকার বিভিন্ন জেলে পল্লী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়ত মালিকদের ঘরে এখন স্থবিরতা। আগামী তিন মাস কিভাবে চলবে সেই ভাবনা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
রামপালের চেয়ারম্যান মোড় এলাকার জেলে সৈয়দ হাসান জানান, "এই তিন মাস সুন্দর বনে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল নৌকা কিনেছি। তার ওপর বিভিন্ন এনজিও থেকেও ঋণ তুলেছি। এখন নিজেরা কি খাব আর দিনের কিভাবে দিব এই নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি"।
দাকোপের কালাবগী এলাকার মৌয়াল সুরঞ্জন ঢালী বলেন, "সুন্দরবনে ঢুকতে না পারলে তো আমাদের খাওয়া দাওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলে মেয়েদের কিভাবে পড়াবো। "
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে মোংলার দিগরাজ বাজারের একজন কাঁকড়া ব্যবসায়ী বলেন, সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ করার জন্য আমরা একেক জন জেলেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত দাদন দেই। এই সময়টাই কাঁকড়া পোনা ধরার মৌসুম। সুন্দরবনের যদি ঢুকতে না পারে তাহলে একদিকে জেলেরাও যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হবে তেমনি আমরা ব্যবসায়ীরাও আত্মিক ক্ষতির সম্মুখীন হব।
বাগেরহাট পর্যটন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হুসাইন শাওন বলেন, লোকালয়ের কাছাকাছি সুন্দরবনের জন্য বিশেষ করে টুরিস্ট স্পটের জন্য নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে শুধুমাত্র গভীর সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখলে একদিকে যেমন পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও বাঁচবে তেমনি বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুমেও ক্ষতি হবে না। এ বিষয়ে সকলের সদয় দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বাড়াতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সময় সুন্দরবনে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে মৎস্যসম্পদ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। তাই কাল রোববার থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের যাওয়ার পাশ বন্ধ থাকবে।
এদিকে সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার কারণে চরম বিপাকে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে বাওয়ালিরা। উপকূলীয় জেলে-বাওয়ালিদের ঘরে এখন অন্ধকারের ঘুটঘুটে ছায়া। বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছরই বন বিভাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল এবং বনাঞ্চলে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। বন্ধ রাখা হয় সুন্দরবনে প্রবেশের পাশ।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবন জীবিকার উৎস সুন্দরবন। আর সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে চলে তাদের সংসার। এই মিশে থাকার কারণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল অন্তত ২০ হাজার জেলে ও দুই হাজার পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষ করেছেন চরম বিপাকে। সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় মোংলা, রামপাল, জয়মনিরঘোল, দাকোপ, শরণখোলা, বাজুয়া, কালাবগী এলাকার বিভিন্ন জেলে পল্লী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়ত মালিকদের ঘরে এখন স্থবিরতা। আগামী তিন মাস কিভাবে চলবে সেই ভাবনা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
রামপালের চেয়ারম্যান মোড় এলাকার জেলে সৈয়দ হাসান জানান, "এই তিন মাস সুন্দর বনে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল নৌকা কিনেছি। তার ওপর বিভিন্ন এনজিও থেকেও ঋণ তুলেছি। এখন নিজেরা কি খাব আর দিনের কিভাবে দিব এই নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি"।
দাকোপের কালাবগী এলাকার মৌয়াল সুরঞ্জন ঢালী বলেন, "সুন্দরবনে ঢুকতে না পারলে তো আমাদের খাওয়া দাওয়াই বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলে মেয়েদের কিভাবে পড়াবো। "
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে মোংলার দিগরাজ বাজারের একজন কাঁকড়া ব্যবসায়ী বলেন, সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া আহরণ করার জন্য আমরা একেক জন জেলেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত দাদন দেই। এই সময়টাই কাঁকড়া পোনা ধরার মৌসুম। সুন্দরবনের যদি ঢুকতে না পারে তাহলে একদিকে জেলেরাও যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হবে তেমনি আমরা ব্যবসায়ীরাও আত্মিক ক্ষতির সম্মুখীন হব।
বাগেরহাট পর্যটন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হুসাইন শাওন বলেন, লোকালয়ের কাছাকাছি সুন্দরবনের জন্য বিশেষ করে টুরিস্ট স্পটের জন্য নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে শুধুমাত্র গভীর সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখলে একদিকে যেমন পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও বাঁচবে তেমনি বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুমেও ক্ষতি হবে না। এ বিষয়ে সকলের সদয় দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বাড়াতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সময় সুন্দরবনে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
বরিশাল বিভাগের সাতটি সরকারি হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে বরগুনা জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৮২ জন।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার এল্লারচর থেকে পারুলিয়ার তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কদমখালী-শশাডাঙ্গা এলাকার সাধারণ মানুষ গণবিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে তিনটায় স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজকে ফের নতুন তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেসুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা অন্তত ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারো জব্দ করেছে বন বিভাগ।
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিভাগের সাতটি সরকারি হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে বরগুনা জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৮২ জন।
সাতক্ষীরার এল্লারচর থেকে পারুলিয়ার তিন উপজেলার সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কদমখালী-শশাডাঙ্গা এলাকার সাধারণ মানুষ গণবিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে তিনটায় স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজকে ফের নতুন তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা অন্তত ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারো জব্দ করেছে বন বিভাগ।