তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর নিহত
রংপুর ব্যুরো
তিনি জানান, প্রত্যাহার হওয়া দুই এসআই ও ৬ জন কনস্টেবল হলেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইন্স থেকে যুক্ত থাকা এসআই সফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফারিকিত আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। তাঁরা সকলে রুপলাল ও প্রদীপলালকে উদ্ধারে গিয়ে জনতার হাতে রেখে ফিরত আসে। বর্তমানে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামকে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন উপজেলার ঘনিরাপুর এলাকার রুপলাল দাস। একই ঘটনায় নিহত হন তাঁর ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল (৩৫)। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ থাকতেন। আর প্রদীপ লাল জীবিকা নির্বাহ করতেন ভ্যান চালিয়ে।
নিহত রূপলালের পরিবার জানায়, রূপলাল দাসের মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। গত রোববার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে রূপলালের ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল আগের দিন শনিবার ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গিয়ে দুজন ভ্যানে চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাঁদের আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন তাঁরা। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে রূপলাল ও প্রদীপ লালকে চোর আখ্যা দেওয়া হয়। বস্তায় থাকা একটি বোতল নাকের সামনে নিয়ে মেহেদী হাসান উপস্থিত লোকজনকে বলেন, ‘এ ভাই, দয়া করে আমাকে ধরো’ বলে মাটিতে পড়ে যেতে থাকেন। এরপর দুজন তাঁকে কোলে করে সরিয়ে নেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শত শত লোক জড়ো হন। একপর্যায়ে অচেতন করে চুরি করা চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে মারধর শুরু হয়। মারতে মারতে তাদের বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নেওয়া হয়। এসময় সেখানে এসআই জোবায়ের ও সফিকুলসহ ওই কনস্টেবলরা বুড়িরহাট মাঠে যান। তখনও রুপলাল ও প্রদীপলাল জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা রুপলাল ও প্রদীপ লালকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে যান। এরপর উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি সেখানে যায়। তাঁরা বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অচেতন অবস্থায় ওই দুজনকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক রাতে ১১টার রুপলালকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এবং প্রদীপ লাল ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন রোববার রুপলালের স্ত্রী ৫শ' থেকে ৭শ' জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, ‘ওই সময় তাদের কয়েকজন অফিসার ও কনস্টেবল ছিল। তাদেরকে যাচাই বাছাই করছে তাদের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা। তাদের পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে।’
দুই এসআই ও ৬ কনস্টেবল ক্লোজের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, বুধবার(১৩ আগস্ট) রাতে তাদের ক্লোজ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে যদি কারও দোষ থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, প্রত্যাহার হওয়া দুই এসআই ও ৬ জন কনস্টেবল হলেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইন্স থেকে যুক্ত থাকা এসআই সফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফারিকিত আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। তাঁরা সকলে রুপলাল ও প্রদীপলালকে উদ্ধারে গিয়ে জনতার হাতে রেখে ফিরত আসে। বর্তমানে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামকে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন উপজেলার ঘনিরাপুর এলাকার রুপলাল দাস। একই ঘটনায় নিহত হন তাঁর ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল (৩৫)। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে তিনি মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ থাকতেন। আর প্রদীপ লাল জীবিকা নির্বাহ করতেন ভ্যান চালিয়ে।
নিহত রূপলালের পরিবার জানায়, রূপলাল দাসের মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। গত রোববার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে রূপলালের ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল আগের দিন শনিবার ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ কাজীরহাট এলাকায় এসে রূপলালকে ফোন করেন। সেখানে রূপলাল গিয়ে দুজন ভ্যানে চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাঁদের আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে কয়েকটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন তাঁরা। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে রূপলাল ও প্রদীপ লালকে চোর আখ্যা দেওয়া হয়। বস্তায় থাকা একটি বোতল নাকের সামনে নিয়ে মেহেদী হাসান উপস্থিত লোকজনকে বলেন, ‘এ ভাই, দয়া করে আমাকে ধরো’ বলে মাটিতে পড়ে যেতে থাকেন। এরপর দুজন তাঁকে কোলে করে সরিয়ে নেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শত শত লোক জড়ো হন। একপর্যায়ে অচেতন করে চুরি করা চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে মারধর শুরু হয়। মারতে মারতে তাদের বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নেওয়া হয়। এসময় সেখানে এসআই জোবায়ের ও সফিকুলসহ ওই কনস্টেবলরা বুড়িরহাট মাঠে যান। তখনও রুপলাল ও প্রদীপলাল জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা রুপলাল ও প্রদীপ লালকে উদ্ধার না করে জনতার হাতে রেখে সরে যান। এরপর উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি সেখানে যায়। তাঁরা বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অচেতন অবস্থায় ওই দুজনকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক রাতে ১১টার রুপলালকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এবং প্রদীপ লাল ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় পরদিন রোববার রুপলালের স্ত্রী ৫শ' থেকে ৭শ' জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, ‘ওই সময় তাদের কয়েকজন অফিসার ও কনস্টেবল ছিল। তাদেরকে যাচাই বাছাই করছে তাদের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা। তাদের পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে।’
দুই এসআই ও ৬ কনস্টেবল ক্লোজের বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, বুধবার(১৩ আগস্ট) রাতে তাদের ক্লোজ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে যদি কারও দোষ থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আটক রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল
১৯ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলায় এ এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন।
১ দিন আগেপ্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
৩ দিন আগেমঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শেরপুরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোয়েব হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন
৪ দিন আগেআটক রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল
বাগেরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলায় এ এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শেরপুরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোয়েব হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন