নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা ছিল সুব্রত বাইন ও তার বাহিনীর।
টার্গেট কিলিং এর মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করা ছিল তাদের উদ্দেশ্যে। এ ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। এ পরিকল্পনার প্রধান সহযোগী ছিলেন তার শিষ্য আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এরইমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পাঠানো হয় তাদের বাহিনীর কাছে। ওই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় শ্যুটার ও কিলারদের সংগঠিত করছিল সুব্রত বাইন বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তরের পর গোয়েন্দা হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিমান্ড শুনানির দিন আদালতে সুব্রত বাইন বলেন, সাংবাদিকরা এত খবর রাখেন, আড়াই বছর ধরে আমাকে আয়না ঘরে রাখে, সেই খবর আপনাদের কাছে নাই। ২০২২ সালে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এসে আয়নাঘরে রাখা হয় জানিয়ে বলেন, সেখানে রড দিয়ে পিটিয়েছে। ৫ আগস্ট রাত ৩টার দিকে তাকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। নিজে বাঁচার জন্য সঙ্গে অস্ত্র রাখেন বলে জানিয়ে সুব্রত বলেন, ‘কে মরতে চায়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদের নেওয়ার পর চারজনকে আলাদা করে ফেলা হয়। প্রথমে শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসে। অস্ত্র ও গুলি সীমান্ত থেকে সংগ্রহের পর তারা আরাফাত ও শরীফের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ওই অস্ত্রগুলো মগবাজার, শাহবাগ, গুলশান ও বাড্ডা এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
ওই সন্ত্রাসীরা ৫ আগস্টের পর সুব্রত বাইন ও মাসুদের দলে যোগ দেয়। এলাকাভিত্তিক ওইসব সন্ত্রাসীর তালিকা অনেক বড়। তবে তাদের নাম পুলিশের খাতায় নেই। তারা সবাই উঠতি বয়সি এবং এলিট শ্রেণির বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান।
অপরদিকে, শ্যুটার আরাফাত ও শরীফের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দারা বাইন ও মাসুদের মুখোমুখি হন। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে দেশকে অস্থিতিশীল করার মিশনে নেমেছিল বলে জানান তারা। টার্গেট কিলিংয়ের পর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এক দলের নেতাকে অন্য দলের নেতারা খুন করেছে বলে তা প্রচার করারও পরিকল্পনা ছিল তাদের।
টার্গেটকৃত তিন দলের (বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি) ভেতর রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হলে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসবে বলে তাদের ধারণা ছিল। আর এজন্য প্রতিবেশী একটি দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। অস্ত্র-গুলি ও ক্যাডারদের জন্য টাকাও পাঠাত ওই নেতারা।
তারা কুষ্টিয়ায় আস্তানা গেড়েছিল বলেও গোয়েন্দারা জানান। কুষ্টিয়া থেকে তারা ঢাকায় বেশ কয়েশ অস্ত্র তাদের ক্যাডারদের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন। ওইসব ক্যাডারদের তালিকা ধরে অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতারে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।
বিএনপির সমর্থক হয়েও কেন আওয়ামী লীগের মিশনে নেমেছিলেন-গোয়েন্দাদের এমন প্রশ্নে সুব্রত বাইন জানান, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম প্রথমদিকে রাখা হয়। এ কারণে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পরে বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তার ঘনিষ্ঠজনরাও ছিল বিপদে। ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা তাকে এড়িয়ে যান। এ কারণে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ নেন এবং বিএনপিসহ সমমনাদের টার্গেট করেন।

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা ছিল সুব্রত বাইন ও তার বাহিনীর।
টার্গেট কিলিং এর মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করা ছিল তাদের উদ্দেশ্যে। এ ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। এ পরিকল্পনার প্রধান সহযোগী ছিলেন তার শিষ্য আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এরইমধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পাঠানো হয় তাদের বাহিনীর কাছে। ওই অর্থ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় শ্যুটার ও কিলারদের সংগঠিত করছিল সুব্রত বাইন বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তরের পর গোয়েন্দা হেফাজতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিমান্ড শুনানির দিন আদালতে সুব্রত বাইন বলেন, সাংবাদিকরা এত খবর রাখেন, আড়াই বছর ধরে আমাকে আয়না ঘরে রাখে, সেই খবর আপনাদের কাছে নাই। ২০২২ সালে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এসে আয়নাঘরে রাখা হয় জানিয়ে বলেন, সেখানে রড দিয়ে পিটিয়েছে। ৫ আগস্ট রাত ৩টার দিকে তাকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। নিজে বাঁচার জন্য সঙ্গে অস্ত্র রাখেন বলে জানিয়ে সুব্রত বলেন, ‘কে মরতে চায়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদের নেওয়ার পর চারজনকে আলাদা করে ফেলা হয়। প্রথমে শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসে। অস্ত্র ও গুলি সীমান্ত থেকে সংগ্রহের পর তারা আরাফাত ও শরীফের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ওই অস্ত্রগুলো মগবাজার, শাহবাগ, গুলশান ও বাড্ডা এলাকার সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
ওই সন্ত্রাসীরা ৫ আগস্টের পর সুব্রত বাইন ও মাসুদের দলে যোগ দেয়। এলাকাভিত্তিক ওইসব সন্ত্রাসীর তালিকা অনেক বড়। তবে তাদের নাম পুলিশের খাতায় নেই। তারা সবাই উঠতি বয়সি এবং এলিট শ্রেণির বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান।
অপরদিকে, শ্যুটার আরাফাত ও শরীফের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দারা বাইন ও মাসুদের মুখোমুখি হন। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে দেশকে অস্থিতিশীল করার মিশনে নেমেছিল বলে জানান তারা। টার্গেট কিলিংয়ের পর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এক দলের নেতাকে অন্য দলের নেতারা খুন করেছে বলে তা প্রচার করারও পরিকল্পনা ছিল তাদের।
টার্গেটকৃত তিন দলের (বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি) ভেতর রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হলে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসবে বলে তাদের ধারণা ছিল। আর এজন্য প্রতিবেশী একটি দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। অস্ত্র-গুলি ও ক্যাডারদের জন্য টাকাও পাঠাত ওই নেতারা।
তারা কুষ্টিয়ায় আস্তানা গেড়েছিল বলেও গোয়েন্দারা জানান। কুষ্টিয়া থেকে তারা ঢাকায় বেশ কয়েশ অস্ত্র তাদের ক্যাডারদের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন। ওইসব ক্যাডারদের তালিকা ধরে অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতারে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।
বিএনপির সমর্থক হয়েও কেন আওয়ামী লীগের মিশনে নেমেছিলেন-গোয়েন্দাদের এমন প্রশ্নে সুব্রত বাইন জানান, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম প্রথমদিকে রাখা হয়। এ কারণে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। পরে বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তার ঘনিষ্ঠজনরাও ছিল বিপদে। ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা তাকে এড়িয়ে যান। এ কারণে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ নেন এবং বিএনপিসহ সমমনাদের টার্গেট করেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ২০ বছর বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন
১৫ ঘণ্টা আগে
খুলনার লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলিতে সংঘটিত নৃশংস ট্রিপল মার্ডার রহস্যের পরিধি বাড়ছে। শিশু মোস্তাকিম (৮), ফাতিহা (৬) ও তাদের নানি মহিতুন্নেছা বেগমকে হত্যা করার ঘটনায় এখনও কোনো নিশ্চিত আসামি শনাক্ত হয়নি, তবে সন্দেহের তালিকায় বাদ যাচ্ছে না নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যরাও
১৭ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করে তিনটি পাম্পের পাঁচটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছ বিএসটিআই। সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয় নরসিংদীর সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) মো: কামরুল পলাশের নেতৃত্বে এবং পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: আরিফ হোসেন আসিফ ও কাজী শাখাওয়াত হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
১ দিন আগেপঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ২০ বছর বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন
খুলনার লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলিতে সংঘটিত নৃশংস ট্রিপল মার্ডার রহস্যের পরিধি বাড়ছে। শিশু মোস্তাকিম (৮), ফাতিহা (৬) ও তাদের নানি মহিতুন্নেছা বেগমকে হত্যা করার ঘটনায় এখনও কোনো নিশ্চিত আসামি শনাক্ত হয়নি, তবে সন্দেহের তালিকায় বাদ যাচ্ছে না নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যরাও
নরসিংদীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করে তিনটি পাম্পের পাঁচটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছ বিএসটিআই। সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয় নরসিংদীর সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) মো: কামরুল পলাশের নেতৃত্বে এবং পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: আরিফ হোসেন আসিফ ও কাজী শাখাওয়াত হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।