জামালপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, শ্বশুর-শাশুড়ি আটক

প্রতিনিধি
জামালপুর
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় উশনিতা (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ, তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চরবানীপাকুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যের চর এলাকার স্বামী রবিন মিয়ার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

নিহত উশনিতা মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩নং গুনারীতলা ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ মণ্ডলের মেয়ে। ছোটবেলায় মাকে হারানো উশনিতাকে সৎমা শিল্পী বেগম (৩৪) লালনপালন করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী রবিন মিয়া জামালপুর শহরে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন। এসময় তিনি দেখেন উশনিতা ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মরদেহ নামিয়ে আনেন। পরদিন শনিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর রইচ উদ্দিন (৪৫) ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। তবে স্বামী রবিন মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।

গৃহবধূর সৎ মা শিল্পী বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে উশনিতার বিয়ে হয় রবিন মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাকে নির্যাতন করা হতো। রাত তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয় আমার মেয়ে ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে ফাঁস দিতে পারে না। ওকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে কাপড়চোপড় ছেঁড়া ছিল। এটা হত্যা, আমরা এর বিচার চাই।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

গ্রেফতার নিয়ে আরও পড়ুন

আটক রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল

১৯ ঘণ্টা আগে

বাগেরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলায় এ এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন।

১ দিন আগে

প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে

৩ দিন আগে

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শেরপুরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোয়েব হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন

৪ দিন আগে