কাদির মোল্লার কবজায় ক্রীড়া সংস্থার ৩০ কোটি টাকার জমি
বিশেষ প্রতিনিধি
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের পুরোটা সময় জুড়েই রাজত্ত করে বেড়ান এই শিল্প পতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছিল রীতিমতো তার পকেটে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে ছিল তার গভীর সখ্যতা। সখ্যতা ছিল প্রশাসনের সাথেও। স্থানীয় প্রশাসন রীতিমতো তার কথায় উঠবস করতো। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন দেদারসে। সরকারি জমি পর্যন্ত নিয়েছেন নিজের কব্জায়। নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৩০ কোটি টাকার ২৭ শতাংশ জমি নিয়েছেন নাম মাত্র মূল্যে। এমন নজীর বিহীন কাণ্ড এর আগে এ জেলায় ঘটানোর সাহস আর কেউ দেখায়নি। এই জমির পাশাপাশি তার দুটি আলিশান বাড়ি থাকার পর সরকারের এ জমি নিয়েছে জবরদস্তি করে। এই জমি নিজের দখলে নেয়ার পরই রাতারাতি আলিশান বাড়ি তৈরির কাজ ধরে ফেলেন। এর ফলে শত মিটারের মধ্যে তিনটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক হন এই শিল্পপতি। এই তিন বাড়ি ছাড়াও শহরের চিনিশপুরে একটি ডুপ্লেক্স ও মনোহরদীতে আরো একটি বহুতল ভবন রয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে তার প্রায় ৩৫ টির মত ফ্লেট রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ২০০১ সালে তিনি প্রথম ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন সদর উপজেলার চিনিশপুরে। এখানে থেকেই নরসিংদী স্টেডিয়ামের সামনে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন। ১/১১ এর সময় এই বাড়ি নিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট হয়। বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও তখন ভয়ে বাড়িতে উঠেননি। বিলাসবহুল এই বাড়িতে উঠেন ২০০৯ সালের শেষের দিকে। বাড়িতে উঠার তিন বছর পর স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি আলিশান বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ বাড়ির কাজ শেষ হওয়ার আগেই নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সরকারি জমির উপর নজর পড়ে তার। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ও নুরুল মজিদ হুমায়ুনকে ম্যানেজ করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার সরকারি জমি নিয়ে নেন নাম মাত্র মূল্যে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান ভূঞা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা ইরানসহ স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা এ জমি বিক্রির গোড় বিরোধিতা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার খপ্পর থেকে রেহাই পায়নি সরকারি এই জমি। রাতারাতি পরে এই জমিতে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তবে বিলাসবহুল এই বাড়িটি এখনো কমপ্লিট হয়নি। এরই মধ্যে ২০২২ সালে স্টেডিয়ামের পশ্চিমপাশের বাড়িতে উঠেন তিনি। এ বাড়িতে উঠেই ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যে বাড়িটিতে তিনি থাকতেন সেই পড়ন্ত বেলা ভাঙার কাজ শুরু করেন। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে আরেকটি বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন আগের জায়গায়। ১৭ কোটি টাকার এই বাড়িতে বসবাস করেছেন মাত্র ১৩ বছর। বসবাসের জন্য এক বছরে খরচ পড়েছে প্রায় কোটি টাকার উপরে।
জেলা প্রশাসনের নথি ঘেঁটে জানা যায়, ক্রীড়া সংস্থার জমির পরিমাণ মোট ২৭ শতাংশ। ২৬ লাখ টাকা ধরে টেন্ডারের মধ্যে এ জমি ক্রয় করেন তিনি। এ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেন মোমেন সরকার,ফারুক সরকার ও এক সাংবাদিক।
সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে চাইলেও কাদির মোল্লার বাধার মুখে তারা পিছু হটেন। টেন্ডারে যেই তিন জন অংশ গ্রহণ করেছিল তারা সবাই কাদির মোল্লার পকেটের লোক হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে ক্রীড়া সংস্থার সদ্য ঘোষিত কমিটির প্রভাবশালী সদস্য বিএনপি নেতা জাইদুল কবীর ভূঞা বলেন,অনিয়ম করে নেয়া এই জমি ফেরত আনার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের পুরোটা সময় জুড়েই রাজত্ত করে বেড়ান এই শিল্প পতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছিল রীতিমতো তার পকেটে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে ছিল তার গভীর সখ্যতা। সখ্যতা ছিল প্রশাসনের সাথেও। স্থানীয় প্রশাসন রীতিমতো তার কথায় উঠবস করতো। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন দেদারসে। সরকারি জমি পর্যন্ত নিয়েছেন নিজের কব্জায়। নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৩০ কোটি টাকার ২৭ শতাংশ জমি নিয়েছেন নাম মাত্র মূল্যে। এমন নজীর বিহীন কাণ্ড এর আগে এ জেলায় ঘটানোর সাহস আর কেউ দেখায়নি। এই জমির পাশাপাশি তার দুটি আলিশান বাড়ি থাকার পর সরকারের এ জমি নিয়েছে জবরদস্তি করে। এই জমি নিজের দখলে নেয়ার পরই রাতারাতি আলিশান বাড়ি তৈরির কাজ ধরে ফেলেন। এর ফলে শত মিটারের মধ্যে তিনটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক হন এই শিল্পপতি। এই তিন বাড়ি ছাড়াও শহরের চিনিশপুরে একটি ডুপ্লেক্স ও মনোহরদীতে আরো একটি বহুতল ভবন রয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে তার প্রায় ৩৫ টির মত ফ্লেট রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ২০০১ সালে তিনি প্রথম ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন সদর উপজেলার চিনিশপুরে। এখানে থেকেই নরসিংদী স্টেডিয়ামের সামনে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেন। ১/১১ এর সময় এই বাড়ি নিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট হয়। বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও তখন ভয়ে বাড়িতে উঠেননি। বিলাসবহুল এই বাড়িতে উঠেন ২০০৯ সালের শেষের দিকে। বাড়িতে উঠার তিন বছর পর স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি আলিশান বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ বাড়ির কাজ শেষ হওয়ার আগেই নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সরকারি জমির উপর নজর পড়ে তার। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ও নুরুল মজিদ হুমায়ুনকে ম্যানেজ করে প্রায় ৩০ কোটি টাকার সরকারি জমি নিয়ে নেন নাম মাত্র মূল্যে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান ভূঞা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা ইরানসহ স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা এ জমি বিক্রির গোড় বিরোধিতা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার খপ্পর থেকে রেহাই পায়নি সরকারি এই জমি। রাতারাতি পরে এই জমিতে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তবে বিলাসবহুল এই বাড়িটি এখনো কমপ্লিট হয়নি। এরই মধ্যে ২০২২ সালে স্টেডিয়ামের পশ্চিমপাশের বাড়িতে উঠেন তিনি। এ বাড়িতে উঠেই ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যে বাড়িটিতে তিনি থাকতেন সেই পড়ন্ত বেলা ভাঙার কাজ শুরু করেন। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে আরেকটি বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন আগের জায়গায়। ১৭ কোটি টাকার এই বাড়িতে বসবাস করেছেন মাত্র ১৩ বছর। বসবাসের জন্য এক বছরে খরচ পড়েছে প্রায় কোটি টাকার উপরে।
জেলা প্রশাসনের নথি ঘেঁটে জানা যায়, ক্রীড়া সংস্থার জমির পরিমাণ মোট ২৭ শতাংশ। ২৬ লাখ টাকা ধরে টেন্ডারের মধ্যে এ জমি ক্রয় করেন তিনি। এ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেন মোমেন সরকার,ফারুক সরকার ও এক সাংবাদিক।
সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে চাইলেও কাদির মোল্লার বাধার মুখে তারা পিছু হটেন। টেন্ডারে যেই তিন জন অংশ গ্রহণ করেছিল তারা সবাই কাদির মোল্লার পকেটের লোক হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে ক্রীড়া সংস্থার সদ্য ঘোষিত কমিটির প্রভাবশালী সদস্য বিএনপি নেতা জাইদুল কবীর ভূঞা বলেন,অনিয়ম করে নেয়া এই জমি ফেরত আনার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
শিক্ষক শফিকুর রহমান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ৮জনকে আসামিকে করে থানায় একটি মামলা । মামলায় সোমবার রাতে বল্লী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় বাস, মিনি বাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের বাসায় জুয়ার ব্যবসা চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় দুই লক্ষ ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা, নয়টি বাটন ফোন ও চারটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়
১ দিন আগেরোববার (১৭ আগস্ট ) রাত আনুমানিক ৯ টায় নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ রায়পুরা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী তৈয়বকে গ্রেফতার করে
১ দিন আগেশিক্ষক শফিকুর রহমান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ৮জনকে আসামিকে করে থানায় একটি মামলা । মামলায় সোমবার রাতে বল্লী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার ডোকরো পাড়া এলাকায় বাস, মিনি বাস, কোচ, মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের বাসায় জুয়ার ব্যবসা চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় দুই লক্ষ ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা, নয়টি বাটন ফোন ও চারটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়
রোববার (১৭ আগস্ট ) রাত আনুমানিক ৯ টায় নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশ রায়পুরা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী তৈয়বকে গ্রেফতার করে