নজরুল ইসলাম
অনুসন্ধানে জানা যায়, সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি করেছেন তিনি নরসিংদীতে। দুর্নীতির পাশাপাশি তিনি বিএনপি নিধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার আমলে এ জেলায় দিন দুপুরে হত্যা ডাকাতি চুরি রাহাজানি ছিনতাই ও দস্যুতা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলে তার পালিত সন্ত্রাসীরা। পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটেছিল। এমন কি তার নির্দেশে ছাত্র দলের দুই নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলামকে (২০) গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান হত্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত ছাত্রনেতা সাদেকুর রহমানের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এই মামলা করেন। ঘটনার কয়েক দিন পর নিহত সাদেকের ভাই বাদী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন আসামির নাম দিয়েছে পুলিশ। তিনি একজনের নামও দেননি। আবেদনে স্বাক্ষর ছাড়া তিনি কিছুই জানতে না। তিনি তখন আরো বলেছিলেন,ঘটনাস্থল আমাদের বাড়ি থেকে অনেকদূর। আমরা কিছুই দেখিনি ও জানি না। ঘটনার সময় পুলিশ সামনে ছিল। সেহেতু পুলিশই আসামিদের নাম দিয়েছে। যদিও এ ঘটনার দিন খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা ঢাকায় ছিলেন।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সময় এমন আরো অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে নরসিংদীতে। কিন্তু সে তুলনায় একেবারেই মামলা হয়নি। কারণ পুলিশ তখন মামলা নিত না। মামলা নিলে অপরাধের সংখ্যা কাগজে কলমে বেড়ে যায়। তাই অপরাধের সংখ্যা কম দেখিয়ে তিনি তখন ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হয়েছেন ।
বিএনপি নিধনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার ফলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে খুবই পছন্দ করতো।
আশরাফুল আজীমের নির্দেশনায় ট্র্যাফিক পুলিশের নেতৃত্ব ঢাকা সিলেট মহাসড়কে সে সময় ব্যাপক চাঁদাবাজি হতো। মাল বোঝাই ট্রাক, কাভারভ্যান, লরি ও যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। পুলিশ কল্যাণ তহবিলের নামে তোলা এ টাকা যেত আশরাফুল আজীমের পকেটে।
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভারত থেকে আসা অবৈধ মালামাল থেকে টাকা তুলতো ডিবি পুলিশ। প্রতি মাসে কোটি টাকা চাঁদা আদায় হতো এ-খাত থেকে। এসবের সব টাকা যেত আজীমের পকেটে। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতো তৎকালীন ডিবি পুলিশ। মাদক থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা যেত আশরাফুল আজীমের পকেটে। মাদকের তখন সবচেয়ে বড় কারবারি ছিল জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য সচিব নাজমা বেগম। তার বাড়ি পৌর এলাকার ব্যাপারীপাড়া মহল্লায়। তার বাবা ও ভাই শাহপরান মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। নাজমা প্রতিমাসে পুলিশকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিতেন। এসব টাকাও যেত আজীমের পকেটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সুপার আশরাফুর আজীম একজন ভয়ংকর ও অসাধু পুলিশ অফিসার ছিলেন। তার আমলে নরসিংদীতে অর্ধশত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বেড়েছিল মাদকসহ নানা অপরাধ।
কাজী আশরাফুল আজীম নরসিংদীর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। শুধু টাকা নয় কুরবানির জন্য গরু নিয়েছেন এমন কথাও লোকমুখে শোনা গেছে। শিল্পপতিদের কাছ থেকেও তিনি মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। তার ও তার স্ত্রী এবং স্বজনদের নামে রাজধানী ঢাকায় ও ঝিনাইদাহতে প্রচুর সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি করেছেন তিনি নরসিংদীতে। দুর্নীতির পাশাপাশি তিনি বিএনপি নিধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার আমলে এ জেলায় দিন দুপুরে হত্যা ডাকাতি চুরি রাহাজানি ছিনতাই ও দস্যুতা ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলে তার পালিত সন্ত্রাসীরা। পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটেছিল। এমন কি তার নির্দেশে ছাত্র দলের দুই নেতা সাদেকুর রহমান (৩২) ও আশরাফুল ইসলামকে (২০) গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান হত্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত ছাত্রনেতা সাদেকুর রহমানের বড় ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এই মামলা করেন। ঘটনার কয়েক দিন পর নিহত সাদেকের ভাই বাদী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন আসামির নাম দিয়েছে পুলিশ। তিনি একজনের নামও দেননি। আবেদনে স্বাক্ষর ছাড়া তিনি কিছুই জানতে না। তিনি তখন আরো বলেছিলেন,ঘটনাস্থল আমাদের বাড়ি থেকে অনেকদূর। আমরা কিছুই দেখিনি ও জানি না। ঘটনার সময় পুলিশ সামনে ছিল। সেহেতু পুলিশই আসামিদের নাম দিয়েছে। যদিও এ ঘটনার দিন খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা ঢাকায় ছিলেন।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সময় এমন আরো অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে নরসিংদীতে। কিন্তু সে তুলনায় একেবারেই মামলা হয়নি। কারণ পুলিশ তখন মামলা নিত না। মামলা নিলে অপরাধের সংখ্যা কাগজে কলমে বেড়ে যায়। তাই অপরাধের সংখ্যা কম দেখিয়ে তিনি তখন ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হয়েছেন ।
বিএনপি নিধনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার ফলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে খুবই পছন্দ করতো।
আশরাফুল আজীমের নির্দেশনায় ট্র্যাফিক পুলিশের নেতৃত্ব ঢাকা সিলেট মহাসড়কে সে সময় ব্যাপক চাঁদাবাজি হতো। মাল বোঝাই ট্রাক, কাভারভ্যান, লরি ও যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনা থেকে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। পুলিশ কল্যাণ তহবিলের নামে তোলা এ টাকা যেত আশরাফুল আজীমের পকেটে।
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভারত থেকে আসা অবৈধ মালামাল থেকে টাকা তুলতো ডিবি পুলিশ। প্রতি মাসে কোটি টাকা চাঁদা আদায় হতো এ-খাত থেকে। এসবের সব টাকা যেত আজীমের পকেটে। মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতো তৎকালীন ডিবি পুলিশ। মাদক থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা যেত আশরাফুল আজীমের পকেটে। মাদকের তখন সবচেয়ে বড় কারবারি ছিল জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য সচিব নাজমা বেগম। তার বাড়ি পৌর এলাকার ব্যাপারীপাড়া মহল্লায়। তার বাবা ও ভাই শাহপরান মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। নাজমা প্রতিমাসে পুলিশকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিতেন। এসব টাকাও যেত আজীমের পকেটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সুপার আশরাফুর আজীম একজন ভয়ংকর ও অসাধু পুলিশ অফিসার ছিলেন। তার আমলে নরসিংদীতে অর্ধশত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বেড়েছিল মাদকসহ নানা অপরাধ।
কাজী আশরাফুল আজীম নরসিংদীর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। শুধু টাকা নয় কুরবানির জন্য গরু নিয়েছেন এমন কথাও লোকমুখে শোনা গেছে। শিল্পপতিদের কাছ থেকেও তিনি মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। তার ও তার স্ত্রী এবং স্বজনদের নামে রাজধানী ঢাকায় ও ঝিনাইদাহতে প্রচুর সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ দিন আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক (স্থগিত) সরোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা ইসরাফিল।
১ দিন আগেচার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ধর্ষক শিক্ষককে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ সময় তিন ভুক্তভোগী ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়।
১ দিন আগেখাবারের লোভ দিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মনিরুল ইসলাম নামে (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে তালা উপজেলার নাংলা এলাকা থেকে আটকের পর পুলিশ সোপার্দ করে স্থানীয় জনতা।
২ দিন আগেপুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সময় এমন আরো অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে নরসিংদীতে। কিন্তু সে তুলনায় একেবারেই মামলা হয়নি। কারণ পুলিশ তখন মামলা নিত না। মামলা নিলে অপরাধের সংখ্যা কাগজে কলমে বেড়ে যায়।
নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক (স্থগিত) সরোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা ইসরাফিল।
চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ধর্ষক শিক্ষককে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ সময় তিন ভুক্তভোগী ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়।