মোঃ মাজহারুল পারভেজ
বাংলাদেশে চিকিৎসক নিয়োগ ও বদলী প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও বাণিজ্য এখন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি ও চক্র আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য এ অনিয়ম করছে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা গ্রহণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে জরুরী ভাবে পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরণের সমস্যা তৈরী হতে পারে।
গত মঙ্গলবার রাতের আধারে শিশু হাসপাতালে ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়। এটা যেন রাতের আঁধারে ভোটের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আমলেও এমন নিয়োগ হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সামনে প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবৈধভাবে চিকিৎসক নিয়োগের প্রতিবাদে সাধারণ চিকিৎসকদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাম্মেল হক রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অযোগ্য প্রার্থীকে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিতে প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত তিন বছর অথবা অন্যান্য স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম চার বছর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিষয়টি ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল। অথচ ওই পদে আবেদনকারী ডা. মিলিভা মোজাফফর এই শর্ত পূরণ না করেও আবেদনপত্রে নিজেকে ২০১৭ সাল থেকেই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে উল্লেখ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডা. মিলিভা মোজাফফর ২০১৭ সালের ১ জুন উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ৮-৯ রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল-এ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পান।
ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করার পরও ডা. মিলিভা মোজাফফরকে ২০২৫ সালের ২৭ মে নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়। অথচ একই পদের জন্য অনেক যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্র স্থগিত রাখে এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত তদন্ত কমিটিতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক মোজাম্মেল হককে রাখা হয়েছে। ফলে এই কমিটির প্রতিবেদন কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক।
জানা গেছে ডা. মিলিভার স্বামী বগুড়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-সমর্থিত চিকিৎসক নেতারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিভাগে রাজনৈতিক মহড়ার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ডা. মিলিভা মোজাফফরের হাতে লেখা আবেদনপত্রটি যাচাই করে দেখা গেছে, আবেদনপত্রের ১৭ নম্বর পয়েন্টে সহকারী অধ্যাপক পদের যে বেতনস্কেল উল্লেখ করেছেন, সেটি তিনি পেয়েছেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিখেছেন, তিনি ২০২০ সাল থেকেই এটি পাচ্ছেনÍএবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর চলতি দায়িত্বের পদের তথ্য গোপন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং আবেদনপত্র বাতিলযোগ্য। এ অবস্থায় অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে শিক্ষকমহলে সমালোচনা চলছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারে তৃতীয় স্থানে ছিলেন ডা. মিলিভা। প্রথম স্থানে থাকা ডা. মোহাম্মদ আলীর অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা ছিল তার থেকেও বেশি। অথচ প্রথম স্থানে থাকা ডা. মোহাম্মদ আলীকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা মিলিভাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশে চিকিৎসক নিয়োগ ও বদলী প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও বাণিজ্য এখন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি ও চক্র আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য এ অনিয়ম করছে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা গ্রহণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে জরুরী ভাবে পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরণের সমস্যা তৈরী হতে পারে।
গত মঙ্গলবার রাতের আধারে শিশু হাসপাতালে ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়। এটা যেন রাতের আঁধারে ভোটের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আমলেও এমন নিয়োগ হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সামনে প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবৈধভাবে চিকিৎসক নিয়োগের প্রতিবাদে সাধারণ চিকিৎসকদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাম্মেল হক রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অযোগ্য প্রার্থীকে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিতে প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত তিন বছর অথবা অন্যান্য স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম চার বছর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিষয়টি ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল। অথচ ওই পদে আবেদনকারী ডা. মিলিভা মোজাফফর এই শর্ত পূরণ না করেও আবেদনপত্রে নিজেকে ২০১৭ সাল থেকেই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে উল্লেখ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডা. মিলিভা মোজাফফর ২০১৭ সালের ১ জুন উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ৮-৯ রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল-এ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পান।
ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করার পরও ডা. মিলিভা মোজাফফরকে ২০২৫ সালের ২৭ মে নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়। অথচ একই পদের জন্য অনেক যোগ্য প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারেই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্র স্থগিত রাখে এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত তদন্ত কমিটিতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক মোজাম্মেল হককে রাখা হয়েছে। ফলে এই কমিটির প্রতিবেদন কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক।
জানা গেছে ডা. মিলিভার স্বামী বগুড়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-সমর্থিত চিকিৎসক নেতারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিভাগে রাজনৈতিক মহড়ার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ডা. মিলিভা মোজাফফরের হাতে লেখা আবেদনপত্রটি যাচাই করে দেখা গেছে, আবেদনপত্রের ১৭ নম্বর পয়েন্টে সহকারী অধ্যাপক পদের যে বেতনস্কেল উল্লেখ করেছেন, সেটি তিনি পেয়েছেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিখেছেন, তিনি ২০২০ সাল থেকেই এটি পাচ্ছেনÍএবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর চলতি দায়িত্বের পদের তথ্য গোপন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদনে মিথ্যা তথ্য প্রদান শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং আবেদনপত্র বাতিলযোগ্য। এ অবস্থায় অধ্যাপক মোজাম্মেল হকের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে শিক্ষকমহলে সমালোচনা চলছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারে তৃতীয় স্থানে ছিলেন ডা. মিলিভা। প্রথম স্থানে থাকা ডা. মোহাম্মদ আলীর অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা ছিল তার থেকেও বেশি। অথচ প্রথম স্থানে থাকা ডা. মোহাম্মদ আলীকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা মিলিভাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চলছে।
ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে বেঁধে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন ও দ্বিতীয় আসামি মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১০ ঘণ্টা আগেপার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক,গায়েবি প্রকল্পে অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দে ফুঁসে উঠছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি। বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রতিদিন খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন প্রধান উপদেষ্টার স্মারকলিপি দেওয়াসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগেমাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগ তুলে কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার এলাকায় মা-মেয়ে ও ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি দল।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চিকিৎসক নিয়োগ ও বদলী প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও বাণিজ্য এখন একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি ও চক্র আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য এ অনিয়ম করছে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে বেঁধে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলার প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিন ও দ্বিতীয় আসামি মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক,গায়েবি প্রকল্পে অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দে ফুঁসে উঠছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি। বৈষম্যের প্রতিবাদে প্রতিদিন খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন প্রধান উপদেষ্টার স্মারকলিপি দেওয়াসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগ তুলে কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার এলাকায় মা-মেয়ে ও ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।