দুদকের মামলায় আসামি হলেন ফারইস্টের পরিচালক

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image
ছবি : সংগ্রহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা নতুন করে গঠন করা হয়। নতুন করে যে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে, সেই পরিচালনা পর্ষদেই দুদকের মামলার একাধিক আসামি ও আসামির আত্মীয় রয়েছেন।

দুদকের মামলায় আসামি করা পরিচালকরা হলেন- বিমা কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, যিনি প্রাইম পলিমার ও ফারইস্ট ইসলামী প্রোপার্টিজেরও চেয়ারম্যান। এছাড়া আমানত শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. হেলাল মিয়া, পিএফআই প্রোপার্টিজ ও নর্দার্ন জেনারেল ইনসিওরেন্সের পরিচালক শাহরিয়ার খালেদ, মোশারফ গ্রুপের পরিচালক ও মোশারফ কম্পোজিট টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান নাজনীন হোসেন, মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, গেটকো টেলিকমিউনিকেশন ও গেটকো অ্যাগ্রো ভিশনের চেয়ারম্যান কে এম খালেদ, প্রাইম ব্যাংক ও প্রাইম ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা এবং ম্যাক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি এম এ খালেক, টারটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. ইফফাৎ জাহান।

এই তালিকায় আরও আছেন- ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালক খন্দকার মোস্তাক মাহমুদ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রাবেয়া বেগম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও আইডিআরএর সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও পিএফআই সিকিউরিটিজের সাবেক এমডি কাজী ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। কোম্পানিটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হেমায়েত উল্যাহকেও দুদকের মামলার আসামি করা হয়।

একসময় দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জীবন বিমা কোম্পানি ছিল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসিওরেন্স। মালিকপক্ষের ব্যাপক লুটপাট ও অনিয়মের কারণে কোম্পানিটির এখন হায় হায় অবস্থা। দিন যত যাচ্ছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ততই নাই হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যেন ধীরে ধীরে কোম্পানিটির জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যারা ফারইস্ট লাইফের দায়িত্বে রয়েছেন তারাও উদ্ধারের সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের শুরুর দিকে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিল ৩ হাজার ৩৭২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেই লাইফ ফান্ড ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২০২২ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৬৮ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ তিন বছরে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে নতুন কোনো অর্থ যোগ হয়নি, উল্টো ২ হাজার ৯০৪ কোটি ৮ লাখ টাকা নাই হয়ে গেছে।

বর্তমানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসিওরেন্সে কয়েক হাজার গ্রাহকের বিমা দাবি বকেয়া পড়েছে। এসব গ্রাহক দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের দাবির টাকা আদায় করতে পারছেন না। অপরদিকে কোম্পানির দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, কোম্পানিটি বাঁচানোর লক্ষ্যে জমি বিক্রি করে গ্রাহকদের দাবির টাকা পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। কোম্পানির আগের পরিচালকরা যে দামে জমি কিনেছেন, এখন বিক্রি করতে গিয়ে সে দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ব্যাপক লুটপাট চালানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক এম এ খালেক জেলহাজতে। এই দুই ব্যক্তি বিভিন্ন উপায়ে কোম্পানিটি থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

দুর্নীতি নিয়ে আরও পড়ুন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ২০ বছর বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন

৪ ঘণ্টা আগে

খুলনার লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলিতে সংঘটিত নৃশংস ট্রিপল মার্ডার রহস্যের পরিধি বাড়ছে। শিশু মোস্তাকিম (৮), ফাতিহা (৬) ও তাদের নানি মহিতুন্নেছা বেগমকে হত্যা করার ঘটনায় এখনও কোনো নিশ্চিত আসামি শনাক্ত হয়নি, তবে সন্দেহের তালিকায় বাদ যাচ্ছে না নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যরাও

৫ ঘণ্টা আগে

নরসিংদীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করে তিনটি পাম্পের পাঁচটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছ বিএসটিআই। সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয় নরসিংদীর সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) মো: কামরুল পলাশের নেতৃত্বে এবং পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: আরিফ হোসেন আসিফ ও কাজী শাখাওয়াত হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

১ দিন আগে