নরসিংদীতে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
স্টাফ রিপোর্টার
নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি মিডিয়ার তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি স্থানীয় পত্রিকায় স্মারকবিহীন একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ৪টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও রেজাল্ট শিটে ৬টি ক্যাটাগরির কথা উল্লেখ করে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ করার পরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্কিল ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভেন্স এন্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মের বিষয়ে তদারকি করছে না সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে বিধি বহির্ভূত অতিথি প্রশিক্ষক, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন, প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং এবং আইটি সাপোর্ট টেকনিক এন্ড মোবাইল ফোন সার্ভিস পদে ৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করে। অবৈধভাবে যারা নিয়োগ লাভ করেন তারা হলেন, সাইফুল রহমান, রাজা সরকার ও আতিফ জহির। অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মো: সোহরাব উদ্দিন ভূইয়া ও কাকন মিত্র নামে দুই অভিযোগকারী।
তাদের অভিযোগের আলোকে জানা যায়, অতিথি প্রশিক্ষক (ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন) পদে আদেবন জমা পড়েছে ৫ টি। লিখিত পরীক্ষার জন্য ডেকেছেন ৩ জনকে। ৩ জনরে মধ্যে একজন বিএসসি ও ২ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরীক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকার পরও অযোগ্য প্রার্থী সাইফুল রহমানকে চাকুরি দেয় কর্তৃপক্ষ। অথচ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী সাইফুল রহমানের আবেদন করার যোগ্যতাই নেই। স্মারক নাম্বারবিহীন বিজ্ঞাপনে শর্তাবলির কোন ক্রাইটেরিয়ায় তিনি আবেদন করতে পারেন না। সাইফুল ২০১৬ সালে এসএসসি পাশ করে পরে ২০২০ সালে ডিপ্লোমা পাশ করেন। আবেদন করতে এসএসসি পাশ করার পর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ও ডিপ্লোমা পাশ করলে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা লাগার কথা লেখা আছে শর্তাবলিতে । সুতরাং ২০২৫ সালের মধ্যে কোন ক্রাইটেরিয়া তিনি এ পদে আবেদন করলেও তা গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। শফিকুল ইসলাম নামে তার এক সহপাঠী আবেদন করলেও তার আবেদনপত্র বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ
আরেকটি অভিযোগে দেখা যায়, প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং পদে ৬টি আবেদন জমার পড়ছে। এর মধ্যে ৩জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। ২জনকে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। এসএসসি পাশ করে বাসা বাড়িতে মিস্ত্রির কাজ করতেন রাজা সরকার নামে একজনকে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। অথচ ২০১৬ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের ট্রেনার সোহরাব উদ্দিনকে চাকরি দেয়া হয়নি।
অনুসন্ধানকালে আরো জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি হাসিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। চিফ ইন্সট্রাকটর থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি লাভ করেন । পদোন্নতি লাভ করেও এখানে থেকে নানা অনিয়ম করে আসছেন। এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নির্দেশ ছাড়া কিছুই করা হয়নি। এ বিষয়ে জানার থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও দৈনিক নিখাদ খবরকে জানান, “সকল নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে
নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি মিডিয়ার তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি স্থানীয় পত্রিকায় স্মারকবিহীন একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ৪টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও রেজাল্ট শিটে ৬টি ক্যাটাগরির কথা উল্লেখ করে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ করার পরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্কিল ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপেটিটিভেন্স এন্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মের বিষয়ে তদারকি করছে না সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলি লঙ্ঘন করে বিধি বহির্ভূত অতিথি প্রশিক্ষক, ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন, প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং এবং আইটি সাপোর্ট টেকনিক এন্ড মোবাইল ফোন সার্ভিস পদে ৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করে। অবৈধভাবে যারা নিয়োগ লাভ করেন তারা হলেন, সাইফুল রহমান, রাজা সরকার ও আতিফ জহির। অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মো: সোহরাব উদ্দিন ভূইয়া ও কাকন মিত্র নামে দুই অভিযোগকারী।
তাদের অভিযোগের আলোকে জানা যায়, অতিথি প্রশিক্ষক (ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন) পদে আদেবন জমা পড়েছে ৫ টি। লিখিত পরীক্ষার জন্য ডেকেছেন ৩ জনকে। ৩ জনরে মধ্যে একজন বিএসসি ও ২ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরীক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকার পরও অযোগ্য প্রার্থী সাইফুল রহমানকে চাকুরি দেয় কর্তৃপক্ষ। অথচ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী সাইফুল রহমানের আবেদন করার যোগ্যতাই নেই। স্মারক নাম্বারবিহীন বিজ্ঞাপনে শর্তাবলির কোন ক্রাইটেরিয়ায় তিনি আবেদন করতে পারেন না। সাইফুল ২০১৬ সালে এসএসসি পাশ করে পরে ২০২০ সালে ডিপ্লোমা পাশ করেন। আবেদন করতে এসএসসি পাশ করার পর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ও ডিপ্লোমা পাশ করলে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা লাগার কথা লেখা আছে শর্তাবলিতে । সুতরাং ২০২৫ সালের মধ্যে কোন ক্রাইটেরিয়া তিনি এ পদে আবেদন করলেও তা গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। শফিকুল ইসলাম নামে তার এক সহপাঠী আবেদন করলেও তার আবেদনপত্র বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ
আরেকটি অভিযোগে দেখা যায়, প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং পদে ৬টি আবেদন জমার পড়ছে। এর মধ্যে ৩জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। ২জনকে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার অনুমতি দেয়। এসএসসি পাশ করে বাসা বাড়িতে মিস্ত্রির কাজ করতেন রাজা সরকার নামে একজনকে নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। অথচ ২০১৬ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের ট্রেনার সোহরাব উদ্দিনকে চাকরি দেয়া হয়নি।
অনুসন্ধানকালে আরো জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি হাসিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। চিফ ইন্সট্রাকটর থেকে গত ৩০ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি লাভ করেন । পদোন্নতি লাভ করেও এখানে থেকে নানা অনিয়ম করে আসছেন। এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নির্দেশ ছাড়া কিছুই করা হয়নি। এ বিষয়ে জানার থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও দৈনিক নিখাদ খবরকে জানান, “সকল নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে
আটক রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল
১ দিন আগেবাগেরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলায় এ এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন।
২ দিন আগেপ্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
৩ দিন আগেমঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শেরপুরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোয়েব হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন
৪ দিন আগেআটক রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল
বাগেরহাটে দুর্বৃত্তদের হামলায় এ এস এম হায়াত উদ্দিন (৪২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাড়িখালি এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শেরপুরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোয়েব হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামিলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন