টেকনাফে অপহৃত পাঁচ কাঠুরিয়া মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি

প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩৮
Thumbnail image

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত পাঁচ কাঠুরিয়া দুই দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন। অপহরণকারীরা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলেও দর-কষাকষির পর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধের শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ের পাদদেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের।

অপহৃতরা হলেন — টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়ার বাসিন্দা মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), মোহাম্মদ ইসা (২৮), ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং মো. আবুইয়া (২০)।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় , গত বুধবার সকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া ও বাইন্ন্যাপাড়া এলাকার ১৫ জন কাঠ সংগ্রহের জন্য পাহাড়ে যান। একপর্যায়ে চাকমাপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তাদের জিম্মি করে। পরে ১০ জনকে ছেড়ে দিয়ে পাঁচজনকে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের জানান, অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অপহরণকারীরা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে কয়েক দফা আলোচনার পর ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, "ঘটনার পর থেকে পুলিশ টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। তবে স্বজনরা মুক্তিপণ প্রদানের বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি।"

এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ-চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

অপহরণ নিয়ে আরও পড়ুন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ২০ বছর বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন

৪ ঘণ্টা আগে

খুলনার লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলিতে সংঘটিত নৃশংস ট্রিপল মার্ডার রহস্যের পরিধি বাড়ছে। শিশু মোস্তাকিম (৮), ফাতিহা (৬) ও তাদের নানি মহিতুন্নেছা বেগমকে হত্যা করার ঘটনায় এখনও কোনো নিশ্চিত আসামি শনাক্ত হয়নি, তবে সন্দেহের তালিকায় বাদ যাচ্ছে না নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যরাও

৫ ঘণ্টা আগে

নরসিংদীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করে তিনটি পাম্পের পাঁচটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছ বিএসটিআই। সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয় নরসিংদীর সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) মো: কামরুল পলাশের নেতৃত্বে এবং পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: আরিফ হোসেন আসিফ ও কাজী শাখাওয়াত হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

১ দিন আগে