ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গার্মেন্টকর্মী রতন মিয়া (৩৩) ও তার মেয়ে নুরিয়া আক্তার (৭)-এর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রামে ঘরের মেঝে ও খাট থেকে মরদেহ পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে রতন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (২৭)কে।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তবে কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিভিন্ন দলে তদন্ত করছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৯ বছর আগে হালুয়াঘাটের জুলেখা বেগমের সঙ্গে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর রতন মিয়ার বিয়ে হয়। রতন গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন, আর জুলেখা প্রায় দুই বছর আগে দুবাইয়ে গৃহকর্মী হিসেবে ছিলেন।

সুপার জানিয়ে দিয়েছেন, স্ত্রী বিদেশে থাকাকালীন সময়ে দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। সম্প্রতি দেশে ফিরলে দুই মাস ধরে জুলেখা নিজ বাড়িতে ছিলেন। সোমবার রতন মিয়া স্ত্রীর কাছে যান। পরদিন ভোরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরে মরদেহ দেখতে পান এবং আহত জুলেখাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ নিহতের শ্বশুর দুলাল মিয়া ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়।