নিখাদ খবর ডেস্ক
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার হাদজা লাহবিব। বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মায়ানমারের সংঘাতময় জনগোষ্ঠীসহ বিশেষ করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এই অর্থ দেওয়া হবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
হাদজা লাহবিব বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে ইইউ। এছাড়া চলমান সংস্কারের প্রতি ইউইয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
দেশের সংকটময় মোড়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি একটি অসাধারণ সময়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।
ইইউ কমিশনার বলেন, এই সাহায্যের পরিমাণ গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হওয়ার পরও তহবিলের ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের কারণে ক্যাম্পগুলোতে মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতির ঝুঁকি এড়াতে এটি এখনো যথেষ্ট নয়।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা মানবিক সংকটে তার সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় ইস্যু’। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে কোনো সুরাহা ছাড়াই চলছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখও নেই।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনাকে বাংলাদেশ সফরে আসতে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত।
জাতিসংঘ মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’
ইইউ কমিশনার বলেন, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে শান্তি। তিনি বলেন, ‘মানবসৃষ্ট দুর্যোগসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ধরনের দুর্যোগের মধ্যে মিথ্যা তথ্যও রয়েছে।’
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তারা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির সুযোগ, বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ এ অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগসহ জ্বালানি খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন কামনা করেন। কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে উত্তরণের পথ প্রশস্ত এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে কথা বলি এবং এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আছে।
নেপাল ও ভুটান উভয়ই আমাদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রি করতে আগ্রহী।’
ইইউ কমিশনার বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ প্রস্তুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে আরো সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ভালো অনুশীলন’ ও ‘প্রস্তুতি কৌশল’ বিনিময়ে আগ্রহী।
লাহবিব দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি একটি অসাধারণ সময়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হচ্ছে, আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রতি ইইউর সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। লাহবিব বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রেক্ষাপট, যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, আপনি যখন কিছু পরিবর্তন করতে চান তখন সর্বদা প্রতিরোধ থাকে। তাই অনেক কিছু করতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার হাদজা লাহবিব। বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মায়ানমারের সংঘাতময় জনগোষ্ঠীসহ বিশেষ করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এই অর্থ দেওয়া হবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
হাদজা লাহবিব বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়া হবে ইইউ। এছাড়া চলমান সংস্কারের প্রতি ইউইয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
দেশের সংকটময় মোড়ে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি একটি অসাধারণ সময়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।
ইইউ কমিশনার বলেন, এই সাহায্যের পরিমাণ গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হওয়ার পরও তহবিলের ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের কারণে ক্যাম্পগুলোতে মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতির ঝুঁকি এড়াতে এটি এখনো যথেষ্ট নয়।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা মানবিক সংকটে তার সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘বড় ইস্যু’। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে কোনো সুরাহা ছাড়াই চলছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখও নেই।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনাকে বাংলাদেশ সফরে আসতে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত।
জাতিসংঘ মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’
ইইউ কমিশনার বলেন, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে শান্তি। তিনি বলেন, ‘মানবসৃষ্ট দুর্যোগসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ধরনের দুর্যোগের মধ্যে মিথ্যা তথ্যও রয়েছে।’
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তারা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির সুযোগ, বন্যা ব্যবস্থাপনাসহ এ অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগসহ জ্বালানি খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন কামনা করেন। কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে উত্তরণের পথ প্রশস্ত এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে কথা বলি এবং এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আছে।
নেপাল ও ভুটান উভয়ই আমাদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রি করতে আগ্রহী।’
ইইউ কমিশনার বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ প্রস্তুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে আরো সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ভালো অনুশীলন’ ও ‘প্রস্তুতি কৌশল’ বিনিময়ে আগ্রহী।
লাহবিব দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি একটি অসাধারণ সময়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হচ্ছে, আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রতি ইইউর সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। লাহবিব বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রেক্ষাপট, যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, আপনি যখন কিছু পরিবর্তন করতে চান তখন সর্বদা প্রতিরোধ থাকে। তাই অনেক কিছু করতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পরিবারসহ বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেরাতে বাসায় ঢুকে ‘ভাঙচুর–অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা থাকলেও বাস্তবে বহু অনিয়ম বিদ্যমান।
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পরিবারসহ বিমান বাহিনী সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রাতে বাসায় ঢুকে ‘ভাঙচুর–অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা থাকলেও বাস্তবে বহু অনিয়ম বিদ্যমান।