জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশে ৭৬ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে, যার সদস্যরা সরাসরি সাধারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১৩তম দিনের অধিবেশন এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও উচ্চকক্ষের নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।সংলাপে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

উচ্চকক্ষের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশন বলেছে, প্রতিটি জেলা ও প্রতিটি সিটি করপোরেশনকে একটি করে আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেখান থেকে একজন করে সদস্য নির্বাচিত হবেন।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে ৬৪টি প্রশাসনিক জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশন রয়েছে বিধায় উচ্চকক্ষের আসনসংখ্যা হবে ৭৬টি। জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) এবং উচ্চকক্ষের নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদের উচ্চকক্ষের নাম প্রস্তাব করা হয় 'সিনেট'। এই উচ্চকক্ষ আইন পর্যালোচনা ও যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং নির্বাহী ক্ষমতার উপর একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।