সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্ব-শাসিত সংস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স নির্ধারণে নতুন সংশোধনী আনল সরকার। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যেসব পদে আগে ৩২ বছরের বেশি সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারিত ছিল, সেগুলোর জন্য সেই বয়সসীমা বহাল রাখা হবে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মঙ্গলবার জারি হওয়া ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থায় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংশোধনীটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর জারি হওয়া অধ্যাদেশের ধারা ও শিরোনামে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য হলো, নির্দিষ্ট পদে আগে থেকেই নির্ধারিত বয়সসীমা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং সরকারিভাবে নতুন ৩২ বছরের সীমা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিদ্যমান নিয়োগ বিধিমালার আওতায় থাকা পদগুলোর জন্য পূর্বের বয়সসীমা অপরিবর্তিত থাকবে। অন্য সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্ব-শাসিত সংস্থায় নির্ধারিত বয়সসীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হয়।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সংশোধনীর মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হবে।