নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ চরম তাপমাত্রা এবং প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ গুরুতর বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে পানি ও মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা সরাসরি প্রভাবিত হবে।
পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অভিযোজনের মুখোমুখি
‘বাংলাদেশ অ্যান্ড আদার সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স উইল বি প্রাইভেট সেক্টর লেড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল চাপ এখন পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ পরিবার ও প্রতিষ্ঠান আগামী ১০ বছরে কোনো না কোনো আবহাওজনিত ধাক্কা আশা করছে। যদিও ৮০ শতাংশ পরিবার এবং ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই নিম্নমূল্যের অভিযোজন পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের উপকূলীয় ২৫০টি গ্রামে জরিপে দেখা গেছে, জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামোর অভাব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ৫৭ শতাংশ পরিবার দুর্যোগ-সুরক্ষা অবকাঠামোর ঘাটতি উল্লেখ করেছে, আর ৫৬ শতাংশ পরিবার অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সক্ষমতা রাখে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংকট শুধু পরিবেশগত নয়, বরং দরিদ্র ও কৃষিভিত্তিক পরিবারদের জীবন-জীবিকায় গভীর প্রভাব ফেলছে।
সরকারি উদ্যোগ ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টারসহ সরকারি বিনিয়োগ মানুষকে জীবনহানি থেকে রক্ষা করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও হালনাগাদ তথ্যের সমন্বয়ে দ্রুত সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব। তবে সীমিত বাজেটের কারণে সরকার সবক্ষেত্রে সক্ষম নয়; তাই বেসরকারি খাতের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নীতিগত প্যাকেজ জরুরি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিভাগের পরিচালক জ্যঁ পেসমে বলেন, “বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা নতুন পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও অভিযোজন শুরু হয়েছে, জলবায়ু ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, নগর বিনিয়োগ এবং অর্থায়ন বাড়ানো অপরিহার্য।”
সমন্বিত ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগের প্রয়োজন
প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বহুস্তরীয় ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে—
এগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করলে জলবায়ু-সম্পর্কিত ক্ষতির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত এড়ানো সম্ভব।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, “বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শিক্ষণীয়। মানুষ ও ব্যবসা ইতিমধ্যেই অভিযোজন করছে, কিন্তু সংকট মোকাবিলায় সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া যথেষ্ট সমাধান সম্ভব নয়।”
দূরদর্শী বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের সুযোগ
বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন অনুযায়ী, লক্ষ্যভিত্তিক বিনিয়োগ ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান স্থানীয় অভিযোজনকে বড় পরিসরে রূপ দিতে পারে। সরকার, বেসরকারি খাত ও কমিউনিটির সমন্বিত অংশীদারিত্ব জোরদার করলে, জলবায়ু-স্মার্ট সমাধান দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব, যা শুধু ঝুঁকি কমাবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ চরম তাপমাত্রা এবং প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ গুরুতর বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে পানি ও মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা সরাসরি প্রভাবিত হবে।
পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অভিযোজনের মুখোমুখি
‘বাংলাদেশ অ্যান্ড আদার সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স উইল বি প্রাইভেট সেক্টর লেড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মূল চাপ এখন পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ পরিবার ও প্রতিষ্ঠান আগামী ১০ বছরে কোনো না কোনো আবহাওজনিত ধাক্কা আশা করছে। যদিও ৮০ শতাংশ পরিবার এবং ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই নিম্নমূল্যের অভিযোজন পদক্ষেপ নিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশের উপকূলীয় ২৫০টি গ্রামে জরিপে দেখা গেছে, জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামোর অভাব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ৫৭ শতাংশ পরিবার দুর্যোগ-সুরক্ষা অবকাঠামোর ঘাটতি উল্লেখ করেছে, আর ৫৬ শতাংশ পরিবার অভিযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সক্ষমতা রাখে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংকট শুধু পরিবেশগত নয়, বরং দরিদ্র ও কৃষিভিত্তিক পরিবারদের জীবন-জীবিকায় গভীর প্রভাব ফেলছে।
সরকারি উদ্যোগ ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টারসহ সরকারি বিনিয়োগ মানুষকে জীবনহানি থেকে রক্ষা করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও হালনাগাদ তথ্যের সমন্বয়ে দ্রুত সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব। তবে সীমিত বাজেটের কারণে সরকার সবক্ষেত্রে সক্ষম নয়; তাই বেসরকারি খাতের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নীতিগত প্যাকেজ জরুরি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিভাগের পরিচালক জ্যঁ পেসমে বলেন, “বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা নতুন পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও অভিযোজন শুরু হয়েছে, জলবায়ু ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, নগর বিনিয়োগ এবং অর্থায়ন বাড়ানো অপরিহার্য।”
সমন্বিত ও প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগের প্রয়োজন
প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বহুস্তরীয় ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে—
এগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করলে জলবায়ু-সম্পর্কিত ক্ষতির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত এড়ানো সম্ভব।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, “বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শিক্ষণীয়। মানুষ ও ব্যবসা ইতিমধ্যেই অভিযোজন করছে, কিন্তু সংকট মোকাবিলায় সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া যথেষ্ট সমাধান সম্ভব নয়।”
দূরদর্শী বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের সুযোগ
বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন অনুযায়ী, লক্ষ্যভিত্তিক বিনিয়োগ ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান স্থানীয় অভিযোজনকে বড় পরিসরে রূপ দিতে পারে। সরকার, বেসরকারি খাত ও কমিউনিটির সমন্বিত অংশীদারিত্ব জোরদার করলে, জলবায়ু-স্মার্ট সমাধান দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব, যা শুধু ঝুঁকি কমাবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতির মতামত যাচাইয়ের উদ্যোগে সরকার গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে
৬ ঘণ্টা আগে
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে দায়ের হওয়া বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক সমাপ্ত করে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এ তারিখ নির্ধারণ করেন
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে থাকা প্রায় ৩০০টি ভবনের কথা জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম
১ দিন আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে
১ দিন আগেবিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতির মতামত যাচাইয়ের উদ্যোগে সরকার গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে দায়ের হওয়া বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক মো. রবিউল আলম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক সমাপ্ত করে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এ তারিখ নির্ধারণ করেন
রাজধানীতে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে থাকা প্রায় ৩০০টি ভবনের কথা জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম