নিখাদ খবর ডেস্ক

মঙ্গলবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সর্বমিত্র চাকমা লাঠি হাতে এক বৃদ্ধকে শাসাচ্ছেন। তাঁর হাতে ছিল একটি বস্তা ও ক্র্যাচ। তা নিয়ে সর্বমিত্রের সঙ্গে টানাটানি করছেন। এক পর্যায়ে সর্বমিত্র বস্তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত প্রক্টরিয়াল টিমের একাধিক সদস্যকে উদ্দেশ করে সর্বমিত্রকে বলতে শোনা যায়, তিনি মিটিং করেই উচ্ছেদ করছেন এবং জিনিসগুলো সরিয়ে নিতে বলেন। এর পর প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য সর্বমিত্রের হাত থেকে লাঠি নিয়ে বৃদ্ধের বস্তায় আঘাত করতে করতে সতর্ক করেন। এ সময় বৃদ্ধ আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি মইরা যামু বাপ।’ লাঠি হাতে নিয়ে সর্বমিত্র ওই বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আর দেখব এখানে?’ জবাবে বৃদ্ধ বলেন, ‘না বাবা।’
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর কঠোর সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ‘মাঠে না থাকা’র ঘোষণা দেন সর্বমিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর সপ্তাহব্যাপী হকার, ভাসমান দোকান, রিকশা ও ভবঘুরে উচ্ছেদে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। উচ্ছেদ কমিটিতে ছিলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ) উপমহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মেজর (অব.) মোহাম্মদ জাকির সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর ও উপপরিদর্শক মনোজ প্রভাকর রায়, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন এবং ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী (এবি যুবায়ের)।
এই কমিটি সপ্তাহব্যাপী অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল। এর মেয়াদ শেষ হয় ৩০ অক্টোবর। কমিটিতে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার নাম নেই। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান সপ্তাহ শেষ হওয়ার পরও নিজ উদ্যোগে তিনি এ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বমিত্র চাকমার বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলায়। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র; থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সর্বমিত্র চাকমা গত মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন না করে এই লোকগুলোকে সরানো কঠিন। সম্প্রতি দুইজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন।’ সর্বমিত্র স্বীকার করেন, বিতর্ক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করছে। প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা সরাসরি ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না হলেও তাঁর এখতিয়ারের বাইরেও নয় বলে মন্তব্য করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা বলেন, ‘যেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা খুব একটা প্রফেশনাল নয়। সেই ভিডিও গুপ্তভাবে ধারণ করা হয়েছে। যারা ধারণ করেছে, তারা উচ্ছেদ অভিযানের আশপাশ দিয়ে ঘুরছিল কোনো ফাঁকফোকর পাওয়া যায় কিনা– এই আশায়।
লাঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে শুরু থেকে লাঠি ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করা হয়নি। ওই লোকের হাতের বস্তায় লাঠি দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সেই বস্তার মধ্যে মাদক ছিল। এ ছাড়া ওই বৃদ্ধের সঙ্গে যে স্ট্রেচার ছিল, সেটা তাঁর লাগে না। কেবল ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য।’
ডাকসু নেতাদের প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকায় নামার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আইনে কোনো ‘ইয়েসও নাই, নো-ও নাই।’ কিন্তু আমরা এটা নিষেধ করেছি যে, এটা তোমরা সহায়ক হিসেবে কাজ করো, মূল টিম হিসেবে নয়– এটা আমরা বলে দিয়েছি। এখন বোধ হয় তারা নামছে না।

মঙ্গলবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সর্বমিত্র চাকমা লাঠি হাতে এক বৃদ্ধকে শাসাচ্ছেন। তাঁর হাতে ছিল একটি বস্তা ও ক্র্যাচ। তা নিয়ে সর্বমিত্রের সঙ্গে টানাটানি করছেন। এক পর্যায়ে সর্বমিত্র বস্তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত প্রক্টরিয়াল টিমের একাধিক সদস্যকে উদ্দেশ করে সর্বমিত্রকে বলতে শোনা যায়, তিনি মিটিং করেই উচ্ছেদ করছেন এবং জিনিসগুলো সরিয়ে নিতে বলেন। এর পর প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য সর্বমিত্রের হাত থেকে লাঠি নিয়ে বৃদ্ধের বস্তায় আঘাত করতে করতে সতর্ক করেন। এ সময় বৃদ্ধ আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমি মইরা যামু বাপ।’ লাঠি হাতে নিয়ে সর্বমিত্র ওই বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আর দেখব এখানে?’ জবাবে বৃদ্ধ বলেন, ‘না বাবা।’
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর কঠোর সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ‘মাঠে না থাকা’র ঘোষণা দেন সর্বমিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর সপ্তাহব্যাপী হকার, ভাসমান দোকান, রিকশা ও ভবঘুরে উচ্ছেদে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। উচ্ছেদ কমিটিতে ছিলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ) উপমহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মেজর (অব.) মোহাম্মদ জাকির সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, এমআরটি পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর ও উপপরিদর্শক মনোজ প্রভাকর রায়, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন এবং ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী (এবি যুবায়ের)।
এই কমিটি সপ্তাহব্যাপী অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল। এর মেয়াদ শেষ হয় ৩০ অক্টোবর। কমিটিতে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার নাম নেই। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান সপ্তাহ শেষ হওয়ার পরও নিজ উদ্যোগে তিনি এ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বমিত্র চাকমার বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলায়। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র; থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সর্বমিত্র চাকমা গত মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়ভীতি প্রদর্শন না করে এই লোকগুলোকে সরানো কঠিন। সম্প্রতি দুইজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন।’ সর্বমিত্র স্বীকার করেন, বিতর্ক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করছে। প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা সরাসরি ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না হলেও তাঁর এখতিয়ারের বাইরেও নয় বলে মন্তব্য করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা বলেন, ‘যেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেটা খুব একটা প্রফেশনাল নয়। সেই ভিডিও গুপ্তভাবে ধারণ করা হয়েছে। যারা ধারণ করেছে, তারা উচ্ছেদ অভিযানের আশপাশ দিয়ে ঘুরছিল কোনো ফাঁকফোকর পাওয়া যায় কিনা– এই আশায়।
লাঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে শুরু থেকে লাঠি ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করা হয়নি। ওই লোকের হাতের বস্তায় লাঠি দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সেই বস্তার মধ্যে মাদক ছিল। এ ছাড়া ওই বৃদ্ধের সঙ্গে যে স্ট্রেচার ছিল, সেটা তাঁর লাগে না। কেবল ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য।’
ডাকসু নেতাদের প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকায় নামার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আইনে কোনো ‘ইয়েসও নাই, নো-ও নাই।’ কিন্তু আমরা এটা নিষেধ করেছি যে, এটা তোমরা সহায়ক হিসেবে কাজ করো, মূল টিম হিসেবে নয়– এটা আমরা বলে দিয়েছি। এখন বোধ হয় তারা নামছে না।

ঝিনাইদহ-২ আসন স্বাধীনতার পর থেকেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার দলীয় প্রার্থী জয়ী হওয়ায় এটিকে বিএনপির ‘হৃৎস্পন্দন’ বলা হয়।
১ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২ ঘণ্টা আগে
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় যেতে চায় দলটি; তা না হলে রাজনীতি ছাড়বে
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ-২ আসন স্বাধীনতার পর থেকেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার দলীয় প্রার্থী জয়ী হওয়ায় এটিকে বিএনপির ‘হৃৎস্পন্দন’ বলা হয়।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা। ‘অবৈধ’ দোকান, উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্তদের উচ্ছেদ করছেন তারা। এ সময় মারধর, হেনস্তা, ব্যক্তিগত গোপনীয় লঙ্ঘন করার অভিযোগও রয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় যেতে চায় দলটি; তা না হলে রাজনীতি ছাড়বে