পঞ্চগড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী বারুণী স্নান উৎসব শুরু

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ১১: ১৮
Thumbnail image

পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার করোতোয়া নদীর বোয়ালমারী ঘাটে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের তিন দিনব্যাপী বারুনী মহাস্নান উৎসব।

বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনব্যাপী এই স্নান উৎসব চলবে। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে পূণ্যার্থী ও ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে স্থানটি। প্রতি বছরের মতো এবারও মহাস্নান চলবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

পঞ্চগড় সহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক লাখ পুণ্যার্থী ও ভক্তরা করতোয়া নদীর এই উত্তরমুখী স্রোতের এই স্থানে স্নান করতে আসেন।

কথিত আছে, মহাদেবের স্ত্রী পার্বতীর মৃতদেহ এ স্থানে স্নান করায় সেইকাল থেকে করোতোয়া নদীর উত্তর স্রোতধারায় প্রবাহিত এই স্থানে পূণ্যার্থী ও ভক্তরা জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি লগ্নে স্নান ও পিতৃতর্পণ করে নিজে পবিত্র ও পিতা মাতার মঙ্গলার্থে মাথা ছাটাই করা ও দানাদি করে থাকেন। করতোয়া নদীর এ স্থানে এসে নদীটি প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত উত্তরদিকে প্রবাহিত হয়।

দেহ-মন থেকে পাপ মোচনের আশায় অনেকে মাথার চুল বিসর্জন দিয়ে পূজার্চনা করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সংকল্প বাক্য স্নানমন্ত্র পাঠ করে হাতে বেল পাতা ফুল ধান দূর্বা হরিতকী কাঁচা আম, ডাব, কলা ইত্যাদি অর্পণের মাধ্যমে স্নান সম্পন্ন করেন।

পূণ্যস্নান উপলক্ষে এখানে বসেছে বারুনী মেলা। স্থানীয় মন্দির কমিটি এই মেলার আয়োজন করে।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, বারুনী স্নান উৎসবের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পঞ্চগড় জেলা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সনাতন নিয়ে আরও পড়ুন

হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় বিজয়া দশমীতে সীমান্ত নদী ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জন হলেও এবারও হয়নি দুই বাংলার মানুষের ঐতিহ্যবাহী মিলনমেলা।

২ দিন আগে

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসব। চলতি এ উৎসবের সপ্তমীতে নীলফামারীর পূজা মণ্ডপ গুলো পরিদর্শন করেছেন বেগম জিয়ার ভাগ্নে সাবেক সংসদ সদস্য ও ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) এর আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।

৬ দিন আগে

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আনন্দঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানে সরকার সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোন হুমকি নেই।

১২ দিন আগে

নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছ র‌্যালি হয়েছে।

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫