বিশেষ প্রতিনিধি
এক বহুমুখী প্রতারকের নাম আবু সাদেক। যিনি এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তিন দিনের মাথায় তিনি আবার জামিনে মুক্তি পান। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে এত বড় অপরাধের আসামিরা সহজে জামিন পায়। আশ্চার্য হলেও সত্য, সেই প্রতারক এখন বিএনপির প্রভাবশালী নেতার শেল্টারে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অবৈধভাবে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এর মধ্যে ডিবির হারুনের অবৈধ আয়ের ১ হাজার কোটি টাকা আছে সাদেকের পকেটে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার, ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে সরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ এবং কোটি কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতার শেল্টারে থাকা এই নেতার বিরুদ্ধে।
বিএনপি নেতার আশ্রয়ে চলে যাওয়ার কথা নিজেই স্বীকার করে আবু সাদেক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ, তা সবকিছুই মিথ্যা ও বানোয়াট। গত ২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ছিল একটি চক্রান্ত।
আবু সাদেকের বিরুদ্ধে জুলফিকার আলী নামের যে ব্যবসায়ী অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন, তিনিও বলেছেন তারা বসুন্ধরায় বিএনপির এক নেতার বাসায় বসেছিলেন। এই বিএনপি নেতার বাড়িও লক্ষ্মীপুরে। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতেও বারণ করেছেন এই নেতা।
ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী বলেন, সাদেক আমার জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে। এদিকে সাদেক বলেন, পাওনা ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো তাকে হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা করেছেন।
দুদকে সাদেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ডিবির হারুন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুন ও তিনি মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এই সিন্ডিকেট তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে বেপজা, বিআইডব্লিউটিএ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, টিসিবি, মডেল মসজিদ নির্মাণ, এলজিইডি, বিডব্লিউবিডি, পিডব্লিউডি, পদ্মা সেতু, এমআরটি প্রকল্প এবং সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ নিজেদের দখলে নেন। নকল কাগজপত্র জমা দিয়ে কাজ না করেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুনের বিপুল পরিমাণের অবৈধ সম্পদ সাদেকের কাছে গচ্ছিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, হারুনের ১ হাজার কোটি টাকা সাদেকের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ অর্থ তার স্ত্রী হালিমা আইরিনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে লেনদেন করা হয়। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুর রব শামীমের কাছে ৩৪৫ কোটি টাকা ও তার ভাগ্নে মশিউর রহমান সোহানের কাছে ৪৬০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার তথ্যও মিলেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ধানমন্ডির ১নং রোডে অবস্থিত ড্রিমস বিউটি পার্লার ও ফিটনেস ক্লাবটি আবু সাদিকের সিন্ডিকেটের সদস্যদের আড্ডার স্থান। সেখানে বসে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুনসহ আসামিরা বিভিন্ন অপহরণ ও চাঁদাবাজির পরিকল্পনা করতেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু সাদেক সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিশ্বস্ত হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ড্রেজার ব্যবসার একচেটিয়া ঠিকাদারি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক বহুমুখী প্রতারকের নাম আবু সাদেক। যিনি এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তিন দিনের মাথায় তিনি আবার জামিনে মুক্তি পান। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে এত বড় অপরাধের আসামিরা সহজে জামিন পায়। আশ্চার্য হলেও সত্য, সেই প্রতারক এখন বিএনপির প্রভাবশালী নেতার শেল্টারে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অবৈধভাবে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এর মধ্যে ডিবির হারুনের অবৈধ আয়ের ১ হাজার কোটি টাকা আছে সাদেকের পকেটে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার, ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে সরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ এবং কোটি কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতার শেল্টারে থাকা এই নেতার বিরুদ্ধে।
বিএনপি নেতার আশ্রয়ে চলে যাওয়ার কথা নিজেই স্বীকার করে আবু সাদেক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ, তা সবকিছুই মিথ্যা ও বানোয়াট। গত ২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ছিল একটি চক্রান্ত।
আবু সাদেকের বিরুদ্ধে জুলফিকার আলী নামের যে ব্যবসায়ী অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন, তিনিও বলেছেন তারা বসুন্ধরায় বিএনপির এক নেতার বাসায় বসেছিলেন। এই বিএনপি নেতার বাড়িও লক্ষ্মীপুরে। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতেও বারণ করেছেন এই নেতা।
ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী বলেন, সাদেক আমার জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে। এদিকে সাদেক বলেন, পাওনা ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো তাকে হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা করেছেন।
দুদকে সাদেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ডিবির হারুন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুন ও তিনি মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এই সিন্ডিকেট তৎকালীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে বেপজা, বিআইডব্লিউটিএ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, টিসিবি, মডেল মসজিদ নির্মাণ, এলজিইডি, বিডব্লিউবিডি, পিডব্লিউডি, পদ্মা সেতু, এমআরটি প্রকল্প এবং সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ নিজেদের দখলে নেন। নকল কাগজপত্র জমা দিয়ে কাজ না করেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুনের বিপুল পরিমাণের অবৈধ সম্পদ সাদেকের কাছে গচ্ছিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, হারুনের ১ হাজার কোটি টাকা সাদেকের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ অর্থ তার স্ত্রী হালিমা আইরিনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে লেনদেন করা হয়। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুর রব শামীমের কাছে ৩৪৫ কোটি টাকা ও তার ভাগ্নে মশিউর রহমান সোহানের কাছে ৪৬০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার তথ্যও মিলেছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, তারা অভিযোগ পেয়েছেন এবং যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ধানমন্ডির ১নং রোডে অবস্থিত ড্রিমস বিউটি পার্লার ও ফিটনেস ক্লাবটি আবু সাদিকের সিন্ডিকেটের সদস্যদের আড্ডার স্থান। সেখানে বসে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুনসহ আসামিরা বিভিন্ন অপহরণ ও চাঁদাবাজির পরিকল্পনা করতেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু সাদেক সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিশ্বস্ত হওয়ায় তার প্রভাব খাটিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ড্রেজার ব্যবসার একচেটিয়া ঠিকাদারি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি অফিসে একযোগে অভিযান চালানোর পর সড়ক ও জনপথ বিভাগে অভিযান পরিচালনার দাবি উঠেছে।
৩ দিন আগেনিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অরক্ষিত হয়েছে পড়েছে পাহাড়। সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে পাহাড় জুড়ে । সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় কেরা হচ্ছে বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে।
৪ দিন আগেশান্তির জন্য চুক্তি হয় অথচ বাড়ে অশান্তি। জন্ম হয় নতুন নতুন সন্ত্রাসী সংগঠনের। এত চুক্তি ও সাধনার পরও গত ২৭ বছরে এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে। অধিকাংশ এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয় আবার আওয়ামী সরকারের আমলে।
৫ দিন আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৭ দিন আগেরাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি অফিসে একযোগে অভিযান চালানোর পর সড়ক ও জনপথ বিভাগে অভিযান পরিচালনার দাবি উঠেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অরক্ষিত হয়েছে পড়েছে পাহাড়। সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে পাহাড় জুড়ে । সব চেয়ে বেশি চাঁদা আদায় কেরা হচ্ছে বনজ সম্পদ ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে।
শান্তির জন্য চুক্তি হয় অথচ বাড়ে অশান্তি। জন্ম হয় নতুন নতুন সন্ত্রাসী সংগঠনের। এত চুক্তি ও সাধনার পরও গত ২৭ বছরে এ পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে। অধিকাংশ এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয় আবার আওয়ামী সরকারের আমলে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।