বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বিশেষ সংবাদ
বিবিধ

রাজনৈতিক ঐকমত্য কতদূর!

প্রতিনিধি
মোঃ মাজহারুল পারভেজ
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ২১: ৫২
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ২১: ৫৯
logo

রাজনৈতিক ঐকমত্য কতদূর!

মোঃ মাজহারুল পারভেজ

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ২১: ৫২
Photo
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক ঐকমত্য বহুদূর। রাজনৈতিক দল গুলো এখনো এক অপরকে আগের মত অবিশ্বাস করে। করে দোষারুপও। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে আদর্শিক। সমাজনীতি ‘ধান্দাবাজির’ অন্ধকার জগত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ঘূণ ধরা রাজনীতির অবসান ঘটনাতে হবে। রাজনীতির লক্ষ্য হতে হবে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য। টাকার বিনিময়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন বা নেতৃত্বের বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে। তাহলে যদি রাজণীতিতে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়।

বিএনপি বলছে সরকার এনসিপি ও জামাতকে বেশী প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আবার এনসিপি ও জামাত বলছে একই কথা। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল আবার টুটালি রাজনীতির বাইরে। তাহলে এ অবস্থায় রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি হবে কেমন করে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, দ্রব্যমূল্য কমবে, জনজীবনে সংকট দূর হয়ে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা তৈরি হবে কিন্তু সেটা হয়নি।

বিএনপির চেইন অব কমান্ড ৫ অগাস্টের পর দুর্বল হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা দুরূহ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রথম দিকে বিএনপির ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছিল। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যকলাপ, হাট-বাজার-ঘাট, ঘের, ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে পদ-পদবি বাগিয়ে নেওয়ার মতো নানান কিছুর ফলে গত ১০ মাসে তার অনেকটা নষ্ট হয়েছে। দলটির মাঝে স্বার্থকেন্দ্রিক উপদলীয় অন্তঃকোন্দল প্রবল। বিভিন্ন জায়গায় প্রাণঘাতী সংঘাতে পর্যন্ত রূপ নিয়েছে।

এদিকে ইসলামবাদীদের উপলব্ধি হলো, বর্তমান সময়ে তারা যতটা মুক্ত পরিবেশে, স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, সেটা স্বাধীন বাংলাদেশে এর পূর্বে কখনও সম্ভব হয়নি। তাদের কারো কারো আশঙ্কা, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হলে তাদের আজকের যে অবস্থান, সেটা ব্যাহত হতে পারে।

শুধু নির্বাচন নয়, নানা বিষয় ৫ অগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এ সংকট থেকে উত্তরণে যেটি সবার আগে প্রয়োজন সেটি হলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। অধ্যাপক ইউনূস নিজেই বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে চান।

বাংলাদেশের ইতিহাসের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো নির্বাচন হচ্ছে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন, যা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হল ১৯৯১-এর চেয়েও ভালো নির্বাচন করা। এ ধরনের নির্বাচনের মূল শর্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা। এটা তখনই সম্ভব, যদি তাতে জনমতের প্রতিফলন থাকে।

রাষ্ট্র সংস্কার কোনো দল বা সরকারের একক অ্যাজেন্ডা হতে পারে না। এটি হতে হয় সর্বসম্মত জাতীয় প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আমরা দেখছি, কোনো দল ভোটের আগে সংস্কারের কথা বলছে, কেউ বলছে নির্বাচনের পরে। কেউ বলছে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন ছাড়া কথা নয়, কেউ আবার বলছে, নির্বাচনপদ্ধতি বদলানো ছাড়া সবই বৃথা। এমন ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এসব মতকে একত্রে গেঁথে সামনের দিকে এগোনোর সদিচ্ছা না থাকে, তবে এই প্রক্রিয়া কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ থাকে, বাস্তবে নয়।

এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো, সব রাজনৈতিক দলকে সমান গুরুত্ব দেওয়া, ভিন্নমতের পরিসরকে ভয় না পেয়ে তা আলোচনার অংশ করে তোলা এবং যদি সম্ভব হয়, আংশিক নয়, পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক চুক্তির পথ রচনা করা।

জাতীয় ঐক্য রাতারাতি আসে না। তাতে সময় লাগে, ধৈর্য লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, লাগে একে অন্যকে গ্রহণ করার মানসিকতা। যদি কোনো দল নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যদের মধ্যে ঐক্য গঠনের চেষ্টা করে, তবে সেই ঐক্য হবে দলীয়, জাতীয় নয়।

রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াও, এই অল্প সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো জটিলতাসহ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে কি-না সেই প্রশ্নও আছে।

প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন ‘ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি’।

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদসহ সংস্কার কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরি সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার এখনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারেনি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত সরকার কতটা করতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করেন তিনি।

‘এনসিপি ও জামায়াত তো ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করছে। তাদের অভিযোগ প্রশাসন চালাচ্ছে বিএনপি। আবার বিএনপি বলছে সরকার নিজেই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে সেটি সরকারকে ঠিক করতে হবে,’ বলছেন তিনি।

১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ছাড়া সব কটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রহরার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র সক্ষম কি না? গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে মানসিক অবস্থা, তাতে নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞ সামাল দেওয়া তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তার মানে কি নির্বাচন হবে না? অবশ্যই হতে হবে; বরং একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কোনো ব্যতিক্রম হলে এর দায়ভার কিন্তু জনগণ নিবে না। তা নিতে হবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকেই। জনগণও এ পরিস্থিতি মনে রাখবে এবং সময়-সুযোগ এলে জবাবও দেবে।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক ঐকমত্য বহুদূর। রাজনৈতিক দল গুলো এখনো এক অপরকে আগের মত অবিশ্বাস করে। করে দোষারুপও। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে আদর্শিক। সমাজনীতি ‘ধান্দাবাজির’ অন্ধকার জগত থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ঘূণ ধরা রাজনীতির অবসান ঘটনাতে হবে। রাজনীতির লক্ষ্য হতে হবে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য। টাকার বিনিময়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন বা নেতৃত্বের বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে। তাহলে যদি রাজণীতিতে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়।

বিএনপি বলছে সরকার এনসিপি ও জামাতকে বেশী প্রায়োরিটি দিচ্ছি। আবার এনসিপি ও জামাত বলছে একই কথা। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল আবার টুটালি রাজনীতির বাইরে। তাহলে এ অবস্থায় রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি হবে কেমন করে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, দ্রব্যমূল্য কমবে, জনজীবনে সংকট দূর হয়ে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা তৈরি হবে কিন্তু সেটা হয়নি।

বিএনপির চেইন অব কমান্ড ৫ অগাস্টের পর দুর্বল হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা দুরূহ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রথম দিকে বিএনপির ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছিল। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যকলাপ, হাট-বাজার-ঘাট, ঘের, ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে পদ-পদবি বাগিয়ে নেওয়ার মতো নানান কিছুর ফলে গত ১০ মাসে তার অনেকটা নষ্ট হয়েছে। দলটির মাঝে স্বার্থকেন্দ্রিক উপদলীয় অন্তঃকোন্দল প্রবল। বিভিন্ন জায়গায় প্রাণঘাতী সংঘাতে পর্যন্ত রূপ নিয়েছে।

এদিকে ইসলামবাদীদের উপলব্ধি হলো, বর্তমান সময়ে তারা যতটা মুক্ত পরিবেশে, স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, সেটা স্বাধীন বাংলাদেশে এর পূর্বে কখনও সম্ভব হয়নি। তাদের কারো কারো আশঙ্কা, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হলে তাদের আজকের যে অবস্থান, সেটা ব্যাহত হতে পারে।

শুধু নির্বাচন নয়, নানা বিষয় ৫ অগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। এ সংকট থেকে উত্তরণে যেটি সবার আগে প্রয়োজন সেটি হলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। অধ্যাপক ইউনূস নিজেই বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে চান।

বাংলাদেশের ইতিহাসের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো নির্বাচন হচ্ছে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন, যা সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হল ১৯৯১-এর চেয়েও ভালো নির্বাচন করা। এ ধরনের নির্বাচনের মূল শর্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা। এটা তখনই সম্ভব, যদি তাতে জনমতের প্রতিফলন থাকে।

রাষ্ট্র সংস্কার কোনো দল বা সরকারের একক অ্যাজেন্ডা হতে পারে না। এটি হতে হয় সর্বসম্মত জাতীয় প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আমরা দেখছি, কোনো দল ভোটের আগে সংস্কারের কথা বলছে, কেউ বলছে নির্বাচনের পরে। কেউ বলছে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন ছাড়া কথা নয়, কেউ আবার বলছে, নির্বাচনপদ্ধতি বদলানো ছাড়া সবই বৃথা। এমন ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এসব মতকে একত্রে গেঁথে সামনের দিকে এগোনোর সদিচ্ছা না থাকে, তবে এই প্রক্রিয়া কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ থাকে, বাস্তবে নয়।

এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো, সব রাজনৈতিক দলকে সমান গুরুত্ব দেওয়া, ভিন্নমতের পরিসরকে ভয় না পেয়ে তা আলোচনার অংশ করে তোলা এবং যদি সম্ভব হয়, আংশিক নয়, পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক চুক্তির পথ রচনা করা।

জাতীয় ঐক্য রাতারাতি আসে না। তাতে সময় লাগে, ধৈর্য লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, লাগে একে অন্যকে গ্রহণ করার মানসিকতা। যদি কোনো দল নিজেকে বাদ দিয়ে অন্যদের মধ্যে ঐক্য গঠনের চেষ্টা করে, তবে সেই ঐক্য হবে দলীয়, জাতীয় নয়।

রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াও, এই অল্প সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো জটিলতাসহ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে কি-না সেই প্রশ্নও আছে।

প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন ‘ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি’।

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদসহ সংস্কার কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরি সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার এখনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারেনি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত সরকার কতটা করতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করেন তিনি।

‘এনসিপি ও জামায়াত তো ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করছে। তাদের অভিযোগ প্রশাসন চালাচ্ছে বিএনপি। আবার বিএনপি বলছে সরকার নিজেই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে হবে সেটি সরকারকে ঠিক করতে হবে,’ বলছেন তিনি।

১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ছাড়া সব কটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রহরার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র সক্ষম কি না? গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে মানসিক অবস্থা, তাতে নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞ সামাল দেওয়া তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তার মানে কি নির্বাচন হবে না? অবশ্যই হতে হবে; বরং একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কোনো ব্যতিক্রম হলে এর দায়ভার কিন্তু জনগণ নিবে না। তা নিতে হবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকেই। জনগণও এ পরিস্থিতি মনে রাখবে এবং সময়-সুযোগ এলে জবাবও দেবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

বিবিধ নিয়ে আরও পড়ুন

দেশের অধিকাংশ মানুষ বিরক্ত

দেশের অধিকাংশ মানুষ বিরক্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য তিনটি। একটি হলো জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্বিতীয়টি হলো সংস্কার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন। কিন্তু ১০ মাসে বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা লক্ষ করিনি।

৪ দিন আগে
নারীর ইজ্জত লুটের অবিশ্বাস্য কাহিনী

নারীর ইজ্জত লুটের অবিশ্বাস্য কাহিনী

মুতা বিয়ার নামে কুমারীদের ইজ্জত নষ্ট করছে ধনাঢ্য এক শিল্পপতি। টানা ২০ বছর ধরে খোদ রাজধানীতে এ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। সব কিছু হারিয়ে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও লোক লজ্জার ভয়ে বিচার চাইতে পারেনি ভুক্তভোগী নারীরা।

২২ দিন আগে
সাবেক আইজিআর মান্নানের পাশে কেউ নেই

সাবেক আইজিআর মান্নানের পাশে কেউ নেই

নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিআর) খান মো. আব্দুল মান্নান এর পাশে এখন আর কেউ নেই। আদালত খান মো. আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী সাকিলা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেয়ার পর একদিনেই পরিস্থিতি একেবারে পাল্টে গেছে।

২৮ মে ২০২৫
স্বস্তিতে নেই শিল্পপতিরা

স্বস্তিতে নেই শিল্পপতিরা

হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা শিল্পকারখানা নিয়ে এখন চরমভাবে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। জ্বালানি সংকট, ঋণের উচ্চ সুদহার, ডলার সংকট, নিরাপত্তাহীনতা, মামলা-হামলাসহ নানান রকম সংকটে ব্যবসায়ীরা। চরম গ্যাস ও ব্যাংকিং সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের কল-কারখানাগুলো।

১৮ মে ২০২৫
রাজনৈতিক ঐকমত্য কতদূর!

রাজনৈতিক ঐকমত্য কতদূর!

রাজনৈতিক ঐকমত্য বহুদূর। রাজনৈতিক দল গুলো এখনো এক অপরকে আগের মত অবিশ্বাস করে। করে দোষারুপও। রাজনৈতিক দলগুলোকে হতে হবে আদর্শিক। সমাজনীতি ‘ধান্দাবাজির’ অন্ধকার জগত থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

৬ ঘণ্টা আগে
দেশের অধিকাংশ মানুষ বিরক্ত

দেশের অধিকাংশ মানুষ বিরক্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য তিনটি। একটি হলো জুলাই গণহত্যার বিচার, দ্বিতীয়টি হলো সংস্কার এবং তৃতীয়টি হলো নির্বাচন। কিন্তু ১০ মাসে বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আমরা লক্ষ করিনি।

৪ দিন আগে
নারীর ইজ্জত লুটের অবিশ্বাস্য কাহিনী

নারীর ইজ্জত লুটের অবিশ্বাস্য কাহিনী

মুতা বিয়ার নামে কুমারীদের ইজ্জত নষ্ট করছে ধনাঢ্য এক শিল্পপতি। টানা ২০ বছর ধরে খোদ রাজধানীতে এ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন তিনি। সব কিছু হারিয়ে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও লোক লজ্জার ভয়ে বিচার চাইতে পারেনি ভুক্তভোগী নারীরা।

২২ দিন আগে
সাবেক আইজিআর মান্নানের পাশে কেউ নেই

সাবেক আইজিআর মান্নানের পাশে কেউ নেই

নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিআর) খান মো. আব্দুল মান্নান এর পাশে এখন আর কেউ নেই। আদালত খান মো. আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী সাকিলা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেয়ার পর একদিনেই পরিস্থিতি একেবারে পাল্টে গেছে।

২৮ মে ২০২৫