নিখাদ বিশ্ব

ভারত ও পাকিস্তান আবারও একটি সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। কারণ, কাশ্মীরে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ভারত। দেশটি বলছে, এর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা আছে। উত্তেজনা দ্রুতই এতটা বেড়ে গেছে যে, পাকিস্তানের প্রবাহিত কয়েকটি নদীর পানিপ্রবাহ আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারত। এমন কঠোর পদক্ষেপ কয়েক দশকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সময়েও নেওয়া হয়নি।
২০১৮ সালে এক সংসদীয় প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম ‘সেকেলে’, ২৪ শতাংশ এখনকার মানের এবং মাত্র ৮ শতাংশ ‘সর্বাধুনিক’। পাঁচ বছর পর ২০২৩ সালে দেওয়া এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, বিশাল আকারের বাহিনী হওয়ার চ্যালেঞ্জের কারণে পর্যাপ্ত পরিবর্তন আসেনি।
যদিও ২০২৩ সালের সংসদীয় শুনানিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সর্বাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তবু একটি আধুনিক সেনাবাহিনীর মানের বিবেচনায় এটি অনেক কম। অর্ধেকেরও বেশি সরঞ্জাম এখনো পুরোনোই রয়ে গেছে।
২০২১ সালে চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনা সদস্যরা। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর থেকে এ অঞ্চলে চার বছর ধরে সেনা মোতায়েন রেখেছে ভারতছবি: এএফপি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সীমাবদ্ধতার কারণে নরেন্দ্র মোদি তুলনামূলক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক হামলার পথ বেছে নিতে পারেন। যেমন, সীমিত পরিসরে বিমান হামলা বা পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিশেষ বাহিনীর অভিযান। এসব অভিযান জনরোষ প্রশমিত করবে, সম্ভাব্য বিব্রতকর ভুলের ঝুঁকি কমাবে এবং প্রতিশোধমূলক হামলা এড়াতে কাজে আসবে। এদিকে পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, ভারত হামলা করলে তারাও একই ধরনের জবাব দেবে।
পাকিস্তানে হামলা চালাতে জনমত নরেন্দ্র মোদির জন্য সহায়ক হলেও, ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো একই সঙ্গে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।
পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে পর্দার আড়াল থেকে সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দেশটির নেতৃত্ব তুলনামূলক বেশি স্বাধীনতা পাবে। তারা সংঘাত বাড়তে দিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে আরও সুবিধা নিতে পারে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে খুব সহজেই প্রতিহত করতে পারবে বলে ভারত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এ দাবির যদি পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে ভারতের আরেক প্রতিবেশী চীন তাতে নিবিড় নজর রাখবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তে পাকিস্তানের চেয়ে চীনকে বড় সংকট হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত। বিশেষ করে ২০২০ সালে হিমালয়ের উঁচু এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনাদের বারবার অনুপ্রবেশের পর থেকে এ অবস্থা তৈরি হয়। ফলে দেশটির সামরিক নেতৃত্বকে দুই ফ্রন্টে লড়তে হবে এমন এক যুদ্ধের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ ধরনের বহুমুখী চাপ তাদের সামর্থ্যকে ভাগ করে ফেলে।

ভারত ও পাকিস্তান আবারও একটি সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। কারণ, কাশ্মীরে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ভারত। দেশটি বলছে, এর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা আছে। উত্তেজনা দ্রুতই এতটা বেড়ে গেছে যে, পাকিস্তানের প্রবাহিত কয়েকটি নদীর পানিপ্রবাহ আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারত। এমন কঠোর পদক্ষেপ কয়েক দশকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সময়েও নেওয়া হয়নি।
২০১৮ সালে এক সংসদীয় প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জাম ‘সেকেলে’, ২৪ শতাংশ এখনকার মানের এবং মাত্র ৮ শতাংশ ‘সর্বাধুনিক’। পাঁচ বছর পর ২০২৩ সালে দেওয়া এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, বিশাল আকারের বাহিনী হওয়ার চ্যালেঞ্জের কারণে পর্যাপ্ত পরিবর্তন আসেনি।
যদিও ২০২৩ সালের সংসদীয় শুনানিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সর্বাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তবু একটি আধুনিক সেনাবাহিনীর মানের বিবেচনায় এটি অনেক কম। অর্ধেকেরও বেশি সরঞ্জাম এখনো পুরোনোই রয়ে গেছে।
২০২১ সালে চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনা সদস্যরা। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর থেকে এ অঞ্চলে চার বছর ধরে সেনা মোতায়েন রেখেছে ভারতছবি: এএফপি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সীমাবদ্ধতার কারণে নরেন্দ্র মোদি তুলনামূলক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক হামলার পথ বেছে নিতে পারেন। যেমন, সীমিত পরিসরে বিমান হামলা বা পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিশেষ বাহিনীর অভিযান। এসব অভিযান জনরোষ প্রশমিত করবে, সম্ভাব্য বিব্রতকর ভুলের ঝুঁকি কমাবে এবং প্রতিশোধমূলক হামলা এড়াতে কাজে আসবে। এদিকে পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, ভারত হামলা করলে তারাও একই ধরনের জবাব দেবে।
পাকিস্তানে হামলা চালাতে জনমত নরেন্দ্র মোদির জন্য সহায়ক হলেও, ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো একই সঙ্গে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।
পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে পর্দার আড়াল থেকে সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনা করে আসছে। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দেশটির নেতৃত্ব তুলনামূলক বেশি স্বাধীনতা পাবে। তারা সংঘাত বাড়তে দিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে আরও সুবিধা নিতে পারে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে খুব সহজেই প্রতিহত করতে পারবে বলে ভারত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এ দাবির যদি পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে ভারতের আরেক প্রতিবেশী চীন তাতে নিবিড় নজর রাখবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তে পাকিস্তানের চেয়ে চীনকে বড় সংকট হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত। বিশেষ করে ২০২০ সালে হিমালয়ের উঁচু এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনাদের বারবার অনুপ্রবেশের পর থেকে এ অবস্থা তৈরি হয়। ফলে দেশটির সামরিক নেতৃত্বকে দুই ফ্রন্টে লড়তে হবে এমন এক যুদ্ধের সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ ধরনের বহুমুখী চাপ তাদের সামর্থ্যকে ভাগ করে ফেলে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে চীনের ইউনান প্রদেশে সপ্তাহব্যাপী এক ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে।
২ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তিনি মাদকবিরোধী যুদ্ধের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ না নেন, তবে তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে সতর্ক করেছেন, ভারত থেকে চাল ও কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় কাঙ্খিত অগ্রগতি না হওয়ায় আমেরিকান কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
৪ দিন আগে
মুর্শিদাবাদের রেজিনগর এলাকায় তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ অনুদান গণনার কাজ অব্যাহত থাকে সোমবারও। বাবরি মসজিদের পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে তোলা তহবিলকে ঘিরে এই গণনার উৎস এসেছে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) —বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনের স্মরণে রেজিনগরে নতুন একটি মসজিদের ভিত্তিপ
৫ দিন আগেবাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে চীনের ইউনান প্রদেশে সপ্তাহব্যাপী এক ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তিনি মাদকবিরোধী যুদ্ধের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ না নেন, তবে তার জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে সতর্ক করেছেন, ভারত থেকে চাল ও কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় কাঙ্খিত অগ্রগতি না হওয়ায় আমেরিকান কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মুর্শিদাবাদের রেজিনগর এলাকায় তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ অনুদান গণনার কাজ অব্যাহত থাকে সোমবারও। বাবরি মসজিদের পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে গড়ে তোলা তহবিলকে ঘিরে এই গণনার উৎস এসেছে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) —বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনের স্মরণে রেজিনগরে নতুন একটি মসজিদের ভিত্তিপ