৫০ দিন অবরুদ্ধ গাজা, ফুরিয়েছে ত্রাণ মজুদ
নিখাদ বিশ্ব
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮৪ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৮ জন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরার।
এদিকে গাজা ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ছিটমহলে সাহায্যের মজুদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এদিকে
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৮ জন আহতকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যার ফলে ইসরাইলি হামলায় আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
“অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না,” এতে আরও বলা হয়েছে।
জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় এক আকস্মিক বিমান অভিযান শুরু করে, যার ফলে দুই হাজার ৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন আহত হয়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় মানবসৃষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনাহার চাপিয়ে দিচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে যে ছিটমহলে সাহায্যের মজুদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে।
খাদ্য অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের দূত মাইকেল ফাখরি বলেছেন, ইসরায়েল ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই ‘অনাহার অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল; কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই জিম্মিদের মুক্তি ও তার বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে অন্তরীণ ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে মতানৈক্য হওয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ৩৮ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২০৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ছিটমহলের ওপর যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮৪ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৮ জন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরার।
এদিকে গাজা ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ছিটমহলে সাহায্যের মজুদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এদিকে
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৮ জন আহতকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যার ফলে ইসরাইলি হামলায় আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
“অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না,” এতে আরও বলা হয়েছে।
জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরেও ইসরাইলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় এক আকস্মিক বিমান অভিযান শুরু করে, যার ফলে দুই হাজার ৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন আহত হয়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় মানবসৃষ্ট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনাহার চাপিয়ে দিচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে যে ছিটমহলে সাহায্যের মজুদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে।
খাদ্য অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের দূত মাইকেল ফাখরি বলেছেন, ইসরায়েল ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে এবং কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই ‘অনাহার অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল; কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই জিম্মিদের মুক্তি ও তার বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে অন্তরীণ ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে মতানৈক্য হওয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ৩৮ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২০৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ছিটমহলের ওপর যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
দপ্তর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থী আইন লঙ্ঘন করেছেন বা ভিসার মেয়াদ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের নিরাপত্তায় বড় পরিসরে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রথমে ইউরোপকে নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হবে
৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সফরে সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছান তিনি।
২০ ঘণ্টা আগেওয়াশিংটনে এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের। বৈঠকে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতেই উপস্থিত থাকবেন তারা।
১ দিন আগেদপ্তর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থী আইন লঙ্ঘন করেছেন বা ভিসার মেয়াদ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেছেন।
ইউক্রেনের নিরাপত্তায় বড় পরিসরে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে প্রথমে ইউরোপকে নিরাপত্তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হবে
রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম সফরে সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছান তিনি।
ওয়াশিংটনে এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের। বৈঠকে ইউক্রেনের অবস্থানকে শক্তিশালী করতেই উপস্থিত থাকবেন তারা।