জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ৪ দিনব্যাপী এক্সপো-তে সাফল্য সৌদি বাজারে বাংলাদেশের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য মেলা ‘৩য় ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্স এক্সপো ২০২৫’-এর সফল সমাপ্তি।এই গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সাথে অংশগ্রহণ করেছে এবং সৌদি আরবের বাজারে নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

এক্সপো চলাকালীন জেদ্দা ও মক্কা চেম্বারের প্রতিনিধি এবং সৌদি আরবের গণ্যমান্য ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের উন্নত মান এবং ডিজাইনের বৈচিত্র্যে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা নিশ্চিত করেছেন, তারা সৌদি বায়ারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন এবং বেশ কিছু প্রাথমিক অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তারা আশা করছেন, সৌদি আরবের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজার এবং নতুন অর্থনৈতিক নীতি বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন তাঁর বক্তব্যে রপ্তানিকারকদের সফল অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "এই এক্সপো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিশাল বাজারে প্রবেশের জন্য সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।" তিনি বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্যের গুণগত মান, নকশা ও প্যাকেজিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কন্স্যুলেট সৌদি আরবের চেম্বার অব কমার্স ও অন্যান্য স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নার্গিস মোর্শেদা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কমার্সিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আয়োজক সংস্থা পিরামিডস গ্রুপ বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এই সফলতা প্রমাণ করে, সঠিক কৌশল ও কূটনৈতিক সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাত তার অবস্থান আরও মজবুত করতে পারবে।