আরসা প্রধান গ্রেপ্তার ১০ দিনের রিমান্ডে

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ২১: ০২
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি - আরসার প্রধান আতাউল্লাহকে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান - র‌্যাব কয়েকজন সহযোগীসহ আতাউল্লাহকে আটক করে বলে জানান পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার একটি মামলায় তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি স্থানীয়ভাবে ‘হারাকাহ আল ইয়াকিন’ নামে পরিচিত ছিল।

আতাউল্লাহ ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। আতাউল্লাহর বাবা রাখাইন থেকে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। সেখানেই আতাউল্লাহর জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন মক্কায়। সেখানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।

আরাকানে যারা আরসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ আছে বলে মনে করা হয়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই সংগঠনটির প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আছে।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১) অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)-এর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার ভূমিপল্লী টাওয়ার থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা, হাসান (১৫) ও মনিরুজ্জামান (২৪)। তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি ধারালো চাকু ও একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন আতঙ্ক

নারায়ণগঞ্জে এআরএসএ সদস্যদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো থেকে সংগঠিত হয়ে এআরএসএ সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অর্থ সংগ্রহের জন্য এআরএসএ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তবে এবার সংগঠনটি দেশের অন্যান্য শহরে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসএ সদস্যদের গতিবিধি নিয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দেশের অন্যত্র সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা না হলে এ ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়তে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

অপরাধ নিয়ে আরও পড়ুন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তিন কার্যদিবস কলম বিরতি পালন করছে প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

১ ঘণ্টা আগে

মোংলা বন্দর থেকে ৭৮ লাখ বিদেশি সিগারেট শলাকা জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঘোষণায় অন্য পণ্য থাকলেও শুল্ক ফাঁকি দিতে আনা হয়েছে অরিস ব্রান্ডের সিগারেট। এতে সরকারের প্রায় ৫ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মোংলা কাস্টমস। মঙ্গলবার রাতে এসব জব্দ করা হয়।

২ ঘণ্টা আগে

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ফতেজংপুর মহাবিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে " রোড সেফটি এবং সড়ক দুর্ঘটনা ' সংক্রান্তে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১৬ ঘণ্টা আগে