ফেনী শহরে ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম, জনদুর্ভোগ বাড়ছে

প্রতিনিধি
ফেনী
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

ফেনী শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাংক রোডের পশ্চিম পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ অবশেষে শুরু হলেও এতে দেখা দিয়েছে নানা অনিয়ম। পরিকল্পনা উপেক্ষা করে ড্রেনকে আঁকাবাঁকা করে নির্মাণ করায় স্থানীয়দের আশঙ্কা, অচিরেই এ ড্রেন অকার্যকর হয়ে পড়বে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়ে জনদুর্ভোগ আরোও তীব্র হবে।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের আমলে মাস্টার প্ল্যান থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক স্বার্থসিদ্ধির কারণে এ ড্রেন নির্মাণ বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। বর্তমানে নতুন পরিকল্পনায় কাজ শুরু হলেও কোথাও দোকান ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ড্রেনকে রাস্তার পিচ ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ পাশেই খাস জমি ও ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমাকে কোনো কিছু না জানিয়ে পৌরসভা কাজ করছে। জায়গা নির্ধারণ করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” অপরদিকে পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন দাবি করেন, “সাংবাদিকদের একটি গ্রুপ চাপ সৃষ্টি করায় পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।”

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন খান বলেন, “সরকারি খাস জায়গা চিহ্নিত না করেই ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে নতুন জটিলতা তৈরি করবে।” স্থানীয়দের প্রশ্ন, কাকে সুবিধা দিতে গিয়ে ফেনীবাসীর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনা হচ্ছে?

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে কয়েকটি মামলা হলেও সেই মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের নেই তেমন কোনো তৎপরতা। চুনোপুটি কয়েকজন গ্রেফতার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে রাঘব বোয়ালরা

৮ মিনিট আগে

প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে, অভিযোগ ছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও নিশ্চিত করার প্রয়োজনে তারা মাঝে মাঝে এ অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হলে যথাযথ প্রমাণ রেখে তিনি অভিযোগ করার জন্যে উপস্থিত উৎসুক জনতাকে উৎসাহিত করেন

১৯ মিনিট আগে

এই সেতুর কারণে পরিপূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীর পানি প্রবাহ। পরিকল্পনাবিহীন এমন সেতু নির্মাণে হতবাক স্থানীয়রা। নদীকে হত্যা করে এমন সেতু নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরাও

১ ঘণ্টা আগে

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, ৩৫০ পিস ভারতীয় শাড়ী ও ১১০ পিস থ্রিপিস। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে

১ ঘণ্টা আগে