জীববৈচিত্রে মারাত্বক প্রভাব
নীলফামারী

তিন বছর আগে নদীর পুরনো গঠন ফিরিয়ে আনতে নাউতারা ও ধুম নদী খনন করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে কোনো কার্যকর ফল হয়নি। পুনঃখননের পরও নদীর পানি শুকিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে, যেখানে দখলদাররা ধান ও অন্যান্য ফসল চাষ করছে। মাছের অভাবে নদীপাড়ের জেলেরা কর্মহীন হয়ে অন্য পেশায় নেমেছে, আর নদীতে পাখিও দেখা যাচ্ছে না।
পানি না থাকার সুযোগে কিছু বালুখেকো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। এক বালু ব্যবসায়ী জানায়, বিভিন্ন দলের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে বালু তুলছে, তারা সুযোগ বুঝে বালুর ব্যবসা করছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ ও পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নদীমাতৃক জীবনযাত্রার ধারা ব্যাহত হচ্ছে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী পুনঃর্জীবিত করতে হলে পরিকল্পিত খননসহ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি প্রয়োজন। প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর পুনঃখননের মাধ্যমে নদীর গতিপথ সচল রাখতে হবে। তিন বছর আগে খনন করা হলেও তদারকির অভাবে নদী আগের মতোই আছে। পাউবোর জালিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন প্রকল্পের অধীনে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নাউতারা ও ধুম নদীর ৪০ কিলোমিটার খনন করা হয়, যা ২০২২ সালে শেষ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাউতারা ও ধুম নদী বালু ও পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। নদীর দুই তীরের মাটি প্রভাবশালীরা দখল করে চাষাবাদ করছে। কেউবা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে। স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, নদীতে বাঁধ দেওয়ায় চর সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নদীর স্বাভাবিক গতিধারা বাধাগ্রস্ত করা অপরাধ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুমলাই নদী ও বুদ্ধিতিস্তা নদীও দখল ও অনিয়ন্ত্রিত বাঁধের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীর হাসান আল বান্না বলেন, নদীর পানিশূন্য হওয়ায় চাষাবাদের জন্য বিকল্প সেচব্যবস্থা ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা খরচ ১৫-২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। পানি না থাকার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও দ্রুত কমছে, যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
পিপল'-এর পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, পাউবোর নদী খননের কার্যক্রম অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক। খননের সময় নদীর প্রকৃত প্রয়োজন বিবেচনা করে বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
করেন না। যদি নদী শুধু খনন করে নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নদী রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, মাটির ধরনের কারণে এ অঞ্চলের নদী খননের পর সমস্যা হচ্ছে। নদীগুলোতে বালুর পরিমাণ বেশি। তাই খননের পরপরই আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এমন নদীতে পানিপপ্রাহ রাখা কঠিন। তবে নদী দখল ও বাঁধ দিয়ে ফসল চাষের সুযোগ নেই।

তিন বছর আগে নদীর পুরনো গঠন ফিরিয়ে আনতে নাউতারা ও ধুম নদী খনন করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে কোনো কার্যকর ফল হয়নি। পুনঃখননের পরও নদীর পানি শুকিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে, যেখানে দখলদাররা ধান ও অন্যান্য ফসল চাষ করছে। মাছের অভাবে নদীপাড়ের জেলেরা কর্মহীন হয়ে অন্য পেশায় নেমেছে, আর নদীতে পাখিও দেখা যাচ্ছে না।
পানি না থাকার সুযোগে কিছু বালুখেকো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। এক বালু ব্যবসায়ী জানায়, বিভিন্ন দলের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে বালু তুলছে, তারা সুযোগ বুঝে বালুর ব্যবসা করছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ ও পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নদীমাতৃক জীবনযাত্রার ধারা ব্যাহত হচ্ছে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী পুনঃর্জীবিত করতে হলে পরিকল্পিত খননসহ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি প্রয়োজন। প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর পুনঃখননের মাধ্যমে নদীর গতিপথ সচল রাখতে হবে। তিন বছর আগে খনন করা হলেও তদারকির অভাবে নদী আগের মতোই আছে। পাউবোর জালিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন প্রকল্পের অধীনে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নাউতারা ও ধুম নদীর ৪০ কিলোমিটার খনন করা হয়, যা ২০২২ সালে শেষ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাউতারা ও ধুম নদী বালু ও পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। নদীর দুই তীরের মাটি প্রভাবশালীরা দখল করে চাষাবাদ করছে। কেউবা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে। স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, নদীতে বাঁধ দেওয়ায় চর সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নদীর স্বাভাবিক গতিধারা বাধাগ্রস্ত করা অপরাধ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুমলাই নদী ও বুদ্ধিতিস্তা নদীও দখল ও অনিয়ন্ত্রিত বাঁধের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীর হাসান আল বান্না বলেন, নদীর পানিশূন্য হওয়ায় চাষাবাদের জন্য বিকল্প সেচব্যবস্থা ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা খরচ ১৫-২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। পানি না থাকার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও দ্রুত কমছে, যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
পিপল'-এর পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, পাউবোর নদী খননের কার্যক্রম অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক। খননের সময় নদীর প্রকৃত প্রয়োজন বিবেচনা করে বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত।
করেন না। যদি নদী শুধু খনন করে নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নদী রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, মাটির ধরনের কারণে এ অঞ্চলের নদী খননের পর সমস্যা হচ্ছে। নদীগুলোতে বালুর পরিমাণ বেশি। তাই খননের পরপরই আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এমন নদীতে পানিপপ্রাহ রাখা কঠিন। তবে নদী দখল ও বাঁধ দিয়ে ফসল চাষের সুযোগ নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শিপন ও ইয়াছিন হত্যার ঘটনায় দায়িত্বরত পাল্টা মামলায় নতুন গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে
২ ঘণ্টা আগে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে, যা ১৪ বছর আগে দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে
৩ ঘণ্টা আগে
জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ৫ম দিন ধরে প্রভাষকদের কর্মবিরতি চলছে
৩ ঘণ্টা আগে
বিভিন্ন অনিয়ম, তদবির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে আলোচনায় থাকা খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শিপন ও ইয়াছিন হত্যার ঘটনায় দায়িত্বরত পাল্টা মামলায় নতুন গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে, যা ১৪ বছর আগে দেওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে
জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ৫ম দিন ধরে প্রভাষকদের কর্মবিরতি চলছে
বিভিন্ন অনিয়ম, তদবির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে আলোচনায় থাকা খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে