ফেনীতে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে রেড ক্রিসেন্টের ১০ কোটি টাকা ব্যয়

প্রতিনিধি
ফেনী
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

চব্বিশের ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী সময়ে ফেনী জেলায় রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ব্যাপক পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত মূল্যায়ন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, “ফেনীর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন। প্রতিটি নদী প্রচুর পলি নিয়ে আসে, ফলে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এজন্য নদী শাসন জরুরি হয়ে পড়েছে। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থাকে এ বিষয়ে আরো কাজ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে যেন নিচু এলাকায় বসতবাড়ি করার আগে উঁচু ভিটি তৈরি করা হয়। ফেনীতে বন্যা আবারো হবে, তাই জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার সরঞ্জাম মজুত রাখা প্রয়োজন।”

ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরের ডিআর ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক শাহীনুর রহমান, আইএফআরসি সিনিয়র ম্যানেজার হাসিবুল বারি রাজীব, লাইভলিহুড ম্যানেজার মেহেদি হাসান শিশির।

সভা পরিচালনা করেন ফেনী জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের উপ-যুব প্রধান আবদুর হালিম জুলহাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য আ.ন.ম আবদুর রহীম, মুহাম্মদ ফজলুল হক, রশিদ আহমদ মজুমদার, যুব রেড ক্রিসেন্টের দুর্যোগ ও মানবিক বিভাগীয় উপপ্রধান ফাতেমা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল ইসলাম, ছাগলনাইয়ার প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন, ফরহাদনগরের ইসরাত জাহান, দূর্গা রানী দাস, নুরুল আলম, পরশুরামের জাবেদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, সহকারী কমিশনার অশোক বিক্রম চাকমা, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য আরিফ আজম, আবদুল্লাহ আল জোবায়ের, ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুল মান্নানসহ যুব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় এনডিআরসি সদস্যরা বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭৭৭ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২৭ পরিবারকে ঘর, ৩১১ পরিবারকে ল্যাট্রিন, ২৩৯ পরিবারকে জীবিকায়ন সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী, সাড়ে ৬ হাজার পরিবারকে নগদ অর্থ, ৫৫০০ পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে সহায়তা, ৫৭০টি ত্রিপল বিতরণ, ২৩ স্পটে ১২ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ৫ হাজার ৮০০ পরিবারকে হাইজিন সামগ্রী, ৫৫০টি স্কুল হাইজিন কিটস, ৩০টি নতুন টিউবওয়েল স্থাপন, পুরাতন ২০টি টিউবওয়েল সংস্কার, ৭ হাজার ৬০০টি ফলজ ও ঔষধি চারা বিতরণ করা হয়।

এছাড়া ৪৬৯ জনকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে এবং ৩০০ পরিবারকে ১০ ধরনের শীতকালীন সবজির বীজ বিতরণ করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষকদের মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন

৮ ঘণ্টা আগে

সকালে কালোমেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রকৃতি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে টিনশেড ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ে। অল্প সময়ের এই ঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন

৮ ঘণ্টা আগে

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে

শিক্ষকরা শিক্ষা বাদে যখন অন্য কিছুতে জড়িত হয় তখন মর্যাদার সংকট তৈরি হয়। শিক্ষকদের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে চলতে হবে তবেই চব্বিশ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব

৯ ঘণ্টা আগে