মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ভূঁয়াই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে এক নয়নাভিরাম ‘শাপলার রাজ্য’। ভোরের সূর্যের আলোয় ঝলমলে পানির বুক ভরে ওঠে লাল-সাদা শাপলার সমারোহে। বাতাসে দুলে ওঠা জলরাশি, শাপলার ফাঁকে দল বেঁধে ভেসে বেড়ানো হাঁস—সব মিলিয়ে দৃশ্যপট যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা এক অপূর্ব চিত্রকলা।
মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে উপজেলা সদর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে চোখে পড়ে এই শাপলার সমারোহ। স্থানীয়রা একে ডাকছেন ‘শাপলার রাজ্য’।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল ছয়টায় দেখা যায়, সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত শাপলার সৌন্দর্য। স্থানীয় বাসিন্দা ও জায়ফরনগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতীশ চন্দ্র দাসের ব্যবস্থাপনায় একটি ছোট নৌকায় ঘুরতে বের হলে কৃষক রণজিত দাস মাঝি হয়ে দাঁড় টানেন। নির্জন পরিবেশে ধীরে ধীরে নৌকা এগোতেই চোখে পড়ে লাল শাপলার সমারোহ, মাঝেমধ্যে ফুটে থাকা সাদা শাপলার ঝলক যেন দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
রতীশ চন্দ্র দাস জানান, “এই জমিগুলো এক ফসলি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান কেটে নেওয়ার পর বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের পানি ঢুকে পড়ে। তখন পানির সঙ্গে ভেসে আসা কন্দ থেকে জন্ম নেয় শাপলা, যা ধীরে ধীরে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর ধরে এখানে শাপলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষে পানি শুকিয়ে গেলে কৃষকরা আবার ধান রোপণ শুরু করেন। তখন শাপলার এই সৌন্দর্য আর থাকে না।”
স্থানীয় কৃষক রণজিত দাস বলেন, “প্রতিদিনই এখানে মানুষ বেড়াতে আসেন। অনেকে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন বা ফেসবুকে লাইভ করেন। তবে নৌকার ব্যবস্থা না থাকায় ভেতরে ঢুকে কাছ থেকে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন না। মৌসুমি নৌকা চালু করা গেলে পর্যটকদের সুবিধা হবে এবং স্থানীয়দেরও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
উপজেলা সদরের তরুণ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন যাতায়াতের পথে আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে শাপলার দৃশ্য দেখি। যদি চারদিকে বাঁধ দিয়ে কিছু জায়গায় পানি আটকে রাখা যায়, তবে সারা বছর শাপলা ফোটা সম্ভব হতো। এতে জায়গাটি একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটনকেন্দ্রে রূপ নিতে পারত।”
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর জানান, “স্থানটি এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে শিগ্গিরই ঘুরে দেখব। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটনের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
প্রকৃতির এই অনন্য শাপলার রাজ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে স্বপ্নের সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে। যথাযথ উদ্যোগ নিলে একদিন এটি হয়ে উঠতে পারে মৌলভীবাজারের নতুন পর্যটন আকর্ষণ, যেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমাবেন শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ভূঁয়াই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে এক নয়নাভিরাম ‘শাপলার রাজ্য’। ভোরের সূর্যের আলোয় ঝলমলে পানির বুক ভরে ওঠে লাল-সাদা শাপলার সমারোহে। বাতাসে দুলে ওঠা জলরাশি, শাপলার ফাঁকে দল বেঁধে ভেসে বেড়ানো হাঁস—সব মিলিয়ে দৃশ্যপট যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা এক অপূর্ব চিত্রকলা।
মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে উপজেলা সদর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে চোখে পড়ে এই শাপলার সমারোহ। স্থানীয়রা একে ডাকছেন ‘শাপলার রাজ্য’।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল ছয়টায় দেখা যায়, সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত শাপলার সৌন্দর্য। স্থানীয় বাসিন্দা ও জায়ফরনগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতীশ চন্দ্র দাসের ব্যবস্থাপনায় একটি ছোট নৌকায় ঘুরতে বের হলে কৃষক রণজিত দাস মাঝি হয়ে দাঁড় টানেন। নির্জন পরিবেশে ধীরে ধীরে নৌকা এগোতেই চোখে পড়ে লাল শাপলার সমারোহ, মাঝেমধ্যে ফুটে থাকা সাদা শাপলার ঝলক যেন দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
রতীশ চন্দ্র দাস জানান, “এই জমিগুলো এক ফসলি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বোরো ধান কেটে নেওয়ার পর বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের পানি ঢুকে পড়ে। তখন পানির সঙ্গে ভেসে আসা কন্দ থেকে জন্ম নেয় শাপলা, যা ধীরে ধীরে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর ধরে এখানে শাপলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষে পানি শুকিয়ে গেলে কৃষকরা আবার ধান রোপণ শুরু করেন। তখন শাপলার এই সৌন্দর্য আর থাকে না।”
স্থানীয় কৃষক রণজিত দাস বলেন, “প্রতিদিনই এখানে মানুষ বেড়াতে আসেন। অনেকে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন বা ফেসবুকে লাইভ করেন। তবে নৌকার ব্যবস্থা না থাকায় ভেতরে ঢুকে কাছ থেকে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন না। মৌসুমি নৌকা চালু করা গেলে পর্যটকদের সুবিধা হবে এবং স্থানীয়দেরও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
উপজেলা সদরের তরুণ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন যাতায়াতের পথে আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে শাপলার দৃশ্য দেখি। যদি চারদিকে বাঁধ দিয়ে কিছু জায়গায় পানি আটকে রাখা যায়, তবে সারা বছর শাপলা ফোটা সম্ভব হতো। এতে জায়গাটি একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটনকেন্দ্রে রূপ নিতে পারত।”
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সূত্রধর জানান, “স্থানটি এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে শিগ্গিরই ঘুরে দেখব। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটনের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
প্রকৃতির এই অনন্য শাপলার রাজ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে স্বপ্নের সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে। যথাযথ উদ্যোগ নিলে একদিন এটি হয়ে উঠতে পারে মৌলভীবাজারের নতুন পর্যটন আকর্ষণ, যেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমাবেন শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষকদের মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
৪ ঘণ্টা আগেসকালে কালোমেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রকৃতি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে টিনশেড ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ে। অল্প সময়ের এই ঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন
৪ ঘণ্টা আগেবৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষকরা শিক্ষা বাদে যখন অন্য কিছুতে জড়িত হয় তখন মর্যাদার সংকট তৈরি হয়। শিক্ষকদের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে চলতে হবে তবেই চব্বিশ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব
৫ ঘণ্টা আগেসভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষকদের মর্যাদা ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
সকালে কালোমেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রকৃতি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে টিনশেড ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ে। অল্প সময়ের এই ঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
শিক্ষকরা শিক্ষা বাদে যখন অন্য কিছুতে জড়িত হয় তখন মর্যাদার সংকট তৈরি হয়। শিক্ষকদের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে চলতে হবে তবেই চব্বিশ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব