খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বুধবার (৩০ জুলাই) থেকে দেশে বৃষ্টি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় ঢাকায় বৃষ্টি কমতে পারে
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে
উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করা নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তবে আগামী বৃহস্পতিবারের (২৪ জুলাই) উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে
রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং চলছে। ইতিমধ্যে প্রশাসন সহস্রাধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে । টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি স্থল লঘুচাপে পরিণত হয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে আর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে এটি দুর্বল হচ্ছে। তবে এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বইছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ শুক্রবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
টানা দুইদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। আকাশ ঢেকে আছে কালো মেঘে। বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছেই। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কখনো মুষলধারে তো কখনো হালকা বৃষ্টি। এই অবস্থায় জনমনে তাই প্রশ্ন কবে থামবে এই টানা বৃষ্টি?
বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে সারা দেশে টেলিযোগাযোগসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে পাঁচ হাজারের বেশি বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) বন্ধ হয়ে গেছে, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে।