ফেনী জেলায় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে
প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা
মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকে প্লাবিত একের পর এক জনপদ। বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ফুলগাজী ও পরশুরামে মোট ১৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পাহাড়ি ঢলের পানি ও ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন দুর্যোগে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি জনগণ।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং নদী-খালের অপরিকল্পিত খনন ও দখলের কারণে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা।
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।এ নিয়ে চলতি বছরে এই রোগে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবু রায়হান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সান্ত্বনা দেন এবং সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪টি দোকান পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এতে তাঁদের প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক একর ফসলি জমি। এতে করে মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে আসছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের পর জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিন কিলোমিটারজুড়ে ভাঙনে বসত ভিটা সহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বার বার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসব মানুষ নি:স্ব হয়ে পড়ছে।
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ রাখা হয়।