বিভুদার প্রতি খোলা চিঠি

প্রতিনিধি
খোলা চিঠি
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১২: ০৭
Thumbnail image

প্রিয় বিভুদা,

আপনার মনে আছে? ১৯৯৮ সালের কথা। নভেম্বর মাস। সে বছর শীত একটু বেশি পড়েছিলো।

প্রথম আলো নামক একটা দৈনিক পত্রিকা সবে বের হয়েছে। সেখানে আমার লেখা নিয়মিত ছাপা হয়।

তখন তো ফেসবুক ছিলো না। লেখা ভাইরাল কিনা সেটা বোঝারও উপায় ছিলো না। কিন্তু মিরপুর থেকে যখন কারওয়ানবাজারগামী বাসে উঠতাম, তখন দেখতাম, বাসের লোকজন প্রথম আলো পত্রিকা খুলে ঠিক আমার লেখাটাই পড়ছে। তাদের চোখেমুখে আনন্দের আভা।

তারা জানতো না, ঠিক তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে লেখক। বাসের ভীড়ের মধ্যে। তখন একটা যুগ ছিলো বটে। লেখকের চেহারা চিনতো না কেউ। কিন্তু লেখা পড়তো, গভীর মনোযোগ দিয়ে।

বিভুদা, লেখক হিসেবে আমি তখন খ্যাতির শীর্ষে।

প্রথম আলো পত্রিকায় দুই হাত দিয়ে লিখি। এত লিখি, যে সব লেখা নিজের নামে ছাপা হয় না। কখনো মিতুর নামে, কখনো কাল্পনিক কোনো নামে, এমনকি একবার আমার শাশুড়ির নামেও লেখা ছাপা হয়।

তখন আমার দুই পকেট ভর্তি খ্যাতি। কোনো পয়সা নেই। কিন্তু টাকার বড়ো দরকার। সদ্য বিয়ে করেছি। সংসার চালাতে পারছি না। তখন সবে বুঝতে শুরু করেছি, খ্যাতি দিয়ে একপোয়া চালও কেনা যায় না। বাড়িওয়ালা লেখা পড়ে প্রশংসা করে, কিন্তু বাড়িভাড়া মাপ করে না।

বিভুদা। আপনি তখন চলতিপত্রের সম্পাদক। আমাকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, আমার এখানে কাজে লেগে যান। সাবএডিটর হিসেবে। বেতন কত দেবো? আমরা কিন্তু প্রথম আলোর মতো বড়লোক না।

আমি বললাম, প্রথম আলোতে লিখে আমি চার হাজার টাকা পাই। কিন্তু সেটা বড়ো অনিয়মিত। আপনি আমাকে ওই চার হাজার টাকাই দিয়েন। মাসের এক তারিখে।

আপনি রাজি হলেন। আমিও কারওয়ান বাজারের অফিস বাদ দিয়ে পল্টনে যাওয়া শুরু করলাম। চলতিপত্রের অফিস তখন পল্টনে।

মাস শেষ হওয়ার আগেই একটা ঘটনা ঘটলো। চলতিপত্রের অফিসে গিয়ে শুনলাম, সম্পাদক পদ থেকে আপনাকে ইস্তফা দেয়া হয়েছে।

মাস শেষে বেতন নিতে গেলাম। পত্রিকার মালিকের নাম- ''মানিক ভাই''। উনি আমাকে বললেন, আপনাকে চাকরি দিয়েছে বিভুদা। বেতন আমার কাছে চান ক্যান? শোনেন। আপনার কাজ ভালো। আপনাকে এখনই আমি নতুন করে চাকরি দিলাম। সামনের মাসের এক তারিখে বেতন নিয়েন।

আমার তখন কিইবা বয়স। বোকার মতো বললাম, কিন্তু এই যে এক মাস আমি চাকরি করলাম। এর বেতনের কি হবে? আর আমি বাসা ভাড়া দেবো কীভাবে?

মানিক ভাই গম্ভীর গলায় বললেন, আপনি কেমনে বাসা ভাড়া দেবেন, এইটা আমারে জিগান ক্যান? তবে সামনের মাস থেকে আমি দায়িত্ব নিলাম। যান কাজে যান। কাজ করেন। বেতন সামনের মাসে।

আমি কাজে ফিরে গেলাম না। বরং আপনাকে খুঁজে বের করলাম। আপনি তখন দৈনিক মাতৃভূমিতে। সম্পাদক পদে।

আপনি মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনলেন। তারপর ড্রয়ার খুলে ৪ হাজার টাকা বের করে হাতে দিলেন। এই নেন, আপনার বেতন। এটা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দেন। আর আজ থেকেই মাতৃভূমিতে জয়েন করেন।

টাকা পকেটে ঢুকিয়ে আমি মাতৃভূমিতে জয়েন করলাম।

ইশ, বিভুদা। সেদিন টাকাটা যদি না দিতেন, যদি একবার হলেও বলতেন, রবি, এই লাইনে থাইকেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ছেন। লেখাপড়া ঠিকভাবে শেষ করে বিসিএস দেন।

বিভুদা, এইটা আপনি বলেন নাই। বরং বললেন, শোনেন, মাতৃভূমি পত্রিকা হবে সাদা কালো। আমরা সাদাকে সাদা বলবো। কালোকে কালো। আমরা নিরপেক্ষ থাকবো। কারো পক্ষে যাবো না।

আমি বললাম, প্রথম আলো পত্রিকা তো নিরপেক্ষ। ওরা দুই কলাম শেখ হাসিনার ছবি ছাপে। পাশে দুই কলাম বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ।

তারপর আমরা দুজন মিলে কিছুক্ষণ হাসাহাসি করলাম।

বিভুদা, মনে আছে আপনার? এরপর আমরা মাতৃভূমির জন্য একটা বিজ্ঞাপনের খসড়া করলাম। দুই কলামের নিরপেক্ষতা আমরা চাই না। মাতৃভূমি হবে সত্যিকারের নিরপেক্ষ পত্রিকা।

মাতৃভূমির অফিস তখন মালিবাগে। মৌচাক মার্কেটের পাশের গলিতে। আবোল তাবোল নামে একটা পাতা সম্পাদনা শুরু করলাম। সুকুমার রায়ের সন্দেশ পত্রিকার ফর্মেটে।

সকাল বেলায় বাসা থেকে বের হই। মিতু লাঞ্চ বানিয়ে দেয়। শুকনো খিচুরি। ওটাই আমার দুপুরবেলার খাবার।

বিভুদা। ওই শুকনো খিচুরি ছিলো আমাদের প্রতিদিনের লাঞ্চ। হোটেলে গিয়ে লাঞ্চ করবো, এই পয়সা আমাদের ছিলো না। মনে আছে বিভুদা?

বছর পার হলো। এরপর বাজারে রব উঠলো। ''এরোমেটিক সাবান'' কোম্পানি একটা পত্রিকা বের করবে।

ওই যে বললাম, আমার পকেটে পয়সা না থাকলেও খ্যাতি ছিলো সীমাহীন।

এরোমেটিক কোম্পানি আমাকে ডেকে পাঠালো।

আমি একটা স্পঞ্জের স্যান্ডেল আর একটা খয়েরি রঙয়ের চাদর চাপিয়ে এরোমেটিকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলাম।

বিভুদা, আমারও তখন কোনো জুতা ছিলো না। একটা স্পঞ্জের স্যান্ডেল ছিলো আমার সম্বল। অবশ্য পরে স্যান্ডেল থেকে কেডস, কেডস থেকে অক্সফোর্ড শ্যু, লোফার, আরও নানানবিধ দামি জুতার মালিক আমি হয়েছি। আজ আপনার '' শেষ লেখা'' পড়ে জানলাম, আপনার কেবল একটি জুতাই ছিলো।

বিভুদা, আপনার মনে আছে আমি এরোমেটিকে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। গোলাম সারওয়ারের কাছে। উনি মাতৃভূমির ''আবোল তাবোল'' দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন। বাকি ধাক্কাটুকু দিলেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব। ব্যাস, আমার চাকরি হয়ে গেলো। বেতন ১৩ হাজার ৫ শত টাকা।

আপনি হাসতে হাসতে বললেন, আপনি তো বড়লোক পাড়ায় ঢুকে গেলেন।

তা ঢুকে গেলাম, বিভুদা।

এরোমেটিক গ্রুপের ল ইয়ার প্রথম মাসেই আমার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করলেন। ২০০০ সাল তখন শুরু হচ্ছে। এরোমেটিক গ্রুপের ল ইয়ার জানালেন, আপনি সম্ভবত বাংলাদেশের অল্প বয়সী মানুষ, যে ইনকাম ট্যাক্স দেবে।

এরোমেটিকের পত্রিকার নাম যুগান্তর। এদের ম্যাগাজিনের নাম বিচ্ছু। আমি হলাম, সেই বিচ্ছুর বিভাগীয় সম্পাদক।

ক্রমেই জানলাম, গোলাম সারওয়ার বাংলাদেশের কিংবদন্তীসম সম্পাদক। একটা ঘটনার কথা বলি বিভুদা। এই ঘটনা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আওয়ামীলীগ তখন ক্ষমতায়। একটা মিছিলে গুলি চালানো হয়েছিলো। খুব সম্ভবত এইচবিএম ইকবালের দল এটা করেছিলো। এখন আর মনে নেই। যুগান্তরের হাতে এক্সক্লুসিভ ফটো আছে।

তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন নাসিম সাহেব। উনি সারওয়ার ভাইকে ফোন দিলেন। সারওয়ার ভাই ফোন ধরলেন না। পরে নাসিম সাহেব ফোন দিলেন সাইফুল ভাইকে। সাইফুল ভাই এসে সারওয়ার ভাইকে জানালেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন দিয়েছিলেন।

গোলাম সারওয়ার তখন বার্তা বিভাগের ডেস্কে বসা। উনি উঁচু গলায়, আমাদের সবাইকে শুনিয়ে বললেন, গোলাম সারওয়ার সম্পাদনার টেবিলে বসে কোনো মন্ত্রীর ফোন ধরে না।

বিভুদা, এই সেই গোলাম সারওয়ার। যিনি যুগান্তর পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাকে যুগান্তর থেকে তাড়ানো হয়েছিলো। তারপর তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন সমকাল পত্রিকা । ওখান থেকেও তাকে তাড়ানো হলো। উনি আবারও ফেরত এলেন যুগান্তরে। আবারো যুগান্তর থেকে উনাকে সরিয়ে দেয়া হলো। কিছুদিন বেকার থেকে উনি ফিরে গেলেন সমকালে।

সংবাদপত্রের অন্দরমহলের এইসব ঘটনা আমরা কয়জন জানি? ততদিনে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পত্রিকা চালানো শুরু করেছে। কে কোন পত্রিকার সম্পাদক হবে, কোন টিভি চ্যানেলের বার্তা কক্ষে যে টক শো করবে, এগুলো ঠিক হতো কচুক্ষেত থেকে।

এবং এই পাকেচক্রে পড়ে গোলাম সারওয়ার, এই সিংহসম মানুষটিও বদলে গেলেন। একদিন তাকে দেখা গেলো, শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নোবেল পুরষ্কারের জন্য দাওয়াই দিচ্ছেন। লবিং ফার্ম ভাড়া করার সদুপদেশ দিচ্ছেন। ফেসবুকের লোকজন সারওয়ার ভাইকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।

হায়রে, এই সারওয়ার ভাইয়ের সাথে আমি ১৩ বছর কাজ করছি। সকাল থেকে রাত ২/৩ টা পর্যন্ত। শেষ জীবনে এসে তিনি কেন এমন করলেন, তোমরা তার কতটুকুই বা জানো?

বিভুদা, এডজাস্ট করতে হয়েছিলো, সারওয়ার ভাইকে এডজাস্ট করতে হয়েছিলো। টিকে থাকার জন্যে। আর কিছু না।

আপনি হয়তো '''এডজাস্ট'' করার সুযোগ পান নি।

আপনার শেষ লেখা থেকে জানলাম, একটা কলাম প্রকাশের জন্য আপনাকে নাজেহাল করা হয়েছে। আপনিই লিখেছেন: ''মন খুলে সমালোচনা করার কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। কিন্তু তার প্রেস বিভাগ তো মনখোলা নয়। মিডিয়ার যারা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন তারা সবাই আতঙ্কে থাকেন সব সময়। কখন না কোন খবর বা লেখার জন্য ফোন আসে। ''

বিভুদা, আপনার মতো আমিও প্রধান উপদেষ্টার কথা বিশ্বাস করেছিলাম। গত বছর উনি এসেছিলেন জাতিসংঘ সামিটে। আমি আমার টিম নিয়ে গিয়েছিলাম নিউ ইয়র্কে। ইউএন সামিট কাভার করতে। ওখানে গিয়ে দেখলাম, সাংবাদিকরা চাইলে যেকোনো রাষ্ট্র প্রধানকে প্রশ্ন করতে পারেন। কিন্তু ইউনূস সাহেব ধরা ছোঁয়ার বাইরে। উনি ''নির্দিষ্ট'' কিছু লোকের সাথে কথা বলেন, নির্দিষ্ট ''একটা বলয়ে'' চলাচল করেন। সাংবাদিক হিসেবে উনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

আমার বড় অভিমান হলো। এই ইউনূস এবং তার সরকার, এই জুলাই আন্দোলনের জন্য কি না করেছি আমরা? হার্টের অসুখ নিয়েও রাত জেগে নিউজ করেছি। অভ্যুত্থানের প্রতিটি নিউজ বাংলা এবং ইংরেজিতে তুলে ধরেছি। আমেরিকার কয়টা গণমাধ্যম এত নিবিড়ভাবে জুলাই নিয়ে এভাবে কাভার করেছে?

এই কি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ? এই জন্যই কি ছাত্ররা প্রাণ দিয়েছিলো?

বিশ্বাস করেন বিভুদা, এই প্রশ্নটাই অতি অতি অতি বিনয়ের সাথে ইউনূসের প্রেস টিমকে করেছিলাম। তারপরের টুকু ইতিহাস। এতেই প্রেসটিমের একজনের সেকি রাগ এবং হম্বিতম্বি।

চৌদ্দপুরুষের ভাগ্য যে আমার সাথে একটা বিদেশি ( মানে গায়ের রঙ সাদা) ক্যামেরাম্যান এবং সহকর্মী ছিলেন। নইলে ওই লোক আমাকে মেরে বসতেন।

তবে এক্ষেত্রে প্রেসটিমের ভাগ্য আরও বেশি সুপ্রসন্ন। কারণ এটা আমেরিকা, বাংলাদেশ না। সে রকম কিছু ঘটলে প্রেসটিমকে নিউ ইয়র্কের জেলে কিছুদিন কাটাতে হতো।

শুধু তাই না। এই ঘটনার পর আমার অফিসের সেফটি ডিরেক্টর, অনান্য টিমমেটরা ভীষণ সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনা আরও অনেকদূর গড়াতে পারতো। আমি গড়াতে দেই নি। না, এজন্য আমার সাহস না, বরং ভীতু মন কাজ করেছে। দেশে আমার মা একা থাকেন। আমাকে দেশে যেতে হয়। ঝামেলা করলে, এরা তো আমাকে ছাড়বে না।

কাজেই আমি ''হজম'' করে নিয়েছি। সবাইকে বলেছি, কিছু হয়নি। ইটস ওকে।

বিভুদা, আপনার হজম শক্তি হয়তো অত ভালো না। আপনি মেনে নিতে পারেন নি অনেক কিছু।

তবুও আপনি ভাগ্যবান। আপনার লাশ ভেসে উঠেছে মেঘনা নদীতে।

আমাদের লাশ এখনো ভেসে উঠার সুযোগ পায়নি। জীবন্ত মানুষের অভিনয় করছি। আর শরীর থেকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। মৃত লাশের গন্ধ।

আশীফ এন্তাজ রবি

সাংবাদিক, লেখক

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

খোলা চিঠি নিয়ে আরও পড়ুন

ভালো ফল পেতে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করুন। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩-৪ বার। তৃতীয় সপ্তাহে ২-৩ বার। এভাবে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ২ দিন করে ব্যবহার করুন। ১ ঘণ্টা তেল লাগিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব হলে দুবার মালিশ করুন

৪ ঘণ্টা আগে

তখন তো ফেসবুক ছিলো না। লেখা ভাইরাল কিনা সেটা বোঝারও উপায় ছিলো না। কিন্তু মিরপুর থেকে যখন কারওয়ানবাজারগামী বাসে উঠতাম, তখন দেখতাম, বাসের লোকজন প্রথম আলো পত্রিকা খুলে ঠিক আমার লেখাটাই পড়ছে। তাদের চোখেমুখে আনন্দের আভা।

৬ ঘণ্টা আগে

সবজি হোক বা বাটা মসলা সব কিছু সংরক্ষণের কিছু নিয়ম আছে। নিয়ম না মেনে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে তা রাখলে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে

৬ দিন আগে

এই ছয়টি দেশ ভিসা জটিলতা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ আছে বাংলাদেশিদের জন্য। নিঃসন্দেহে ভ্রমণপিপাসুদের তালিকায় নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে এই সুবিধা। তাই সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন এসব দেশে

১৩ দিন আগে