বিশেষ প্রতিনিধি

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে জুলাই সনদ, গণহত্যার বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দেশ সংস্কার না করে কোনো নির্বাচন হবে না। কোনো রাজনৈতিক পক্ষ এর শামিল হতে চাইলে, আমরা তার বিরুদ্ধে যাব।
বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গায় শহীদ হাসান চত্বরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তাঁর এ বক্ত্যবের পরপরই হঠাৎ আজ-ই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংবাদ সম্মেলনের পর অনেককে বলতে শোনা গেছে ছাত্রদের সাথে তাহলে কি সরকারের দুরত্ব বেড়ে গেল।
আজ বুধবার রাত আটটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় নির্বাচনসংক্রান্ত আরও কিছু প্রস্তুতির কথা জানান উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেক পাঁয়তারা হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোয় কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এক ভাষণে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেটার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন যত বিলম্ব হবে ততই বড় দলগুলোর বিপদ বাড়বে। দেশী বিদেশী অনেক প্রেসক্রিপশন তৈরি হবে। ইতোমধ্যে ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারে থাকা দুই উপদেষ্টা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দ্রুত নির্বাচনের জন্য চব্বিশের বিপ্লব হয়নি। দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। ২৫ হাজার মানুষ হাত, পা, চোখ হারিয়ে পঙ্গু হয়নি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই ভোট হবে, তার আগে নয়।
অন্যদিকে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষ্য, বর্তমান সরকার অর্থনীতি খাতে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যাবে না। অর্থনীতি চাঙ্গা হবে না। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
দেখা গেছে, ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতাদের প্রভাব বিস্তার, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। জামায়াতের বেশিরভাগ দায়িত্বশীল নেতা এককভাবে নির্বাচন করার পক্ষে অনড়। বিএনপিকে তারা মাঠে একচুলও ছাড় দিতে চান না। জামায়াত ৩০০ আসনে এককভাবে কিংবা ইসলামী জোট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি জামায়াত অবস্থান জোরদার করতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে ছাত্রদের একটা অংশও সুর মেলাচ্ছে। একে ষড়যন্ত্রের আভাস বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। তারা বলছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে ততই জটিলতা বাড়বে।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে জুলাই সনদ, গণহত্যার বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, দেশ সংস্কার না করে কোনো নির্বাচন হবে না। কোনো রাজনৈতিক পক্ষ এর শামিল হতে চাইলে, আমরা তার বিরুদ্ধে যাব।
বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গায় শহীদ হাসান চত্বরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তাঁর এ বক্ত্যবের পরপরই হঠাৎ আজ-ই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংবাদ সম্মেলনের পর অনেককে বলতে শোনা গেছে ছাত্রদের সাথে তাহলে কি সরকারের দুরত্ব বেড়ে গেল।
আজ বুধবার রাত আটটায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় নির্বাচনসংক্রান্ত আরও কিছু প্রস্তুতির কথা জানান উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে হওয়া কিছু অগ্রগতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, প্রস্তুতির মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেমন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে অনেক পাঁয়তারা হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোয় কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এক ভাষণে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেটার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন যত বিলম্ব হবে ততই বড় দলগুলোর বিপদ বাড়বে। দেশী বিদেশী অনেক প্রেসক্রিপশন তৈরি হবে। ইতোমধ্যে ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারে থাকা দুই উপদেষ্টা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দ্রুত নির্বাচনের জন্য চব্বিশের বিপ্লব হয়নি। দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। ২৫ হাজার মানুষ হাত, পা, চোখ হারিয়ে পঙ্গু হয়নি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই ভোট হবে, তার আগে নয়।
অন্যদিকে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষ্য, বর্তমান সরকার অর্থনীতি খাতে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া যাবে না। অর্থনীতি চাঙ্গা হবে না। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
দেখা গেছে, ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতাদের প্রভাব বিস্তার, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। জামায়াতের বেশিরভাগ দায়িত্বশীল নেতা এককভাবে নির্বাচন করার পক্ষে অনড়। বিএনপিকে তারা মাঠে একচুলও ছাড় দিতে চান না। জামায়াত ৩০০ আসনে এককভাবে কিংবা ইসলামী জোট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি জামায়াত অবস্থান জোরদার করতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে ছাত্রদের একটা অংশও সুর মেলাচ্ছে। একে ষড়যন্ত্রের আভাস বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। তারা বলছেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে ততই জটিলতা বাড়বে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
১ দিন আগে
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের বিলম্বের কোনো কারণ নেই এবং সরকার নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে সম্পূর্ণ বদ্ধপরিকর
১ দিন আগে
সরকার জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে এমন পুলিশ সদস্য পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি ওই তিন নির্বাচনের কোনো একটিতে দায়িত্ব পালন করেননি
১ দিন আগে
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের সব উপজেলা সরকারি হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছে
২ দিন আগেঅর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের বিলম্বের কোনো কারণ নেই এবং সরকার নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে সম্পূর্ণ বদ্ধপরিকর
সরকার জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত পরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে এমন পুলিশ সদস্য পাওয়া যাচ্ছে না, যিনি ওই তিন নির্বাচনের কোনো একটিতে দায়িত্ব পালন করেননি
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের সব উপজেলা সরকারি হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছে