নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, গত ১৬ বছরে সাড়ে ৪ হাজারের মত মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, যাকে আমরা আইনি পরিভাষায় বলছি পলিটিক্যাল পারসিচুয়েশনের শিকার হয়েছেন।
সাতশো'র মতো মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। অগনিত অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের লাশ, তাদের হারিয়ে যাওয়া, পঙ্গুত্বের বিনিময়ে আমরা যেই বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ আমরা এক কাতারে আনতে চাই। যে কাতারে থাকবে মুক্তিকামী মানুষ, গণতান্ত্রিক মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধারা, আরেক কাতারে থাকবে ফ্যাসিস্ট খুনিরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় আর্কাইভস ভবন মিলনায়তনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান আরো বলেন, একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিচারের কি অবস্থা? আমি বললাম, আপনি দেখেন শেখ হাসিনার বিচার, আর আমি দেখি গণহত্যার বিচার। আমার কাছে এখানে মুখ্য হল গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ। এখানে আসামি হল গৌণ। আমরা যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের রক্তের ঋণ আমরা পরিশোধ করতে না পারলেও আমাদের হারিয়ে যাওয়া ইয়ামিন, আবরার ফাহাদ, আবু সায়ীদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য নাম না জানা শহীদের রক্তের কাছে আমরা যে ঋণী হয়ে আছি সেই ঋণের কিছুটা অংশ পরিশোধ করবো। এই প্রত্যয় নিয়েই আমরা আছি। আমাদের কাছে আপনারা যারা আস্থা রেখেছেন যারা বিশ্বাস রেখেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার আপনার চারিদিক থেকে হতাশার বাণী শুনতে পাচ্ছেন, আপনাদের কিছু আশার বাণী শুনিয়ে বক্তব্য শেষ করবো। আমাদের অর্থনীতি তলানীতে চলে গিয়েছিল। আমাদের অর্থনীতি রিজার্ভ ২০ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। বিগত এক বছরের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে চলে গেছে। আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি এমন ছিল যে এদেশের মানুষ নাগরিক সমাজ সব সময় মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতো। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ছিল না। কখন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে অথবা গুম করে দিচ্ছে। গায়েবি মামলা দায়ের করে আদালতের বারান্দায় কোনো কোনো পরিবারকে রাত কাটাতে হচ্ছে দিন কাটাতে হচ্ছে। গত এক বছর সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটি মানুষও গুমের শিকার হয়নি। এটা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম এক অঙ্গীকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ একটি বিতর্ক তোলা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে যারা জুলাই বিপ্লবে পালিয়ে গেছে তারা। বিতর্ক তুলছেন ২৪ না ৭১। আমরা বলছি আজকের বাংলাদেশ ৫৪ বছরের বাংলাদেশ, ৫২ পেরিয়ে ৬২ পেরিয়ে ৬৯ পেরিয়ে ৭১ পেরিয়ে ৯০ পেরিয়ে বিগত ১৬ বছর রক্ত ঝড়িয়ে ২৪ এর এই বিপ্লব সফল করেছে। সুতরাং আমরা একটি থেকে অন্যটিতে বিস্তীর্ণ করতে চাই। আমরা ৫২ এর শহীদদের যেমন অশ্রদ্ধা করি না। আমরা ৬৯ এর শহীদ আসাদ, মতিউর তাদের অবদানকে যেমন অসম্মান করি না, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে যেমন অসম্মান করি না, আমরা ৮২ থেকে ৯০ পর্যন্ত জাফর, জয়নাল, দিপালি সাহা, কাঞ্চনসহ ডাক্তার বিনোদ বিহারী সাহার রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছিলাম ৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেসমস্ত শহীদদের আমরা অসম্মান করি না, আমরা অসম্মান করতে পারি না চৌধুরী আলম এমপি ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া মানুষকে। আমরা ৩৬ দিনে ১৫শ'র বেশি মানুষকে পাখির মতো গুলি খেয়ে হত্যা হতে দেখেছি। আমরা তাদের রক্তকে বিভাজন করতে পারবো না। পারবো না বলেই আমরা বলছি আমরা সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই একপক্ষে রেখেছি খুনিদের, আরেকপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। আমরা বলছি খুনিদের সাথে মানুষের পার্থক্যের জায়গা। খুনিদের চেহারাও কিন্তু অবিকল মানুষের মতোই ছিল।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবনির্বাচিত সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গোলাম মাহাবুব। এছাড়া অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক প্রস্তুতি কমিটি ২০২৫ এর আহবায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার সনজিত কুমার বিশ্বাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার মহাসচিব, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১. পিআরএল) মহ: মনিরুজ্জামান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার উপদেষ্টা, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১, পিআরএল) ড. আৰু সালেহ মোস্তফা কামাল, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: রবিউল ইসলাম এবং শহীদ ইয়ামিনের বাবা মোঃ মহিউদ্দিন।
বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সচিব নিবাসের আমি সেক্রেটারি, এখন সেখানে ১০০ মতো সচিব থাকেন। আমরা একটি অনুষ্ঠান করেছিলাম জুলাই বিপ্লবের। সেখানে আমি এই কথাটি বলেছিলাম, ফ্যাসিস্ট নিজে নিজে হয় না। একদিনে হয় না। ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি আমরা। আমার ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি। ঠিক সেই একই কথা ওই অনুষ্ঠানে আমি জুলাই যোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে এসেছিলাম শহীদ আনাসের মা-বাবা, আর শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ, শহীদ সৈকতের বোন সেবন্তি এবং জুলাই যোদ্ধা জুনায়েদ।
তিনি আরো বলেন, ৭১ নাকি ২৪? ৭১ কেন হয়েছিলো আমরা সবাই জানি। এক হলো বৈষম্য, দু্ই হলো গণতন্ত্র। আমরা কি ৫৪ বছরে এই দুটো পেয়েছিলাম? বৈষম্য দূর করতে পেরেছি, নাকি গণতন্ত্র পেয়েছি? পাইনি। তাহলে ৭১ কে অস্বীকার করার তো কোনো উপায়ই নাই। কোনো সুযোগই নাই। তা না হলে তো ২৪ তো আর আসতো না। কিন্তু যে কারণে আমরা ৭১ ঘটিয়েছিলাম, তা কি আমরা অর্জন করতে পেরেছি? শুধু একটা তথ্য দেই, বৈষম্যের একক হল গিমেক বা জিমেক কোয়ারিফিশিয়ারি ৭৩ এ ছিল ০.৩৬, সেটা ২০২২ এ হয়েছে ০.৯৪৯৯। মাঝখানের গুলো আমি ড্রপ করে গেলাম। কীভাবে আমরা চরম বৈষম্যের দিকে গেছি। ৯৫ হল এক্সট্রিম বৈষম্য। আর সেখানে আমরা পৌঁছে গেছি কোথায়। আমরা তো বৈষম্য দূর করতে পারি নাই। নাম্বার টু, আজকে যারা ৩৪/৩৫ বছরের যুবক তারা ইলেকশনে ভোট দিতে পারে নাই। ভোট কি জিনিস জানে না। তার মানে গণতন্ত্র আমরা পাইনি। কাজেই ৫৪ বছর পরে আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা আরেকবার হাতছাড়া করতে চাই না। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। এবং আমরা সেটা সবাই মিলে লাগাবো।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বিতর্ক জগতের কিংবদন্তি, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ. কে. এম শোয়েব।
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, গত ১৬ বছরে সাড়ে ৪ হাজারের মত মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, যাকে আমরা আইনি পরিভাষায় বলছি পলিটিক্যাল পারসিচুয়েশনের শিকার হয়েছেন।
সাতশো'র মতো মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। অগনিত অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের লাশ, তাদের হারিয়ে যাওয়া, পঙ্গুত্বের বিনিময়ে আমরা যেই বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ আমরা এক কাতারে আনতে চাই। যে কাতারে থাকবে মুক্তিকামী মানুষ, গণতান্ত্রিক মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধারা, আরেক কাতারে থাকবে ফ্যাসিস্ট খুনিরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় আর্কাইভস ভবন মিলনায়তনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান আরো বলেন, একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিচারের কি অবস্থা? আমি বললাম, আপনি দেখেন শেখ হাসিনার বিচার, আর আমি দেখি গণহত্যার বিচার। আমার কাছে এখানে মুখ্য হল গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ। এখানে আসামি হল গৌণ। আমরা যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের রক্তের ঋণ আমরা পরিশোধ করতে না পারলেও আমাদের হারিয়ে যাওয়া ইয়ামিন, আবরার ফাহাদ, আবু সায়ীদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য নাম না জানা শহীদের রক্তের কাছে আমরা যে ঋণী হয়ে আছি সেই ঋণের কিছুটা অংশ পরিশোধ করবো। এই প্রত্যয় নিয়েই আমরা আছি। আমাদের কাছে আপনারা যারা আস্থা রেখেছেন যারা বিশ্বাস রেখেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার আপনার চারিদিক থেকে হতাশার বাণী শুনতে পাচ্ছেন, আপনাদের কিছু আশার বাণী শুনিয়ে বক্তব্য শেষ করবো। আমাদের অর্থনীতি তলানীতে চলে গিয়েছিল। আমাদের অর্থনীতি রিজার্ভ ২০ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। বিগত এক বছরের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে চলে গেছে। আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি এমন ছিল যে এদেশের মানুষ নাগরিক সমাজ সব সময় মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতো। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ছিল না। কখন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে অথবা গুম করে দিচ্ছে। গায়েবি মামলা দায়ের করে আদালতের বারান্দায় কোনো কোনো পরিবারকে রাত কাটাতে হচ্ছে দিন কাটাতে হচ্ছে। গত এক বছর সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটি মানুষও গুমের শিকার হয়নি। এটা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম এক অঙ্গীকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ একটি বিতর্ক তোলা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে যারা জুলাই বিপ্লবে পালিয়ে গেছে তারা। বিতর্ক তুলছেন ২৪ না ৭১। আমরা বলছি আজকের বাংলাদেশ ৫৪ বছরের বাংলাদেশ, ৫২ পেরিয়ে ৬২ পেরিয়ে ৬৯ পেরিয়ে ৭১ পেরিয়ে ৯০ পেরিয়ে বিগত ১৬ বছর রক্ত ঝড়িয়ে ২৪ এর এই বিপ্লব সফল করেছে। সুতরাং আমরা একটি থেকে অন্যটিতে বিস্তীর্ণ করতে চাই। আমরা ৫২ এর শহীদদের যেমন অশ্রদ্ধা করি না। আমরা ৬৯ এর শহীদ আসাদ, মতিউর তাদের অবদানকে যেমন অসম্মান করি না, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকে যেমন অসম্মান করি না, আমরা ৮২ থেকে ৯০ পর্যন্ত জাফর, জয়নাল, দিপালি সাহা, কাঞ্চনসহ ডাক্তার বিনোদ বিহারী সাহার রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছিলাম ৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেসমস্ত শহীদদের আমরা অসম্মান করি না, আমরা অসম্মান করতে পারি না চৌধুরী আলম এমপি ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া মানুষকে। আমরা ৩৬ দিনে ১৫শ'র বেশি মানুষকে পাখির মতো গুলি খেয়ে হত্যা হতে দেখেছি। আমরা তাদের রক্তকে বিভাজন করতে পারবো না। পারবো না বলেই আমরা বলছি আমরা সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই একপক্ষে রেখেছি খুনিদের, আরেকপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। আমরা বলছি খুনিদের সাথে মানুষের পার্থক্যের জায়গা। খুনিদের চেহারাও কিন্তু অবিকল মানুষের মতোই ছিল।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবনির্বাচিত সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গোলাম মাহাবুব। এছাড়া অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক প্রস্তুতি কমিটি ২০২৫ এর আহবায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার সনজিত কুমার বিশ্বাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার মহাসচিব, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১. পিআরএল) মহ: মনিরুজ্জামান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার উপদেষ্টা, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১, পিআরএল) ড. আৰু সালেহ মোস্তফা কামাল, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: রবিউল ইসলাম এবং শহীদ ইয়ামিনের বাবা মোঃ মহিউদ্দিন।
বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সচিব নিবাসের আমি সেক্রেটারি, এখন সেখানে ১০০ মতো সচিব থাকেন। আমরা একটি অনুষ্ঠান করেছিলাম জুলাই বিপ্লবের। সেখানে আমি এই কথাটি বলেছিলাম, ফ্যাসিস্ট নিজে নিজে হয় না। একদিনে হয় না। ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি আমরা। আমার ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি। ঠিক সেই একই কথা ওই অনুষ্ঠানে আমি জুলাই যোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে এসেছিলাম শহীদ আনাসের মা-বাবা, আর শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ, শহীদ সৈকতের বোন সেবন্তি এবং জুলাই যোদ্ধা জুনায়েদ।
তিনি আরো বলেন, ৭১ নাকি ২৪? ৭১ কেন হয়েছিলো আমরা সবাই জানি। এক হলো বৈষম্য, দু্ই হলো গণতন্ত্র। আমরা কি ৫৪ বছরে এই দুটো পেয়েছিলাম? বৈষম্য দূর করতে পেরেছি, নাকি গণতন্ত্র পেয়েছি? পাইনি। তাহলে ৭১ কে অস্বীকার করার তো কোনো উপায়ই নাই। কোনো সুযোগই নাই। তা না হলে তো ২৪ তো আর আসতো না। কিন্তু যে কারণে আমরা ৭১ ঘটিয়েছিলাম, তা কি আমরা অর্জন করতে পেরেছি? শুধু একটা তথ্য দেই, বৈষম্যের একক হল গিমেক বা জিমেক কোয়ারিফিশিয়ারি ৭৩ এ ছিল ০.৩৬, সেটা ২০২২ এ হয়েছে ০.৯৪৯৯। মাঝখানের গুলো আমি ড্রপ করে গেলাম। কীভাবে আমরা চরম বৈষম্যের দিকে গেছি। ৯৫ হল এক্সট্রিম বৈষম্য। আর সেখানে আমরা পৌঁছে গেছি কোথায়। আমরা তো বৈষম্য দূর করতে পারি নাই। নাম্বার টু, আজকে যারা ৩৪/৩৫ বছরের যুবক তারা ইলেকশনে ভোট দিতে পারে নাই। ভোট কি জিনিস জানে না। তার মানে গণতন্ত্র আমরা পাইনি। কাজেই ৫৪ বছর পরে আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা আরেকবার হাতছাড়া করতে চাই না। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। এবং আমরা সেটা সবাই মিলে লাগাবো।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বিতর্ক জগতের কিংবদন্তি, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ. কে. এম শোয়েব।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা কেবল নদী শাসনের কথা বলি। নদী পালনের কথা বলি না। আমরা সব বর্জ্য নদীতে ফেলে দিয়ে পানিকে বিষাক্ত করে তুলছি, সেই বিষ এসে আমাদের শরীরে ঢুকছে।
৭ মিনিট আগেসাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২ ঘণ্টা আগেআসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের ব্যবসা যাচাই না করে ঋণ অনুমোদন করে ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অভিযোগ আনা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা কেবল নদী শাসনের কথা বলি। নদী পালনের কথা বলি না। আমরা সব বর্জ্য নদীতে ফেলে দিয়ে পানিকে বিষাক্ত করে তুলছি, সেই বিষ এসে আমাদের শরীরে ঢুকছে।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের ব্যবসা যাচাই না করে ঋণ অনুমোদন করে ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অভিযোগ আনা হয়েছে
১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।